কন্টেন্ট: আমার এলাকার একটি পুরাতন স্থাপনা ||steemCreated with Sketch.

in Steem For Traditionlast year (edited)

আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সকলে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আমি আজকে স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটির পক্ষ আয়োজিত "এলাকার পুরাতন স্থাপনা" নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। এমন সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য @selimreza1 ভাইয়া কে অনেক ধন্যবাদ জানাই। আপনারা আমার এই প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রিত:- @adivender @green015 @jakaria121


পুরাতন স্থাপনা



আমাদের এলাকায় বেশ কিছু পুরাতন স্থাপনা রয়েছে এর মধ্যে একটি হলো কেলোকা জামে মসজিদ। এই মসজিদটি পার্বাতীপুর উপজেলা পরিষদ থেকে ৩০০ মিটার উত্তর দিকে অবস্থিত।এই মসজিদটি ১৯৮৯ সালের নির্মাণ করা হয়েছিলো। এই মসজিদটি আবাসিক কলোনির ভিতরে অবস্থিত। মসজিদটি যেমন পুরাতন তেমনি দেখতেও অনেক সুন্দর। সবুজ গাছ লতাপাতা ভরা একটি মাঠের মধ্যে অবস্থিত এই মসজিদটি। এই মসজিদের সৌন্দর্য মানুষকে আকৃষ্ট করে থাকে। আমি দুইবার এই মসজিদে গিয়েছিলাম। এই মসজিদে সাধারণত রেইলওয়ে কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা নামাজ আদায় করে থাকে।



মসজিদের দৈর্ঘ ৪০ মিটার এবং প্রস্ত ৩০ মিটার। বলা চলে এটি একটি ছোট শৌখিন মসজিদ। মসজিদের সবদিকে গাছ থাকার কারনে ভিতরে অনেক বেশি শীতল হাওয়া পাওয়া যায়। এর কারনে বিদ্যুৎ না থাকলেও নামাজ আদায় করে শান্তি পাওয়া যায় ভিতরে। তাই অনেক সময় রেইলওয়ে কর্মকর্তারা সেখানে গিয়েই বিশ্রাম গ্রহন করেন। মসজিদের পাশে লাগানো ফল গাছ গুলো থেকে অনেকেই আম পেড়ে খায়। এই স্থাপনাটির কিছু গুনাগুন রয়েছে এখন তা তুলে ধরব।


এই পুরাতন স্থাপনাটির কিছু গুনাগুন:-



  • এই মসজিদটি পুরাতন হওয়ার কারনে এখানে ইসলামি শিক্ষার ব্যবস্থা এখনো চালু আছে। তাই কেলোকাতে থাকা বাচ্চারা কুরআন শিক্ষা করতে পারে এই মসজিদ থেকে।

  • এই মসজিদে একটি ফাউন্ডেশন রয়েছে যা থেকে সহযোগিতা করা হয় অবহেলিত বাচ্চাদের।

  • প্রতি শুক্রবার এই মসজিদটি থেকে বিরিয়ানি বিতরণ করা হয়ে থাকে।



এই মসজিদের গুনাগুন গুলো থাকার কারনে বেশ পরিচিতি এবং সুনাম কামিয়েছে। তবে আমি কখনো বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য এই মসজিদে যাইনি। আগামী শুক্রবার যাওয়ার পরিকল্পনা করব ইনশাআল্লাহ। এই মসজিদটির গঠন প্রনালী এমন ভাবে করা হয়েছে যা প্রায় ১০০ বছর পরেও অক্ষত থাকবে বলে আশা করা যায়। এই স্থাপনাটির জন্য সমস্থ খরচ করেছে সরকারি ভাবে।



পার্বাতীপুরে বসবাসকারী মানুষ যারা আছেন তারা অবশ্য একবারের জন্য হলেও এই নান্দনিক পুরাতন স্থাপনাটি ঘুরে দেখতে পারেন এতে আমি মনে করি আপনাদের ভালো লাগবে। আরা যারা বিরিয়ানি খেতে চান তারা অবশ্যই শুক্রবারে নামাজ আদায় করতে যাবেন তাহলে বিরিয়ানি পাবেন।



ডিভাইস সংক্রান্ত তথ্যবলিঃ
ডিভাইসরেডমি নোট ১০প্রো
ফটোগ্রাফার@mainuna
লোকেশনপার্বাতীপুর, দিনাজপুর।


Sort:  
 last year 

আমার এলাকার একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা কেলোকা জামে মসজিদ নিয়ে আপনি দারুন লিখেছেন। এই মসজিদটি ২০০০ সালে নির্মিত। সুতরাং এই মসজিদটি খুব বেশি পুরাতনও নয়। তবে এই মসজিদটির আশেপাশের প্রকৃতি অনেক সুন্দর। এর চারিদিকে প্রচুর গাছপালা রয়েছে। এ মসজিদটিতে শুক্রবার করে বিরিয়ানি খাওয়ানো হয় এটা আমি প্রথম শুনলাম। তাছাড়া এখানে মক্তবও চালু রয়েছে তা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। বিরিয়ানি খাওয়ার লোভে অনেকেই এই মসজিদে যেতে পারে 😁।এই মসজিদটি সরকারি অর্থায়নে নির্মিত। আপনি মসজিদটি সম্পর্কে দারুনভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। সব মিলিয়ে আপনার উপস্থাপনাটি দারুন হয়েছে। প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আপনাকেও ধন্যবাদ।

সবচেয়ে ভালো লেগেছে এই মসজিদের আশেপাশের পরিবেশটা। মসজিদের সামনে থেকে কি সুন্দর সবুজ ঘাস এবং ছোট ছোট গাছপালা গান হয়েছে। সব মিলিয়ে মসজিদের সামনের পরিবেশটা অনেক সুন্দর।প্রতি সপ্তাহে বিরিয়ানি দেয়া হয় ভাই । এরকম মসজিদ আমাদের এদিকে কেন নেই 🙂।অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি কনটেস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

 last year 

এই এলাকায় বিয়ে করলে খেতে পারবেন ভাই 🙂

 last year 

প্রথমেই আপনার জন্য শুভকামনা রইল। আপনাদের এলাকার পুরাতন এই স্থাপনাটি নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি বিস্তারিত আলোচনা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। শুনে ভালো লাগলো যে এখানে বাচ্চাদের আরবি শিক্ষা দেওয়ার জন্য মক্তবের ব্যবস্থাও করা আছে। চারপাশে পরিবেশটা অনেক সুন্দর ও মনোরম মনে হচ্ছে। সবুজের এরকম পরিবেশে যে কারোর ভালো লাগবে। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ।

 last year 

এলাকা জামে মসজিদ সম্পর্কে ধারণা উপস্থাপন করেছেন ভাই, অবশ্যই একটি পুরাতন স্থাপনা। মসজিদ মুসলমানের জন্য প্রার্থনা করার পবিত্র স্থান। কেলোকার পরিবেশ অনেক সুন্দর, প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে এই মসজিদটি অনেক সৌন্দর্যমন্ডিত। প্রতি শুক্রবার মসজিদটিতে বিরিয়ানি দেওয়া হয় শুনে ভালোই লাগলো, আমার কখনো যাওয়া হয়নি ভাই। তবে অবশ্যই কেলোকার ভিতরে যাওয়ার ইচ্ছা আছে আমার। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন ভাই, প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা রইলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ।

 last year 

ধন্যবাদ ভাই।

 last year 
DescriptionInformation
plagiarism-free
#steemexclusive
Ai Content - free

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.

 last year 

কেলোকা মসজিদ সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। আসলে এই মসজিদটি অনেক পুরনো এবং আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে মসজিদটির ডিজাইন। এবং আমরা একবার এই কোলোকা মসজিদ গিয়েছিলাম এবং মসজিদের সম্ভবত জোহরের নামাজ আদায় করেছিলাম। এবং আমরা কোলোকা মাঠে গিয়ে একবার ফুটবল ও খেলে ছিলাম অনেক সুন্দর একটি জায়গা। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

 last year 

ধন্যবাদ।

 last year 

কেলোকা জামে মসজিদ নিয়ে সুন্দর একটি উপস্থাপনা। কেলোকায় আমি বেশ কয়েকবার গিয়েছিলাম। মসজিদ টি দেখেছি।এটা অনেকর একটি স্থাপনা। এছাড়াও ছাঁয়া নিবিড় পরিবেশে এমন একটি মসজিদ মানুষকে মুগ্ধ করে।

 last year 

ধন্যবাদ।

 last year 

আপনার এলাকার পুরনো স্থাপনা মসজিদ সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া। মসজিদের চারিদিকে প্রাকৃতিক দৃশ্যে ভরপুর। বিরানির লোভে না হলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে হলেও একদিন মসজিদটি ভ্রমণ করব ইনশাআল্লাহ। অনেক সুন্দর একটা মসজিদ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আপনাকেও ধন্যবাদ।

দেখতে পেলাম মসজিদের জায়গাটি অনেক বিস্তৃত। এছাড়াও আপনি ছবি তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে যা অত্যন্ত সুন্দর ফুটিয়ে উঠেছে।

এমন অনেক পুরাতন জায়গা রয়েছে, ঘরবাড়ি রয়েছে বিল্ডিং রয়েছে যা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

ধন্যবাদ জানাই আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। আপনার সাফল্য কামনা করছি। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।

 last year 

ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.17
JST 0.029
BTC 69701.45
ETH 2509.99
USDT 1.00
SBD 2.56