কাঠ দিয়ে বানানো বিভিন্ন রকমের শোপিস || ০৬ আগষ্ট-২০২৩

in Steem For Traditionlast year (edited)

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সকলে ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আমি আজকে আপনাদের সাথে কাঠ দিয়ে বানানো কিছু হাতে বানানো শিল্প তুলে ধরব। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।


কভার ফটো



কাঠ দিয়ে যে কত রকমের আসবাবপত্র তৈরি করা হয় তা আমাদের ধারনায় নাই। কাঠ দিয়ে যেমন বাসা বাড়ি নির্মাণ থেকে শুরু করে অনেক আধুনিক জিনিসপত্র বানানো হয় তেমনি বানানো হয় অনেক রকমের শোপিস। আমি বেশ কয়েকদিন আগে স্বপ্নপুরীতে ঘুরতে যাই আর সেখানে দেখা মেলে কাঠ দিয়ে বানানো হরেক রমকের আসবাবপত্র। কাচ বা প্লাস্টিকের তুলনায় কাঠের বানানো আসবাবপত্রের দাম তুলনামূলক অনেক বেশি। কারন কাঠে খোদাই করে বসানো হয় বিভিন্ন রকমের নকশা। কাঠের বানানো এই নকশা গুলো শোভা পায় বাসায় বাড়িতে এবং বিভিন্ন দোকানে। কাঠ দিয়ে বানানো কয়েকটি জিনিস হলোঃ-কলমদানি,মানুষের লেখা নাম এবং প্রথম অক্ষর, রেহেল এবং ডিজাইন করে বানানো বিভিন্ন রকমের বাড়ি ও তাজমহল।



আপনারা চাইলে সেই দোকান থেকে মূহুর্তের মধ্যেই আপনার নাম বা প্রিয় জনের নাম লিখে নিতে পারবেন। নাম সুন্দর দেখানোর জন্য বিভিন্ন রকমের রং এবং জরি বসানো হয়। দোকান গুলো থেকে কাঠের বানানো নাম নিলে আপনাকে পরিশোধ করতে হবে মাত্র ৫০ টাকা। অনেকে নামের অক্ষর নিতে পারে তাদের দিতে হবে মাত্র ১০ টাকা। একবার চিন্তা করেন একটি গাছ বিক্রি করলে দাম হয় ২-৩ হাজার টাকা কিন্তু সেই গাছে কাঠ বানাই রুপ পরিবর্তন করে এমন নকশ করেল কত টাকা দাম হয়। বর্তমানে মানুষের রুচির পরিবর্তন ঘটেছে চাহিদা বেড়েছে হাতে বানানো জিনিসের। দোকানগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি দাম কলমদানি গুলোর। কলম দানিতে আবার সেট করা হয়েছে বিভিন্ন রকমের লাইটিং এবং নকশা। নকশার আদলে থাকা আলো জ্বলতেই দেখা যায় নকশা গুলো এই গুলোর দাম ৩০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত।



এই ছবিটির দিকে তাকালেই বুজতে পারবেন কত রকমের জরি বসানো হয়েছে নাম গুলোতে। আপনার তো অনেকেই কমবেশি স্বপ্নপুরীতে ঘুরতে গিয়েছিলেন তারা অবস্যই এই দোকান গুলো দেখে থাকবেন। দোকান গুলোতে ছুটির দিনে সবথেকে বেশি ভিড় দেখতে পাওয়া যায় কারন শুক্রবারে সববেশি বেশি মানুষ আসে ঘুরতে। বিশেষ করে সরকারি মানুষের ভিড় বেশি দেখতে পাওয়া যায়। নকশা করা তাজমহল গুলো অনেক সুন্দর ছিলো দোকানে কিন্তু দাম অনেক বেশি যার কারনে নিতে পারিনাই। একটি নকশা করা তাজমহলের দাম ৩০০ টাকা থেকে শুরু হয়। আমার অবশ্য ভালই লেগেছিলো ২০০ টাকায় দিলে আমি কিনতাম।



আপনারা অনেকেই ঘুরতে গিয়ে এইগুলা কিনে থাকেন যা আমাদের স্বপ্নপুরীতে ঘুরতে যাওয়ার সৃতি মনে করিয়ে দেয়। সবমিলিয়ে আমার স্বপ্নপুরীতে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি অনেক ভালো ছিলো। আমি প্রায় ৩০+ বার গিয়েছিলাম। আপনারা কে কতবার সেখানে গিয়েছিলেন কমেন্ট করে জানাবেন।




ডিভাইস সংক্রান্ত তথ্যবলিঃ
ডিভাইসরেডমি নোট ১০প্রো
ফটোগ্রাফার@mainuna
লোকেশনG348+CHJ Barabala

Sort:  
 last year 

বিভিন্ন ধরনের মেলা কিংবা দর্শনার্থীরা ভিড় করে এমন জায়গায় এসব শোপিসের দোকান বসে। কাঠের এই কারু কাজ আসলেই চমৎকার। বিভিন্ন রঙের জরি ব্যবহার করে এগুলোকে আরো সুন্দর করে তৈরি করা হয়। ভ্রমণ করতে গিয়ে অনেকেই চিহ্ন হিসেবে আবার অনেকেই ঘর সাজানোর জন্য এসব শোপিস কিনে আনে। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ধন্যবাদ।

Loading...
 last year 

দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। আপনার পোস্টটি দেখে স্বপ্নপুরীতে ঘুরতে যাওয়ার কথা মনে হল। আমার বাসায় বেশ কয়েকটি শোপিস রয়েছে। আমি সেগুলো স্বপ্নপুরী থেকে নিয়ে এসেছিলাম। এখানে বিভিন্ন নাম দেখতে পেলাম আপনার ফটোগ্রাফিতে। একটি নাম মনের অজান্তেই খুজলাম কিন্তু সেটা পেলাম না। চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন শুভকামনা রইল

 last year 

কার নাম ভাই এক্স নাকি 😁।

 last year 

কাঠের তৈরি এমন সুন্দর সুন্দর নামের ডিজাইন ঘর বাড়ি আমার খুবই ভালো লাগে, আপনার ফটোগ্রাফিতে অসম্ভব সুন্দর সুন্দর কিছু ডিজাইন দেখলাম, ডিজাইন গুলো মনে ধরেছে ভাইয়া, আর এটা সত্যি যে সব মানুষেই এখন হাতের তৈরি জিনিসের চাহিদা অনেক বেশি, অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাইয়া, ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিলো, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ।

Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.

Manually curated by @jasonmunapasee

r2cornell_curation_banner.png

 last year 

Thanks sir,

 last year 

কাঠ দিয়ে বানানো এই শোপিস গুলো আমি প্রথম স্বপ্নপুরীতে দেখেছি। ওখান থেকে আমি আমার বোনের নাম ও একটি কাঠের ঝুড়ি নিয়েছিলাম।কিন্তু দূর্ভাগাক্রমে কাঠের লেখা নামটি বাসায় আসার সময় বাসেই এটি ভেঙে যায়। কিন্তু কাঠের ঝুড়িটি এখানো আমাদের বাসায় রয়েছে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া কাঠের তৈরি শোপিস নিয়ে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আপনাকেও ধন্যবাদ।

 last year 

আপনাকেও ধন্যবাদ।

 last year 

কাঠ দিয়ে বানানো এসব শোপিস বিভিন্ন পার্কে দেখা যায়, আমি একবার রংপুর ভিন্ন জগতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আমার নাম কিনে নিয়ে আসছিলাম। এখনো আমাদের বাড়িতে সেটা রয়েছে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই, ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

কাঠের তৈরি জিনিস গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগে।তারা নিজে সুন্দর করে নকশা তৈরি করেন।কাঠ দিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র তৈরি করে।আমিও শ্বপ্নপুরীতে এইরকম কাঠের তৈরি জিনিস দেখছি।আমি এইরকম কাঠের তৈরি জিনিস দেখার পর আমার এবং আমার বড় ভাইয়ের নাম কিনে নিছিলাম।আপনি সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

ধন্যবাদ।

 last year 

পিকনিক স্পটে এই দোকানগুলো সব থেকে বেশি দেখা যায়। এই অক্ষর গুলো মূলত কাঠের। কাঠ খোদাই করে বিভিন্ন ধরনের অক্ষর তৈরি করা হয়। আর সেই অক্ষর গুলো আবার একটি সাথে আরেকটি লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের নাম তৈরি করা হয়। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শোপিস তৈরি করা হয়। আপনার তোলা ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 67059.35
ETH 2672.35
USDT 1.00
SBD 2.72