ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি গেট || প্রকাশঃ ২৪ মার্চ ২০২৩
আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি গেট নিয়ে কিছু তত্ব শেয়ার করব।
|
---|
বাঁশ আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় একটি উপাদান। আমাদের ঘর-বাড়ি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে এই বাঁশের শিল্প। বাঁশ দিয়ে অনেক কিছু বানা হয়ে থাকে কিন্তু আজকে আমি বাঁশের তৈরি একটি গেট নিয়ে কিছু কথা বলব।প্রাচীনকাল থেকে বাঁশ দিয়ে নানা প্রকার শৌখিন আসবাবপত্র বানানো হয়ে থাকে। তেমনি আজকে আমি একটি শৌখিনতার নমুনার কথা বলব এবং দেখাব। বাঁশের গেট তৈরি করতে মূলত প্রথমে অনেক পাকা এক ধরনের মাকলা বাঁশের ব্যবহার হয়ে থাকে। বাঁশের বাতা করে প্রথমে সেই বাতা গুলোকে অনেক যত্ন নিয়ে পরিষ্কার করে সেগুলাকে অনেকদিন ধরে পানিতে চুবিয়ে রাখা হয়ে থাকে।
![]() | ![]() |
---|
পানিতে চুবিয়ে রাখার ফলে সেই বাঁশের বাতা গুলা গাতার জন্য উপযোগী হয়ে গেছে। এখন অনেক নিক্ষুত হাতের কারুকাজ বাকি থাকে। প্রথমে দুইদিকে দুইটি করে বাঁশের খুটি দিয়ে মাটিতে পুতে দিয়ে তার উপ-র গাতা হয়ে থাকে এই গেট। অন্যভাবেও বানানো যায় এই বাঁশের গেট। মাটিতে বানিয়ে তারপর সেইগুলা উঠিয়ে দেওয়া হয় একটি নির্দিষ্ট জায়গায়। আসুন এখন জানি কিভাবে এই বাতা গুলার চিকন চিকন সুতারমত বানানো হয়। ছোট ছোট কাটার দিয়ে অনেক নিখুত ভাবে ছোট ছোট পাতলা বাতা ছিলে সেগুলা দিয়ে গাতানোর কাজ শুরু করা হয়ে থাকে৷
প্রথমে দুই সাইটে ফুলের মত করে চারকোনা ভাবে গেতে নেওয়া হয়ে থাকে৷ তারপর সেই গাতুনি শুরু হয়ে যায় উপরে পর্যন্ত । একটা সময় সেই গাতুনি উপরে গিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে একটি গোল আকার দেওয়া হয়। বাকি থাকে মধ্যখানের অংশের কাজ। সবথেকে আকর্ষণীয় কাজ হয়ে থাকে মধ্যখানে। যেখানে একটি গোল আকারের ফুল বানানো হয় অনেক নিখুঁত ভাবে। মূলত প্রধান আকর্ষণ থাকে এই মাঝে অংশে। অনেকে আবার এই বাঁশের গেটে বাতি লাগাই দেয় সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলার জন্য। কিন্তু এখানে তেমন ভাবে দেওয়া হয়নি। তবে লোখ মুখে শুনলাম রাতে এখানে কারেন্টের ঝাড় বাতি লাগানো হয়ে থাকে। সবকিছু কাজ ধয়ে গেলে বাকি থাকে এখানে রঙের কাজ। এই গেটে করা হয়েছে লা ও নীল কালারের রঙের মিশ্রন।
সেখানে সূর্যের আলো পড়লে প্রতিফলন হয় আর অনেক সুন্দর দেখা যায়। মূলত এতো কষ্ট ও পরিশ্রম না করে তারা অন্য গেট দিতে পারতো। কিন্তু তারা জানায় এই বাঁশের তৈরি গেট তাদের একটি ঐতিহ্য। এই গেট নষ্ট হলে তারা আবার এই গেট বানিয়ে থাকে
এই গেটটি সোভা পেয়েছে একটি পুরানো দিনের মসজিদের সামনে। অনেক ভালো লাগছে এই গেটটি। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার না করে পারলাম না।
ডিভাইস | রেডমি নোট ১০প্রো |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mainuna |
লোকেশন | পার্বতীপুর,দিনাজপুর |
ছবি তোলার সময় | বিকেল ৪ টা |
এই ছিলো আমার আজকের আলোচনার বিষয়। পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ
ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি গেট নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।এই বাঁশের তৈরি জিনিস পত্র আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করে থাকি।এই বাঁশ দিয়ে আমরা অনেক কিছু তৈরি করে থাকি।সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের কাছে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
আজকাল বাঁশের তৈরি এই সকল গেটের ব্যবহার বেড়ে গিয়েছে। এই গেট গুলো দেখতে অনেক বেশি সুন্দর দেখা যায় এবং এগুলো আমাদের ঐতিহ্য বহন করে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। বাঁশের তৈরি এরকম রঙিন গেট আসলেই অনেক সুন্দর দেখতে লাগে।
ধন্যবাদ আমার প্রিয় আপু।
বাহ্ আপানার ফটোগ্রাফি দেখে আমি খুবই মুগ্ধ হলাম ভাই। এতো সুন্দর ফটোগ্রাফি। বাঁশ দিয়ে গেট তৈরি আমি অনেক কয়েক জায়গায় দেখেছি। বাঁশের তৈরি গেট দেখতে ভলোই লাগে। বাঁশের বাতা গুলাতে রং করার কারনে আরো খুব সুন্দর দেখা যায়। প্রাচীন কাল থেকে বাঁশের প্রচলন আছে। বাঁশ দিয়ে মানুষ বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করে থাকেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই বাঁশের তৈরি গেটের পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ।
বাঁশ সেটা আমাদের গৃহস্থালির নিত্য প্রয়োজনীয় একটা উপাদান। বাঁশ শিল্পের ব্যবহার দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, তবে বাঁশের তৈরি গেট আমার কাছে অসাধারণ লাগছে, অনেক সুন্দর কারুকাজ ফুটিয়ে তুলা হয়েছে এই গেটে, আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন গেট এর। যুগ যুগ ধরে বাঁশের তৈরি নানা রকম হস্তশিল্পের প্রচলন রয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন ভাই। অনেক ভালো লাগলো, আপনার জন্য বাঁশের তৈরি গেট দেখতে পেলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আমরা আজকাল বাঁশের তৈরি অনেক সুন্দর সুন্দর গেট দেখতে পাই। যেমন বিয়ের বাড়িতে বাঁশের তৈরি অনেক সুন্দর সুন্দর গেট তৈরি করা হয়ে থাকে। এবং অনেক বড় বড় প্রোগ্রামেও দেখে থাকি। আমাদের এ কথাটি মানতে হবে গ্রাম বাংলার আদিবস্তু হিসাবে খুব প্রয়োজনী একটি জিনিস বা প্রয়োজনে একটি বস্তু বাঁশ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে অনেক সুন্দর হয়েছে ছবিগুলো এবং অনেক সুন্দর হয়েছে কথাগুলো অসাধারণ সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাঁশ হলো লোকশিল্প। এই বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরি করা হয়। আর এই বাঁশ ব্যবহার করে আমাদের গ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুন্দর ভাবে নকশা করে গেইট তৈরি করা হয়ে থাকে। এই বাঁশের তৈরি গেইট তৈরি করতে অনেক সময় লেগেছে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।
ধন্যবাদ।
মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাথে জড়িত হয়ে গেছে এই বাঁশ। কারণ এই বাঁশ দিয়ে শুধু যে সৌখিন জিনিস পত্র বানানো যায় তা নয়। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও বানানো হয়ে থাকে। ঠিক তেমনই এই বাঁশ এর তৈরি গেট টি অসম্ভব সুন্দর লাগছে দেখতে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ।
ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি গেট নিয়ে অসাধারণ লেখছেন ভাই, বাঁশ দিয়ে আমরা অনেক নিত্য নতুন কাজ করি,তবে এখন বাঁশের ব্যবহার খুব কম দেখা যায়। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বাঁশের তৈরি গেটের ছবি গুলো তুলছেন, এইরকম বাঁশের তৈরি গেট আমি কোনদিন দেখি নাই, আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমে বাঁশের তৈরি গেট সম্পর্কে জানতে পারলাম,গেট টা দেখতেও খুব সুন্দর লাগতেছে, বাঁশ দিয়ে তারা অনেক সুন্দর ভাবে চিকন চিকন বাতা দিয়ে এইরকম গেট তৈরি করে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।