মানুষের বানানো কৃত্রিম ঝর্ণা ⛲|| ১৫ জুলাই ২০২৩
হ্যালো ব্লগার,
আশা করি সকলে ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আমি আজকে আপনাদের সাথে মানুষের বানানো কৃত্রিম ঝর্ণা নিয়ে আলোচনা করব।
|
---|
আপনারা কম বেশি সকলেই এই ধরনের ঝর্ণা দেখে থাকবেন। এই সকল ঝর্ণা মূলত কোন পার্কে বা পিকনিক স্পটে দেখতে পাওয়া যায়। এজন্য এই ঝর্ণা গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। কৃত্রিম হলেও অনেক আনন্দ দিয়ে থাকে মানুষের মাঝে।এই সকল কৃত্রিম ঝর্ণায় মানুষ গোসল করে অনেক আনন্দ উপভোগ করে। বেশ কয়েকদিন আগে আমরাও কয়েকজন মিলে গিয়েছিলাম বিরামপুরে গোসল করার জন্য। সেখানে আমি এই কৃত্রিম ঝর্ণা টি দেখতে পাই এবং দেখে আমার ভালো লাগে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য চলে আসলাম।
প্রথমে আপনাকে এই ঝর্ণার কাছে যাওয়ার জন্য টিকিট কাটতে হবে। টিকিট মূল্য একশত টাকা করে জনপ্রতি। আমরা তিনজন গিয়েছিলাম সেখানে ৩০০ টাকা দিয়ে তিনটি টিকিট কেটেছি।টিকিট কাটার পর সেখানে গোসল করার জন্য আপনার কোন টাকা দিতে হবে না কারনএকবারেই সেই মূল্য নিয়ে নেয়।অনেকদিন থেকে সেখানে গোসল করতে যাওয়ার প্ল্যান করতে ছিলাম কিন্তু কোন সময় হইতেছিলো না। অবশেষে সেখানে গোসল করতে যাওয়ার সুযোগ হয় এবং আমি আমার এক ছোট ভাই এবং বড় ভাই তিনজন মিলে গোসল করতে যাই।
ঝর্ণার কাছে যাওয়ার জন্য খুব সুন্দর একটি কাঠের বীজ দেওয়া হয়েছে। সেই ব্রিজটি বানানো হয়েছে গাছের কাঠ দিয়ে। ব্রিজটি দেখতে অনেক সুন্দর। আধুনিক মডেলে নির্মাণ করা এই ব্রিজটিতে অনেকেই দাঁড়িয়ে ছবি তোলে। ব্রিজের সাথেই বানানো হয়েছে একটি পুকুর। পুকুরটি দেখতে হুবহু কোনো সমুদ্রের মতো কারন এখানে এমন ভাবে পাথর বসানো হয়েছে যা দেখতে সমুদ্রের মতো লাগে।ঝর্ণা থেকে পানি পড়ে সমুদ্রের মধ্যে পড়তেছে এই ফিল মানুষকে দেওয়ার জন্যই হয়ত এমনটি করেছে পার্ক নির্মাতা।
ঝর্ণা দিয়ে যে পানিগুলো পড়তেছে তা সরাসরি মটর থেকে উঠতেছে যার কারণে পানিগুলো অনেক ঠান্ডা এবং গোসল করতে মজা লাগে। আমি বেশ কয়েকবার গিয়েছি সেখানে আমার খুব ভালই লাগে। আমার ভালো লাগার কিছু কারণ ও রয়েছে প্রধানত সেখানে গোসল করার জন্য বাড়তি কোনো টাকা দিতে হয় না টিকেট কাটলেই গোসল করা যায়। আরেকটি সুবিধা হলো পরিবার নিয়ে সেখানে গেলে আপনাকে যেন কেউ বিরক্ত না করে সেই জন্য তারা প্রটেকশন করে।
সবমিলিয়ে আমার বিরামপুর একুয়া থিম পার্কের এই কৃত্রিম ঝর্ণাটি অনেক ভালই লেগেছে। আপনারা যারা দিনাজপুর থাকেন বা বাড়ি দিনাজপুরে তারা ঘুরতে যেতে পারেন।
Device | Readme Note 10Pro |
---|---|
Photographer | @mainuna |
Location | 9X9W+746 Birampur |
একা একা পার্ক ঘুরি বেড়াছেন মামু এটা কি ঠিক হওছে। 🙂 গোসল ও করি বেড়াছেন। তাও আবার ঝর্ণায়। মানুষের তৈরি কৃত্রিম ঝর্ণা পার্কে গেলে লক্ষ্য করা যায়।
তোমার মামু নিয়ে গেছিলো বা। মামি কে নিয়ে আসিয়েন একদিন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মানুষের বানানো কৃত্রিম ঝর্ণায় কখনো গোসল করার সৌভাগ্য হয়নি। প্রাকৃতিক ঝর্ণায় অনেকবার গোসল করেছি।সেই ঝর্ণার পানি অনেক ঠান্ডা থাকে। চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই।শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।
বাহ্ অসাধারণ একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাই।আমি এইরকম কৃত্রিম ঝর্ণায় গোসল করি নাই।মানুষের তৈরি কৃত্রিম ঝর্ণা দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনি সুন্দর ছবি তুলছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ পলাশ।
মানুষের তৈরি কৃত্রিম ঝর্ণা পার্কে গেলে দেখা পাওয়া যায়। তারা নিখুঁতভাবে এই ঝর্ণা তৈরি করে থাকেন। এখন অনেক পার্কের মুল আর্কষণ হলো ঝর্ণার পানি।
ধন্যবাদ আপু।
রংপুরে চিকলি ওয়াটার পার্কেও একটি মানুষের তৈরি ঝর্না আছে। সেখানে আমি বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম। তবে শুধুমাত্র ঝর্ণা দেখার জন্য ১০০ টাকা দিয়ে টিকিট একটু বেশী হয়ে গেছে। কৃত্রিম ঝর্ণা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।
শুধু ঝর্ণা না সুইমিং করার আলাদা পুল আছে আবার পার্কে ঢুকানোর টিকেট সবমিলিয়ে ১০০.
জি ভাই ঠিক বলেছেন কৃত্রিম ঝর্ণা এখন পার্কের মুল আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব ঝর্ণায় গোসল করার জন্য দর্শনার্থীদের উপড়ে পড়া ভীড় থাকে। স্বপ্নপুরীতে আমি এরকম একটি ঝর্ণা দেখেছি, এবং ভিন্ন জগতেও রয়েছে। বিরামপুর একুরা থিম পার্কের ঝর্না দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কবে নিয়ে যাবেন ভাই? অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
মানুষের হাতে বানানো কৃত্রিম ঝর্ণার পোস্ট দেখেই ভাল লাগল। আমি কখনোই থিম পার্কে যাইনি দেখার সৌভাগ্য হয় নি বলা যায়। এবার দিনাজপুর গেলে থিম পার্কের বানানো কৃত্রিম ঝর্ণার দেখার চেষ্টা করব।
সজীব মামাকে নিয়ে আসেন।আমি নিয়ে জাবো।
আপনারা খুব সুন্দর একটি জায়গায় ভ্রমণ করেছেন। কৃত্রিম পানির ঝর্ণা হলেও সেগুলো দেখতে খুবই চমৎকার লাগছে। খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ আপু।