প্রতিযোগিতার ১৫তম সপ্তাহ -শৈশবের সৃতি | ১০ মে ২০২৩
আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। প্রতিযোগিতার ১৫তম সপ্তাহ -শৈশবের সৃতি নিয়ে আপনাদের সাথে কিছু আলোচনা করব।
|
---|
শৈশবের সৃতিচারণ করেনা এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে। ছোট বেলায় ফিরে যাওয়ার আকুতি সবার মনে নাড়া দেয়। রাস্তায় ছোট বাচ্চাদের মারবেল খেলা দেখলে দাঁড়িয়ে খেলা উপভোগ করেনা এমন ছেলে কম আছে। মারবেল খেলা আমাদের একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা। অনেক প্রাচীনকাল থেকে আমাদের দেশে এই মারবেল খেলা একটি অতিপরিচিত খেলা হিসাবে পরিচিতি লাব করেছে। মারবেল শুধু একটি খেলা না আমাদের জন্য আবেগ। আমি নিজেও মাঝে মাঝে এই খেলা দেখতে গিয়ে খেলতে শুরু করে দেই। কত সৃতি মনে পড়ে যায় তার হিসাব নাই। এই খেলার জন্য কত যে স্কুল পালিয়েছি! তার হিসাব নাই।
লাল মারবেল কেনার জন্য টাকাই জমাইতাম আমি। স্কুল বাসার কাছে হওয়ায় আমাকে ২ টাকা দিতো স্কুলে যাওয়ার জন্য সেখানে থেকে টাকা না খেয়ে মারবেল কেনার জন্য টাকা জমাই রাখতাম। গ্রামে মারবেল বিক্রেতা মারবেল বলে চিল্লি দিতো আবার অনেক সময় গুটগুটি বাজাতো আর সাথেই আমি দৌড়ে আসতাম মারবেল কেনার জন্য। আপনাদের বলে রাখি মারবেল কে আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় গুলি বলি থাকি। একবার আম দুদ মারবেল কিনতে গিয়ে টাকা ছিলো না তাই চাল দিয়ে মারবেল কেনার জন্য কি পরিমান মার খেয়েছিলাম তার হিসাব এখন আর নাই। বলা হয় না কিছু সৃতিচারণ আমাদের মনে যুগযুগ টিকে থাকে তেমনি মারবেল খেলার ইতিহাস আমার মনে দাগ কেটে আছে।
![]() | ![]() |
---|
মারবেল খেলা অনেক প্রকার পচলিত আছে এখন বলব কিভাবে খেলা হইতো সেই খেলা। আমরা আমাদের এলাকায় একটা খেলা খেলতাম এইটার নাম ছিলো গাই-বাছুর। এই খেলা খালার জন্য একটা ছোট ঘর কাটা হতো কোণাকুণি ভাবে। সেখানে মাঝখানে থাকত গাই যে এই গাই বাহির করতে পারতে সে সব গুলি পেয়ে যেতো। মাঝখানে থেকে বাহির করতে গিয়ে অনেকেই অন্য গুলির সাথে লাগাই ফেলতো। অন্য গুলির সাথে লাগলে আমরা সেটাকে লচ্চা বলি। সে যতটা গুলির সাথে লাগাবে বাড়তি ততটা গুলি বসাতে হবে ঘরে। আমি যখন খেলতাম আর টার্গেট ছিলো শুধু গাই। একটু কাছাকাছি গিয়েই হাতের ব্যালেন্স ঠিক থাকায় গাই উঠে নিয়ে জাইতাম।
খেলার গুলি গুলো আমি বোতলে ঢুকে রাখতাম। যে বোতল টা ছবিতে দেখতে চাইতেছেন সে আমার খেলার গুলি রাখা আছে। এই গুলি গুলো ৩ বছর আগে খেলে রাখছিলাম সেগুলো এখোনও এমন আছে। গ্রুপে শৈশবের সৃতিচারণ দেখেই গুলির বোতল বাহির করে ছবি তুলার জন বাহির হইছি। আমার কাছে গুলি খেলা একটা আবেগ। আমার ভাতিজাকে বাসা থেকে নিয়ে এসে গুলি খেলার জন্য বসাই দিয়েছি। আমাদের চাচা ভাতিজার গুলি খেলা দেখে আরো দুইজন এসে দাড় হয়ে তারাও খেলতে চায় বলে আমাদের বলেন তারা।
![]() | ![]() |
---|
শৈশবের সৃতিচারণ গুলো অনেক অদ্ভুত ছিলো। ছিলো না কোনো মানসিক টেনশন। সারাদিনে খেলা ধুলা নিয়ে পড়ে থাকতাম। বিশেষ করে রমজান আস আসলে আমাদের গুলি খেলার চাহিদা বেশি বেড়ে জাইতো। আমরা তখন সবাই মিলে দল বেধে বেশি করে খেলতান সময় পার করানোর জন্য। গ্রামের অনেকের বাসায় খুজে পাবেন আগেকার দিনের মারবেল তারা কেউ হয়ত কোথাও ফালাই রেখেছিলো এখন সেগুলো বাহির হয়ে যায়।
![]() | ![]() |
---|
শৈশবের সৃতিচারণ গুলো অনেক অদ্ভুত রকমের ছিলো।এখনকার মতো এতো মানসিক ও পারিবারিক টেনশন ছিলো না। যতো বড় হতে থাকি আমাদের আনন্দ ততবেশি কমে যায়। আমার বড় ভাই আমাকে হাতে ধরে মারবেল খেলা শিখাইতো।আমি সেভাবেই খেলতাম। আবার অনেক সময় মারবেল খেলতে গিয়ে অনেক মারামারি করেছি সেগুলাও আমার বেশ মনে আছে। আমার কাছে শৈশবের সবথেকে জনপ্রিয় খেলা ছিলো মারবেল খেলা। @hayat90 @obikay আমাদের কমিউনিটিতে আপনাদের স্বাগতম।
ডিভাইস | রেডমি নোট ১০প্রো |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mainuna |
লোকেশন | পার্বতীপুর,দিনাজপুর |
ছবি তোলার সময় | দুপুর ২ টা |
আপনার পোস্ট পড়ে এবং দেখে ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল ভাই।ছোট বেলায় অনেক মার্বেল খেলতাম।এই মার্বেল কে আমাদের অঞ্চলিক ভাষায় গুলি বলি। এই খেলার সাথে বহু দিন সম্পর্ক ছিল। মাদ্রাসায় পড়ার পরেও এই মার্বেল খেলেছি।আপনি খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপাস্থপনা করেছেন ভাই। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ।
ভাই অসাধারণ শৈশবের স্মৃতি ফুটিয়ে তুলেছেন, খুব মিস করি সোনালী শৈশব কে । আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। মার্বেল খেলা আমার খুব পছন্দের ছিল, ছোট সময় মার্বেল খেলতাম এবং মায়ের বকুনি খেতাম। সেই স্মৃতি চোখের সামনে ভাসিয়ে তুলেছেন। অসম্ভব সুন্দর হয়েছে ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ছোটবেলায় বেশ ভালোই খেলতাম আমি মার্বেল।মার্বেল খেলার বেশ পারদর্শী ছিলাম। ফটোগ্রাফি গুলো আসলে আপনার খুব দারুণ হয়েছে ভাই দেখে অনেক ভালো লাগলো।শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে গেল খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
শৈশবের স্মৃতি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।আমিও ছোট বেলায় অনেক বার এই মারবেল খেলা খেলেছি।এই মারবেল খেলার জন্য আমি বাসায় অনেক বার মার ও খেয়েছি। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে।
ধন্যবাদ ভাই।
শৈশবের স্মৃতি অনেক মধুর হয়। আর গুলি খেলা তো শৈশব কে ঘিরে থাকে সব সময়। সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি। আপনার পোস্ট টি পড়ে অনেক ভালো লাগল ভাই। ধন্যবাদ
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার পোস্টটি দেখে ভাই ছোটবেলার স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেল।বছরে অল্প কয়েক দিনের জন্য গ্রামের বাড়িতে যেতাম। সেখানে এরকম মার্বেল খেলায় মেতে থাকতাম সারা দিন। এক টাকায় দশটি মার্বেল পাওয়া যেত তখন। ভালো লিখেছেন শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।
ছোট বেলায় দেখতাম আমাদের বাসার সামনে গলিতে অনেকে রাস্তায় বসে এই মার্বেল নিয়ে খেলা করত। অবশ্য এখন আর এগুলো দেখা যায় না।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সত্যিই আপনার শৈশব কালের স্মৃতি গুলো অনেক সুন্দর ছিল। সত্যি কথা বলতে সকলের এই শৈশব কাল গুলো অনেক সুন্দর ভাবে কেটে যায় এবং সবাই শৈশবেই থেকে যেতে চাই কিন্তু সময় তো আর কারো জন্য অপেক্ষা করে না। আপনার শৈশবকালে স্মৃতিগুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাই।
এ সময় এই মার্বেল খেলার বস ছিলাম। দুই তিন ব্যাগ মার্বেল বাড়িতে সব সময় পড়ে থাকতো। আগের মত আর মার্বেল খেলা কেমন দেখা যায় না। এখন বাচ্চারা বাড়িতে মোবাইল ফোনে আসক্ত তাই এখন এই মার্বেল খেলা দেখাই যায় না। ধন্যবাদ ভাই প্রতিযোগিতামূলক পোস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া।