বাংলাদেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এক শিল্পের নিদর্শন হচ্ছে শীতলপাটি ||steemCreated with Sketch.

in Steem For Traditionlast year

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সকলে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আমি আজকে আপনাদের সাথে ঐতিহ্যবাহী শীতলপাটি নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।


কভার ফটো


made by canva

প্রাচীনকাল থেকে আমাদের দেশে এই শীতলপাটি ব্যবহার হয়ে আসছে। হাতে বানানো মানুষের এক অনন্য কারুকার্য হলো শীতলপাটি। শীতলপাটিতে বিভিন্ন ধরনের নকশা আর্ট করে রূপ দেওয়া হয়। আমি বেশ কিছুদিন আগে একটি গ্রামীন মেলায় গিয়েছিলাম আর সেখানে একটি দোকানে শীতলপাটি বিক্রি করতে দেখতে পাই। বিভিন্ন ধরনের মেলা ছাড়া এমন শীতলপাটি এখন দেখতে পাওয়া যায় না। বর্তমানে মানুষের রুচির পরিবর্তন ঘটেছে আবারো মানুষ বুকে প্রাচীন ঐতিহ্যকে লালন করতে শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতা বয়ে চলেছে এই শীতলপাটির দোকানে। আমি অনেক সময় ধরে এখানে অপেক্ষা করেছিলাম ছবি তোলার জন্য। শীতলপাটি অনেক প্রাচীন একটা আবিষ্কার হলেও এখনো এর চাহিদা রয়েছে অনেক বেশি।



শীতলপাটির মধ্যে শোভা পেয়েছে কবুতরের ছবি,বীরের ছবি, হাতি,ঘোড়া ইত্যাদি আরো অনেক কিছু। শীতলপাটি যত বেশি ভারি করে বানানো হয় এর মূল্য ততই বেড়ে যায়। শীতলপাটি দিয়ে নকশা আর্ট করা বেশ কঠিন কাজ। আগেকার দিনে রাজ্যের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য এই শীতলপাটি ব্যবহার করতো। শীতলপাটির ওই পাটি দিয়ে বানানো হয় হাতপাখা সহ আরও অনেক কিছু। শীতলপাটি নকশার ধরনের উপর নির্ভর করে দাম কমবেশি হয়ে থাকে। শীতলপাটি উপরের অংশে বসানো হয় নকশিকাঁথার মতো ডিজাইন যা অনেক বেশি ফুটিয়ে তোলে। আমাদের দেশ ছাড়াও এমন শীতলপাটি গুলোর চাহিদা রয়েছে ভারতে। আমাদের দেশ থেকে প্রচুর পরিমানে শীতলপাটি ভারতে রপ্তানি করা হয়।



চিত্রে যে শীতলপাটি গুলো দেখতেছেন এইগুলোর সাথে কমবেশি সকলে আমরা পরিচিত। গ্রামের অনেকেই এই শীতলপাটি গুলো বিক্রি করতে আসে৷ বর্তমানে গ্রামে কম দেখতে পাওয়া যায় এই শীতলপাটি গুলো। এই শীতলপাটি গুলো দাম তুলনামূলক অনেক কম হয়। ৪ হাত লম্বা একটি শীতলপাটি বিক্রি হয় ১৫০ টাকা করে। এই শীতলপাটি গুলোর চাহিদা গ্রামে ভালই রয়েছে। কোনো আত্মীয় আসলেই তাদের এই শীতলপাটি গুলোতে বসতে দেওয়া হয়। গ্রামে এই শীতলপাটি গুলোর চাহিদা বেশি থাকলেও শহরে নকশা করা শীতলপাটির চাহিদা অনেক বেশি থাকে।



শীতলপাটির পাটি গুলো দিয়ে এমন সুন্দর করে নকশা করা হয় যা দেখে সকলের মনে ধরে। আমি এই হাতপাখা গুলো অনেক বেশি বিক্রি হতে দেখেছি যা তারা পাটি দিয়ে বানিয়েছে। এই হাতপাখা গুলো অনেক নরম হয়। বাঁশের বানানো পাখার মতো শক্ত না। এইগুলো হাতপাখা আপনারা চাইলেই পকেটে করে নিয়ে ঘুরতে পারেন। আপনারা ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন এর ভিতরে অনেক সুন্দর করে নকশা করা আছে যা মানুষের পছন্দের মূল কেন্দ্রবিন্দু।



বর্তমান সময়ে এমন গ্রামীন মেলায় অস্থায়ী দোকান গুলোই আমাদের শীতলপাটির ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। আমি মনে করি শীতলপাটির মতো একটি ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার জন্য আমাদের বাসায় শীতলপাটি ব্যবহার করা দরকার।



Device information:
DeviceReadme Note 10Pro
Photographer@mainuna
LocationG2HQ+C2X শাল ঘরিয়া


Sort:  
 last year 

সত্যি শীতলপাটি আমাদের গ্রাম বাংলা অন্যতম একটি ঐতিহ্য। নকশা করা শীতলপাটি গুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর হয়ে থাকে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে একটি শীতলপাটিকে আমরা সপ বলে থাকি। সেগুলোর দাম খুবই কম। আমাদের গ্রাম অঞ্চলে সপের ব্যবহার বেশি। শীতলপাটি সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া

 last year 

ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

শীতল পাটি নিয়ে দারুণ উপস্থাপন করছেন ভাই। শীতল পাটি আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। শীতল পাটি সৌন্দর্যের প্রতীক। গরমের দিনে গাছের নিচে শীতল পাটি বিছিয়ে গুমাইলে শরিল ঠান্ডা হয়। গ্রাম অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে এসব পাটি বিক্রি করতে দেখা যায়। তুলনামূলক এই পাটির দাম কম। সুন্দর লিখছেন ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ দাদু।

 last year 

গ্রামীণ মেলায় এমন অনেক ধরনের পাটি দেখতে পাওয়া যায়,আমি যদিও কখনো গ্রামীণ মেলায় যায়নি তবে সে সম্পর্কে জেনেছি ইনটারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে।শীতল পাটি গ্রাম অঞ্চলে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।শহরের কিছু মানুষও ব্যবহার করে।অনেকে মেঝেতে বা বিছানায় বিছিয়ে রাখে।গরমের দিনে এ পাটিতে বিশ্রাম নিতে অনেক আরাম লাগে।আমাদের বাসাতেও অনেক দুই ধরনের পাটি আছে যা মাঝে মাঝে মেঝেতে বিছিয়ে বসা হয়।আপনি অনেক সুন্দর করে শীতলপাটি নিয়ে লিখেছেন।আপনার ফটোগ্রাফিও অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আপনাকেও ধন্যবাদ।

 last year 

শীতলপাটি নিয়ে আপনি দারুন লিখেছেন।এই শীতল পাটি আমাদের দেশের ঐতিহ্য।এগুলোর ওপর বসলে গরমে খুবই আরাম লাগে। তবে এখন এগুলোর দামও অনেক। তবে এগুলো তৈরি করা অনেক কঠিন একটি কাজ। আমার খালার বাসায় আমি পাটি তৈরি করা দেখেছি। একটি পাটি তৈরি করতে অনেক সময় লাগে। গ্রামে এই পাটিগুলোর চাহিদা সবথেকে বেশি। তবে শহরে নকশাওয়ালা শীতল পাটি ব্যবহার করা হয়।তবে এখন আপনার নিচের ছবিটির মত নকশাওয়ালা প্লাস্টিকের পাটিও বিক্রি হচ্ছে। তবে এগুলো শীতল পাটির মতো ঠান্ডা না।আপনি সুন্দর কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ।

 last year 

জ্বি আপনি ঠিক বলেছেন আগেকার দিনে রাজ্যের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য এই শীতলপাটি ব্যবহার অনেক বেশি ছিল। কিন্তু এখন আর এগুলো বেশিটা দেখা যায় না। কিন্তু অনেকেই আছে এগুলো ঘরের মেঝেতে দিয়ে রাখে। দেখতে অবশ্য অনেক সুন্দর দেখায়। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য

 last year 

আপনাকেও ধন্যবাদ।

 last year 

খুবই চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট করেছেন ভাই। শীতলপাটি বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী জিনিস। একটা সময় এই শীতল্পাটির অনেক কদর ছিলো। গরমের সময় শীতলপাটিতে ঘুমালে অনেক আরাম লাগে। আজকাল এই শীতলপাটির ব্যবহার অনেক কমে গেছে। কোন মেলায় এই শীতল্পাটির দোকান দেখেছেন ভাই...???

 last year 

আবতাবগঞ্জ মেলায়।

 last year 

অসাধারণ একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। হাতে বুনন করা এই শীতলপাটি গুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর। গ্রামের কম বেশি প্রতিটি বাড়িতে শীতলপাটি এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে বর্তমানে শীতলপাটি গুলোর দাম কিছুদিনের তুলনায় বেশি। শীতল পাটি গুলো দেখতে যেমন সুন্দর ঠিক তেমনি যত্ন করে রাখলে বহুদিন যাবত টেকসই করে। শীতলপাটি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি বিস্তারিত আলোচনা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

আপনাকেও ধন্যবাদ।

 last year 

Feedback / Observation

বাংলাদেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এক শিল্পের নিদর্শন হচ্ছে শীতলপাটি তা নিয়ে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছেন। শীতলপাটি মেলা গুলো বেশি লক্ষ্য করা যায়। এই শীতল পাটি আমাদের বাসায় আছে। শীতলপাটির পাখা গুলো দেখতে অসাধারণ লগতেছে। সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন।

ভুল বানানঃ নাই। 🙂
অনুপস্থিত শব্দ(Missing Word): 🙂
ভাষার গরমিলঃ নাই। 🙂
Regards
@md-sajalislam (Moderator)
Steem For Tradition

 last year 

ধন্যবাদ ভাই।