প্রাচীনকাল থেকে মানুষকে আনন্দ দেওয়ার মাধ্যম ছিলো সার্কাস || ০৯ জুলাই ২০২৩

in Steem For Traditionlast year

হ্যালো ব্লগার
আশা করি সকলে ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি।আমি আজকে আপনাদের সাথে প্রাচীনকাল থেকে আনন্দ দেওয়া যাত্রাপালা নিয়ে আলোচনা করব।আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।


কভার ফটো



প্রাচীনকাল থেকে গ্রাম অঞ্চলে আনন্দ দেওয়ার একমাত্র মাধ্যম ছিল সার্কাস । এই সার্কাসের সাহায্যে আদিমকাল থেকে মানুষ নিজেদের মধ্যে আনন্দ উপভোগ করে এবং বিভিন্ন রকম গান-বাজনা করে থাকে। সার্কাস কয়েকটি অংশে বিভক্ত থাকে যেমন প্রথম অংশে থাকে একটু হালকা রকমের নিত্য এবং পরে থাকে গান এবং বিভিন্ন রকম জাদু কলা কৌশল এর মাধ্যমে মানুষকে আনন্দ দেওয়া হয়।সার্কাসে বিভিন্ন রকম ঢাকঢোল এবং বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা হয়ে থাকে।সার্কাসের বিভিন্ন আকর্ষণের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো সেখানে ছেলেদেরকে অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে মেকআপ করে মেয়ে বানিয়ে দেওয়া হয় এবং তাদের কন্ট্রোভার্সি করা হয় এতে অনেক আনন্দ উপভোগ করে মানুষ।



সার্কাসের সময়কাল ছিল ৮০থেকে ৯০ দশকের সব থেকে বেশি এর জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী বিভিন্ন মেলায় এবং হাটে সার্কাস দেখানো হতো।বর্তমানে এই সার্কাস গুলো এখন অনেক আধুনিকতার সাথে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে তারা এখন বিভিন্ন গ্রামীণ মেলা গুলোকে কেন্দ্র করে তাদের অনুষ্ঠান কার্যক্রম চালিয়ে থাক। আপনারা যে সার্কাস টি এখন দেখতে পাইতেছেন সেটি হল একটি গ্রামীন মেলায় নির্মিত প্যান্ডেল।সার্কাসের সবথেকে মজাদার অংশ হলো একটি দড়ির উপর দিয়ে একটি মেয়ে সাইকেল চালিয়ে যায় এবং একটি হাতিকে দড়ির উপর দিয়ে লাফানো দেখা যায়।সবথেকে ভয়ঙ্কর এবং অনেক মারাত্মক একটি গেম হলো সেখানে একটি গোল চক্করের মধ্যে দশটি চাকু থাকে এবং এর মধ্য দিয়ে একজন লাফ দেয় তখন অনেকেই হয়তো ভয়ে চোখ বন্ধ করে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লেগেছে এই দৃশ্যটি।



বাংলাদেশের কয়েকটি জনপ্রিয় সার্কাস ব্র্যান্ডের নাম হলো রওশন সার্কাস, সোনার বাংলা সার্কাস এবং মমতা সার্কাস এগুলোর মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় হলো সোনার বাংলা সার্কাস।তবে দি রওশন সার্কাস অনেক বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে আমাদের উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন গ্রামীণ মেলা এবং হাট-বাজারে এই সার্কাস মেলা দেখতে পাওয়া যায়। এই জায়গা গুলোতে মানুষের সমাগম অনেক বেশি হওয়ায় টিকেট চাহিদা অনেক বেশি থাকে আর এর কারণে টিকিট সংগ্রহ করতে অনেক কষ্ট হয়ে যায়। তাদের টিকিট মূল্য দাঁড়িয়ে দেখলে ১৫০ টাকা এবং বসে দেখলে ২০০ টাকা।



সার্কাস দেখার সময় তারা এক প্রকার লোগোর প্রকাশ বেশি করে থাকে এই সংকেত দ্বারা তারা একটি নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর আধিপত্য বুজিয়ে থাকে। আপনারা অনেকেই এই সার্কাস গুলো দেখেছেন। আপনাদের কেমন লাগে এই সার্কাস গুলো দেখতে অবশ্যই জানাবেন।




Device information:
DeviceReadme Note 10Pro
Photographer@mainuna
LocationG2HP+FG6 শাল ঘরিয়া


Sort:  
 last year 

আমি বাস্তবে কোনোদিন সার্কাস দেখি নি। তবে সার্কাসগুলোতে হাতি, বাঘ এসব ভয়ংকর পশুদের দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলা দেখানো হয়ে থাকে তা শুনেছি এবং টিভিতে দেখেছি। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 last year 

সার্কাস খেলা হচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। এটি একটি প্রাচীনতম খেলা। এখন খুব একটা সার্কাস খেলা দেখা যায় না। তবে কিছু কিছু মেলায় সার্কাস খেলার আয়োজন করা হয়। সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই

 last year 

ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।

Loading...
 last year 

বাহ্ অসাধারণ একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।আমি সার্কাস খেলা তেমন দেখি নাই।এই খেলা আগের দিনে অনেক প্রচলন ছিল।বর্তমান সময় এই খেলা আর দেখা যায় না। আপনি দারুন লেখছেন ভাই আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

ধন্যবাদ।

 last year 

সার্কাস খেলা আমাদের ঐতিহ্যের মধ্যে পড়ে। আমাদের মন্মথপুরে আগে প্রায়ই সার্কাস আসত।আর আমরা বিনা টিকিটে ঢুকে পারতাম।কারন আমার নানুরা কমিটির সদস্য ছিলেন। তাই অনেক সুযোগ সুবিধাই পাওয়া যেত। অনেক ভালো লিখেছেন ধন্যবাদ।

 last year 

অনেক মজা তাই না আন্টি।

 last year 

আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগেও বিভিন্ন মেলায় মধ্যে এই সার্কাস ছিল অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। আমি বেশ কয়েকবার সার্কাস দেখেছি বিভিন্ন মেলায়। বর্তমানে এগুলো প্রায় হারিয়ে গেছে।অনেক পুরাতন একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন।শুভকামনা রইল আপনার জন্য

 last year 

ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

প্রাচীনকাল থেকে মানুষকে আনন্দ দেওয়ার মাধ্যম ছিলো সার্কাস।এই সার্কাস খেলা নিয়ে অনেক সুন্দর হয়েছে পোস্ট। এই সার্কাস খেলা অনেক দিন থেকে দেখা যায় না। সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।

 last year 

ধন্যবাদ।

 last year 

আগে প্রতিটি মেলায় এই সার্কাস দেখা যেত। সার্কাস দেখতে ২০ টাকার টিকেট কেটে ভিতরে প্রবেশ করা হতো। সার্কাসে বিভিন্ন ধরনের বিনোদন দিয়ে মানুষকে আনন্দ দেওয়া হতো। সার্কাস নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।

 last year 

এখন ২০০ টাকা নেয়।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 58495.77
ETH 2579.09
USDT 1.00
SBD 2.44