পার্বতীপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদটি চীনা-পাথরের তৈর যা অনেক পূরাতন।
শনিবার,
তারিখঃ ২২ জুলাই ২০২৩
আসসালামু আলাইকুম,
"স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা, আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি পরমকরুনাময় আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে সকলেই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি। "স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটিতে আজ আমি অনেক আগের পূরাতন চীনা-পাথরের তৈরি মসজিদ নিয়ে পোস্ট উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
বিগত ২-৩ দিন আগে আমি ও আমার চাচাতো ভাই মিলে পার্বতীপুর গিয়েছিলাম। পার্বতীপুর গিয়ে আমরা সর্বপ্রথম এই চীনা-পাথরের তৈরি জামে মসজিদটি দেখার জন্য পার্বতীপুর দক্ষিণ পাড়ার দিকে রওনা দিলাম। অবশেষে আমরা ১৫ মিনিটের মধ্যে পার্বতীপুর বাস টার্মিনাল থেকে দক্ষিণ পাড়ায় এসে পৌঁছালাম। দক্ষিণ পাড়া মেইন রোড সংলগ্ন এই মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করার জন্য একটি প্রধান গেট রয়েছে। গেটের উপরে সাইনবোর্ডে বড় অক্ষরে মসজিদ প্রতিষ্ঠার নাম,সাল ও পাড়ার নাম উল্লেখ করা আছে। আমরা মেইন গেট অতিক্রম করে মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করলাম ও মোটরসাইকেল পার্কিং করলাম।
মসজিদ টি ১৯৩৪ সালে নির্মান করেন মরহুম আলহাজ্ব মনির উদ্দিন প্রামানিক। এটি অনেক আগের পূরাতন একটি মসজিদ। মসজিদটি সম্পূর্ণ চীনা-পাথর দিয়ে নিখুঁতভাবে খোদাই করা। মসজিদটি অনেক সুন্দর ও চমৎকার। যে কেউ দেখলে অবাক হয়ে যাবে। চীনা-পাথরের তৈরি করা মসজিদের ভিতর ও বাহির নকশা গুলো অসাধারণ ভাবে কারুকাজ নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদের ছাদে প্রবেশ করার জন্য বাহির থেকে সিঁড়ি দেওয়া হয়েছে। যে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে প্রবেশ করা হয় তার উপরের অংশে সিঁড়ি দিয়ে উঠে আযান দেওয়া হয় কারেন্ট না থাকলে। মসজিদটি আমার কাছে অনেক সুন্দর ও চমৎকার লেগে। এটি অনেক পূরাতন মসজিদ হওয়ার পর ও মসজিদটি এখনো নতুনের মতো।
মসজিদের সামনে ২ টি নারিকেল গাছ রয়েছে। এছাড়াও মসজিদের ভিতরে একটি মাঠ রয়েছে। মাঠে অনেক ঘাস ও ছায়া নিবিড় পরিবেশ নামাজ শেষ করে যে কেউ এখানে বসে বিশ্রাম নিতে পারবে। এই মসজিটি দেখার জন্য অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে আসে।
মসজিদটি সে সময়ে তৈরি করতে অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। মসজিদের উত্তর পাশে বাহিরে এক কোনায় মরহুম আলহাজ্ব মনির উদ্দিন প্রামানিকের করব। মৃত্যুর পরে তাকে এখানে শায়িত করা হয়েছে। হয়তো এটি তার জীবনের শেষ ইচ্ছা ছিল মসজিদের পাশেই তার করব দেওয়ার।
আমার লেখায় কোন প্রকার ভুল-ভ্রান্তি হয়ে গেলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ক্যামেরা | ওয়ান প্লাস |
---|---|
পোস্টের ধরণ | পূরাতন মসজিদ |
ক্যামেরা | ৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা |
ফটোগ্রাফার | @md-sajalislam |
অবস্থান | পার্বতীপুর, দিনাজপুর, বাংলাদেশ। |
ধন্যবাদান্তে,
@md-sajalislam
চীনা-পাথরের মসজিদ অসাধারণ একটি পোস্ট করেছেন। এই মসজিদটি দেখেই মনে হচ্ছে অনেক আগের পূরাতন একটি মসজিদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনি অনেক সুন্দর একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি ও আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। ১৯৩৪ সালের স্থপতি মসজিদ টি দেখতে সত্যি অনেক সুন্দর লাগতেছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। কখনো পার্বতীপুরে ঘুরতে যাওয়া হলে অবশ্যই এই মসজিদ দেখতে যাওয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য।
পার্বতীপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদটি আসলেই অনেক পুরাতন এবং সৌন্দর্যপূর্ণ । চিনামাটির এই মসজিদটি দেখার আগ্রহ আছে অনেক। এই মসজিদ সম্পর্কে অনেক বার জেনেছি। আপনি অনেক সুন্দর ফটোকপি করেছেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চীনা পাথরের তৈরি মসজিদটি কারিগরেরা নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করেছে। এই মসিটি আমাদের পার্বতীপুর জেলার মধ্যে একটি পুরাতন এবং অনেক সৌন্দর্য বহন করে আসতেছে। এখানে অনেকবার গিয়েছি কিন্তু নামাজ পড়ার সৌভাগ্য হয়নি। দেখে আশ্চর্য হওয়ার মতো একটি মসজিদ আমাদের পার্বতীপুরে হওয়ার কারণে আমরা গর্ববোধ করি। আপনার মাধ্যমে মসজিদ সম্পর্কে অনেক ধারণা পেলাম। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
অনেক পুরাতন একটি মসজিদ।এখানে আমি অনেকবার গিয়েছি। মসজিদের পাশেই মনিরিয়া স্কুল ছিল। মসজিদটির কারুকার্য যে কোন মানুষকে মুগ্ধ করবে। চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।শুভকামনা রইল
দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদটি চিনামাটির তৈরি। এই মসজিদটি পার্বতীপুর দক্ষিণ পাড়ায় অবস্থিত। চিনামাটির তৈরি মসজিদটি দেখতে বেশ সুন্দর। আমি কয়েকবার চিনামাটির তৈরি মসজিদে ঘুরতে গেছিলাম।
https://twitter.com/sajalislam08/status/1682577907003314177?t=4pGE15PpyVPgrn5U9hVupQ&s=19
দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদটি অনেক সুন্দর। এই মসজিদটি আমি জীবনে একবার দেখেছি। ওই মসজিদটির পেছনে যে রাস্তাটি রয়েছে ওই রাস্তা দিয়ে আমি একদিন হলদিবাড়ি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেই সুবাদে মসজিদটি আমার দেখা। চীনা মার্বেল পাথর দিয়ে তৈরি মসজিদটি দেখতে অনেক সুন্দর। আর আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলোর প্রশংসা করতে হয়। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
মসজিদটির অনেক সুন্দর কিছু ছবি আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ১৯৩৪ সালে নির্মাণ করা এই মসজিদটি এত বছরের পুরনো হওয়া সত্ত্বেও কত সুন্দর দেখা যাচ্ছে তা দেখেই অবাক হচ্ছি আমি।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মাধ্যমে এই মসজিদটির ছবি আমরা দেখতে পেলাম এজন্য। ভালো থাকুন।