গ্রাম-বাংলার অতিপরিচিত একটি খাবার হলো ঐতিহ্যবাহী মালপোয়া।
রবিবার ,
তারিখঃ ০৯ জুলাই ২০২৩
আসসালামু আলাইকুম,
"স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা, আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি পরমকরুনাময় আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে সকলেই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি। "স্টিম ফর ট্রাডিশন" কমিউনিটিতে আজ আমি ঐতিহ্যবাহী খাবার মালপোয়া নিয়ে পোস্ট উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
আমাদের দেশের গ্রাম-বাংলার মানুষের জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো মালপোয়া। মালপোয়া একটি মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার। এটি খেতে অনেকটাই গ্রামের বানানো তেল পিঠার মতো। এর ভিতরটা নরম ও তেল-তেলে এবং সাইটের অংশটুকু খেতে শক্ত। মালপোয়াকে একধরনের মিষ্টি পিঠাও বলা হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে মালপোয়া একপ্রকারের মিষ্টি পিঠা জাতীয় খাবার। ভারতবর্ষের কয়েকটি প্রদেশে এই মালপোয়া খুবই জনপ্রিয়। যেমনঃ পশ্চিমবঙ্গ,ওড়িশা,বিহার ও মহারাষ্ট্র। মালপোয়া ভাজা মিষ্টি আোবার শুকনো বা রসালো হয়ে থাকে। অনেক জায়গায় অনেক ধরনের মালপোয়া পাওয়া যায়। তবে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গতে যে সব মালপোয়া বানানো হয় তাতে মিষ্ট কম দেওয়া।
মালপোয়া হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঙ্গালি পিঠা। পোয়া পিঠা ও তেলে পিঠা অনেকেই বলে থাকে। এই মালপোয়া পিঠা আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে তা বিশেষ অনুষ্ঠানে মালপোয়া তৈরি করা হয়। মালপোয়া ময়দা, চিনি, দুধ,ঘি বা তেলে ভেজে তৈরি করা হয়।
- উপকরণঃ
- ময়দা
- চিনি
- ঘি বা তেল
- কালো জিরা
- বেকিং পাউডার
- লবন।
সর্বপ্রথমে আপনারা ময়দা,চিনি,কালোজিরা, বেকিং পাউডার ও পরিমান মতো লবন দিয়ে তা ভালোভাবে মিশ্রিত করে নিন। এরপর চুলাইয়ের মধ্যে কড়াই বসিয়ে দিয়ে অল্প পরিমাণ তেল দিয়ে হালকা জ্বালে গরম করে নিতে হবে। এরপর মালপোয়া রান্নার উপকরণগুলো একটি গ্লাসে নিয়ে তা তেল দিতে হবে। তেলে দেওয়ার পর মালপোয়ার এক পাশ লাল বাদামি বর্নের হয়ে আসলে তা উল্টো করে দিয়ে অপর প্রান্ত লালচে বর্ণের হয়ে আসলে তা কড়াই থেকে নামিয়ে একটি পাত্রে নিতে হবে। এভাবে মালপোয়া গুলো বানানো হলে তা পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।
এই মালপোয়া পাওয়া যায় আমাদের আমবাড়ী বাজারে। আমবাড়ী বাজারে শাহ্ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে এই মালপোয়া সচরাচর পাওয়া যায়। তবে দুপুরের পরে এই মালপোয়া পাওয়া যায়। প্রতিটি মালপোয়া ২০ টাকা করে বাজার দরে বিক্রি করা হয়। তবে এই মালপোয়া কয়েক মাস আগে ১৫ টাকা করে ছিল। মালপোয়া আমাদের এখানে প্রচুর পরিমানে চলে। তবে গরম গরম মালপোয়া খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার।
আমার লেখায় কোন প্রকার ভুল-ভ্রান্তি হয়ে গেলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ক্যামেরা | ওয়ান প্লাস |
---|---|
পোস্টের ধরণ | মালপোয়া |
ক্যামেরা | ৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা |
ফটোগ্রাফার | @md-sajalislam |
অবস্থান | পার্বতীপুর, দিনাজপুর, বাংলাদেশ। |
ধন্যবাদান্তে,
@md-sajalislam
মালপোয়া একটি প্রাচীনতম খাবার। এই খাবারটি মূলত এখন বিভিন্ন হোটেলে পাওয়া যায়। আমাদের এলাকায় এই মালপোয়া প্রতিপিস ১৫ টাকা করে বিক্রি হয়ে থাকে। আমাদের দেশের উত্তর অঞ্চলে এর জনপ্রিয়তা বেশি মামা। খাওয়ার দাওয়াত দেন।
দিমো মামু। আগে পাওনা গুলো ২ ভাই পরিশোধ করেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমবাড়ির শাহ হোটেলে তো অনেকবারই যাওয়া হয় কিন্তু এ মালপোয়ার কথা আমি জানি না। আপনার পোস্টে প্রথম দেখলাম এবার গেলে খাওয়া হবে। দারুন লিখেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ।
মালপোয়া অসাধারণ পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই, মালপোয়া আমার পছন্দের একটি খাবার। বাসায় তৈরি মালপোয়া বেশি সুস্বাদু লাগে। ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই।
মালপোয়া আমার প্রিয় একটি খাবার। অবশ্য এই খাবারটি খেতে অনেক সুস্বাদু।
এই ভাবে একা একা পিঠা খাওয়া ঠিক না। হামার ও দিয়া খান বাহে😒😒
তোমার জন্য বাড়ির দাওয়াত উন্মুক্ত থাকিলো।যখন মন চাইবে আসবেন খাবার।🙂
মালপোয়া আমার ভিষণ পছন্দের। আমি এই মালপোয়াগুলো প্রথম খেয়েছি আমবাড়ি শাহ হোটেলে। তবে এই মালপোয়াগুলো গরম গরম খেতে বেশি ভালো লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া
ধন্যবাদ।
https://twitter.com/sajalislam08/status/1677892194735386624?t=2ud0q_NfzqNsbdlueqWmpA&s=19
এই মালপোয়া গুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। কারণ এগুলো খুবই নরম হয়ে থাকে। আমি প্রথম এগুলো দিনাজপুর নিমতলায় খেয়েছিলাম বেশ কয়েক বছর আগে। অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
ঐতিহ্যবাহী মালপোয়া খাবার নিয়ে সুন্দর লেখছেন আপনি।আমি মালপোয়া বেশি খেতে পারি না।অল্প একটু মালপোয়া হলে আমার হয়।মালপোয়া একটি জনপ্রিয় খাবার। আপনি সুন্দর একটা পোস্ট করছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ।
পিঠাগুলো দেখেই তো ভাই খেতে ইচ্ছে করতেছে। মালপোয়া পিঠা তৈরীর প্রক্রিয়াটি খুব ভালোভাবে তুলে ধরেছেন ভাই। বাসায় একদিন তৈরি করার চেষ্টা করব। ফটোগ্রাফি গুলো ভালো হয়েছে,শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাই।