কন্টেস্ট - আমার এলাকার একটি ভিন্নধর্মী নামধারী স্থান || ২৫ জুলাই ২০২৩
হ্যালো ব্লগার
আশা করি সকলে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আমি আজকে স্টিম ফর ট্রাডিশন গ্রুপে দেওয়া একটি ব্যতিক্রম ধর্মী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতে চলেছি। এমন ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য আমি @toufiq777 ভাইকে ধন্যবাদ জানাই। @sanjanashukla @nahela @kashishchidar @avinashgoyal @mostofajaman আপনাদের এই প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রণ জানাই।
|
---|
আমার এলাকায় একটি ভিন্নধর্মী নামধারী স্থান হলো কাউয়া হাগা বটের বটের তল মাঠ। এই মাঠে যে গাছ আছে সেই গাছ গুলো অনেক আগের। বট গাছ গুলো বয়স আনুমানিক ৩০০ বছর। বর্তমানে এই গাছ কে ঘিরে ঘড়ে উঠেছে অনেক বড় ঈদগাঁ মাঠ। এই জায়গার এমন নাম করন করার পিছনে অনেক কারন রয়েছে।
|
---|
ব্রিটিশরা যখন আমাদের উপমহাদেশের মাটিতে শাসন চালাতো তখন আমাদের এইদিকে প্রচুর পরিমানে কাকের সমাগম ছিলো আর সবগুলো কাক বাস করত এই বট গাছে।আর যার কারনে সবাই এই গাছের নাম রাখে কাউয়া হাগা বটের তল।
সেই সময়ে প্রচুর পরিমানে শকুন ছিলো যার কারনে এই বট গাছের তলায় কেউ যাইতে পারত না। এই গাছের তলায় কাকের বিষ্ঠা দিয়ে সাদা হয়ে থাকত আর যার কারনে শকুন আকাশ থেকে এই গাছেই বেশি টার্গেট করত। আমাদের এলাকার ১২০ বছর বয়সী দাদুর কাছে থেকে শুনেছি অনেক মানুষ এই গাছের তলে গিয়ে শকুনের আক্রমণের শিকার হয়েছে।
এই গাছের তলে মূলত শকুন এবং কাকের বসবাস ছিলো বেশি যার কারনেই ভয় থাকতো মানুষের মাঝে। আর যেহেতু কাকের সংখ্যা বেশি ছিলো তাই তার নাম হয়েছে কাউয়া হাগা বটের তল।
মুক্তিযুদ্ধের সময়ের পরেই শকুন এবং কাক দুটোই এই গাছ থেকে চলে যায় আর তার পরেই গাছের তলে বাধা প্লাস্টার ভেঙ্গে ফেলে এলাকাবাসী আর সেখানে ঈদগাঁ মাঠ নির্মাণ করেন।বর্তমানে এটি পার্বতীপুর উপজেলার সবথেকে বড় ঈদগাঁ মাঠ। এখানে প্রায় ১৪ টি গ্রামের মানুষ নামাজ আদায় করে থাকে। মাঝে মাঝে নিজেই অবাক হয়ে যাই এমন একটা পুরাতন যায়গা কিভাবে এমন একটি জনসমাগম জায়গাতে পরিনত হয়। কাউয়া হাগা বটের তল দিয়ে দিয়ে একটি ছোট তিলাই নদী অতিবাহিত হয়েছে। এই নদীতে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে যারা মারা যেত তাদের নাকি ভাষিয়ে দেওয়া হতো। নদীতে এখনো মরা জীবজন্তু দেখতে পাওয়া যায়। আগেকার দিনে এমন ঘটনার কারনেই হয়ত শকুনের আক্রমণ বেশি ছিলো।
বর্তমানে এই মাঠে ছেলেরা ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলে। মাঠের মধ্যে অনেক ঘাস হওয়ার কারনে এই মাঠ থেকে অনেক গবাদি পশুর জন্য ঘাস কাটে অনেকেই। অনেক সময় অবাক লাগে এইম একটি জঙ্গলে ঘেরা জায়গা এখনো একটি জনপ্রিয় জায়গাতে পরিনত হয়েছে।আপনারা যারা পার্বাতীপুর উপজেলায় বসবাস করেন তারা কমবেশি সকলেই এই মাঠ সম্পর্কে জেনে থাকবেন। এই মাঠের ২০০ মিটার দূরেই আমার বাড়ি।
ডিভাইস | রেডমি নোট ১০প্রো |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mainuna |
লোকেশন | HWM8+J35 চৌপথী বাজার |
আপনার এলাকায় অবস্থিত ভিন্নধর্মী বটগাছ টার নামটি শুনে হাসি পাচ্ছে ভাইয়া। গাছটি অনেক পুরনো দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। ৩০০ বছর কম কোনো সময় নয়। সুন্দর একটি পোষ্ট গুছিয়ে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
প্রিয় ভাইয়া, আপনার পোস্টি পরে আমার খুবই ভালো লাগলো, অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে পোস্টি সমাপ্ত করেছেন, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া
ধন্যবাদ ভাই।
Thanks friend for inviting mehh....i'll also participate in this contest
Thank you so much sister.
আপনার এলাকার ভিন্নধর্মী নামধারী স্থান সম্পর্কে আপনি অনেক সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। তবে জায়গার নামটি দেখে হাসতে হাসতে আমার অবস্থা খারাপ। তবে এর পেছনের ইতিহাসটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি জেনে অবাক হলাম যে এই গাছটি 300 বছরের পুরনো।প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য। আপনার ব্যবহারকৃত প্রতিটি ছবি অনেক সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু।
Thank you so much for inviting me...
Such a nice post.
Thanks sister.
Wlcm 🤝🏻
আপনি চাইলে কন্টেস্ট এ অংশ গ্রহন করতে পারেন।
Why not ...🤗🤗🤗
Thank you..
আর চাইলে আমাদের কমিউনিটিতে কাজ করতে পারেন। এইখানে পার্মানেন্ট কাজ করলেন অন্য যায়গাতে ডাইরি পোস্ট করলেন। প্রতিসপ্তাহে এইখানে সাপর্ট দেওয়া হয়।
Yaa sure 😃
কাউয়া হাগা বটের তল সম্পর্কে অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই, ৩০০ বছর আগের পুরানো বটগাছ যেখানে অসংখ্য পরিমাণ অবস্থান করতো, তাদের বিষ্ঠা থেকে এই নামের উৎপত্তি। শকুনের অত্যাচার সম্পর্কে জানতে পারলাম। ফটোগ্রাফি দারুন তুলেছেন, বর্তমানে খেলার মাঠ হওয়ার কারণে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
আপু না ভাই
☺️
বটগাছটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি অনেক পুরনো বট গাছ। জায়গাটির নাম আসলেই অনেক মজার। এরকম মাঠ থাকলে সব গ্রামের ছেলেরাই সেখানে ক্রিকেট বা ফুটবল খেলবে। খুবই চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
কাউয়া হাগা বটের তল এই জায়গার নাম কি বৃটিশরা দিয়েছিল নাকি মামু।🙂তবে তোরা সুন্দর করি বর্ণনা করেছেন। ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে।
এতো আগের জিনিস বা কে যে দিছে নাম।তবে মনে হয় ব্রিটিশদের চ্যালারা দিয়েছিলো।
নামটি শুনে হাসি পাচ্ছে ভাই।কাওয়া হাগা😆😆। তবে এই গাছটি সম্পর্কে দারুন লিখেছেন আপনি।ভালো করে দেখেন আপনার গায়েও আবার কখনো হেগে দেয় নাকি। এই জায়গায় শকুন ও কাক বসবাস করত বর্তমানে কি তারা এখনো বসবাস করে এখানে? ফটোগ্রাফি এগুলো খুব সুন্দর করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
শকুন প্রায় ১০ বছর আগে দেখেছিলাম এখন আর দেখা যায় না।