গ্রামীন মেলায় একটি কৃত্রিম ফুলের দোকান যাকে আমরা সৌন্দর্য বিক্রেতাও বলতে পারি।। ২১ জুলাই ২০২৩
হ্যালো ব্লগার
আশা করি সকলে ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি।আমি আজকে আপনাদের সাথে কাপড় দিয়ে বানানো একটি ফুলের দোকানের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব।
|
---|
আপনারা কমবেশি সকলেই এমন কৃত্রিম ফুলের দোকান গুলো দেখেছেন। অনেকের বাড়িতেই এমন ফুলের সোপিস পাওয়া যায়।আগেকার দিনে সবথেকে বেশি দেখা যেতো। প্রায় ১০ বছর আগেই এর প্রচলন ছিলো অনেক বেশি কিন্তু বর্তমানে এর ব্যবহার হয় নাই বললেই চলে। আগেকার দিনে ঈদের মাঠে গেলে সবথেকে বেশি দেখা যেতো কাপড় দিয়ে বানানো এই সকল ফুলের দোকান।এই দোকান ওয়ালাদের বাসায় সাধারণত এই ফুল গুলো বানায়। সুন্দর করে কাপড় কেটে কুচি কুচি করে গুনার তারের সাথে পেচিয়ে বানানো হয়ে থাকে এই ফুলের টব বা ফুলদানি। প্রথমেই কাপড় দিয়ে পুরা একটি ফুলগাছ বানিয়ে নিচের দিকে টপ হিসাবে দেওয়া হয় প্লাস্টিকের কৌটা। প্লাস্টিকের কৌটা ব্যবহার করলে গুলদানিটা ভারি হয় না।
বেশ কিছুদিন আগে আমি তৌফিক ভাই এবং ব্যাচেলর টিমের সভাপতি সোহান ভাই মিলে মেলায় ঘুরতে যাই।মেলায় গিয়েই প্রথমেই রাস্তার ধারে আমার চোখে পড়ে এমন একটি কৃত্রিম ফুলের দোকান আর তাই এই দোকান নিয়ে না লিখে পারলাম না। আমি ফুলগুলো অনেক সুন্দর ভাবে নেড়ে দেখতেছিলাম আর তৌফিক ভাই দামাদামি করতেছিলো।আমি অবশ্য কোনো ফুল নেই নাই। সেই দোকানে হরেক রকমের ফুল ছিলো। ফুলের ধরন অনুযায়ী দাম ছিলো কমবেশি।টিস্যু দিয়ে বানানো ফুলের দাম ছিলো ৩০ টাকা। দোকান ওয়ালা মামা বলল এই ফুল সবথেকে বেশি বিক্রি হয়ে থাকে।
প্লাস্টিকের বানানো ফুলের দাম একটু কম হয়ে থাকে। যারা বলতেছে বাসায় সাজিয়ে রাখবে তাদের জন্য জরি মাখিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে দিতেছে ফুলের টব।এরজন্য বাড়তি কোনো টাকা নিতেছে না ফুল বিক্রেতা।ফুল বিক্রেতাকে আমরা সৌন্দর্য বিক্রেতাও বলতে পারি। ফুল বিক্রেতা মামার বয়স ৭০ বছর তবুও বিক্রি করেন ফুল। হয়ত বা মামি বাসায় এই ফুল গুলো বানায়। তবে তিনি অনেক অল্প টাকা আয় করেন। জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন সবকিছু বাদ দিয়ে দিনে ৪০০-৫০০ টাকা থাকে। বিভিন্ন মেলায় বা ধর্মীয় সভায় এই দোকান ওয়ালা মামাকে দেখলে দেখবেন উনি সবসময় হাসি মুখে এই ফুলগুলো বিক্রি করেন।
সবমিলিয়ে মেলায় দেখা সেরা দোকান গুলোর মধ্যে ছিলো ফুল বিক্রেতা মামার দোকান। আমরা ফুলের দোকানে বেশ সময় কাটিয়েছি। দোকানে রাখা সব ফুলেই আমার ভালো লেগেছে। আপনারা চাইলেই এমন ফুলদানি গুলো কিনে বাসায় রাখতে পারেন এতে করে অনেক দিন ভালো থাকবে ফুলগুলো। কারন কাপড় দিয়ে বানানো তাই নষ্ট হবে না।
ডিভাইস | রেডমি নোট ১০প্রো |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mainuna |
লোকেশন | G2HP+FRH শাল ঘরিয়া |
Although artificial, they do look nice.
Thank you so much.
মেলায় গেলে বা শহরের দোকান গুলোতে কাগজের তৈরি ফুল পাওয়া যায়। দূর থেকে এই সব কাগজের ফুল দেখলে জীবন্ত ফুল মনে হয়।
জি মামা।
কৃত্রিম ফুলের দোকান বা কাগজের ফুলের দোকান বাজারে অনেক দেখা যায়। মানুষের এগুলো ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য শোপিস হিসাবে ব্যবহার করা হয়। আপনি অনেক সুন্দর লিখছেন ভাই। ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ ভাই
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই।
কৃত্রিম ফুল গুলো সাধারণত ঘরবাড়ি সৌন্দর্য বাড়ায়। এই কৃত্রিম ফুল গুলোর দোকান শহর অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। আমার বাড়িতেও দুইটি কৃত্রিম ফুল রয়েছে যা অনেক পুরনো। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
এই প্লাস্টিকে তৈরি ফুলগুলো আমরা সাধারণত ঘরে ফুলদানিতে স্থাপন করে থাকি। ঘরকে সৌন্দর্য বর্ধিত করতে এই ফুল গুলো ব্যবহার করা হয়।আফতাব গঞ্জের মেলায় এই ফুলের দোকান সম্পর্কে খুব সুন্দর লিখেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে আপনার ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/NoorAmi17031375/status/1682218768536322048?t=0NkGGEb5947Ig0UKB7IOwA&s=19
গ্রামীন মেলায় ফুলের দোকান নিয়ে খুবই চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন। কাগজ ও কাপড়ের বানানো এই রঙিন ফুলগুলো ঘরের ভিতর রাখলে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। ছোটবেলায় আমিও মেলা থেকে এরকম ফুল কিনতাম। ছবিগুলো সুন্দর তুলেছেন।
ধন্যবাদ ভাই।
ঠিক বলেছেন ভাই।
গ্রামীণ মেলায় এরকম ফুলের দোকান অনেক দেখা যায়।ছোট বাচ্চারা এসব ফুল অনেক পছন্দ করে। অনেকে আবার এগুলো নিয়ে ফুলদানিতে সাজিয়ে রাখে। চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাই।
আপনি দারুণ একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।আপনার তোলা ফুলের ছবি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো।তবে ৭০ বয়সে এখনো তিনি ব্যবসা করতেছেন।বাসায় এগুলো ফুল রাখলে সেখানকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাই।ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ।