গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খড়ের পুঁজ নিয়ে আলোচনা || 20 - August - 2023
হ্যালো বন্ধুরা
আমি বাংলাদেশ থেকে @mahmudul20
কেমন আছেন আপনারা, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমত এবং আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
প্রিয় বন্ধুরা, আজ আমি আপনাদের মাঝে ঐতিহ্যবাহী খড়ের পুঁজ নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি। আমাদের বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। বাংলাদেশের ৮০% কৃষকরা ধান চাষ করেন। আর ধান থেকেই আমরা খড় পেয়ে থাকি। খর আমরা অনেক কাজে ব্যবহার করে থাকি। কেউ রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকি, আবার কেউ খড় দিয়ে ঘরের চাল তৈরি করি। এবং বিশেষ করে আমরা ঘর গরু ছাগলের জন্য বেশি ব্যবহার করে থাকি। গ্রামবাংলায় গরুর অন্যতম খাবার হলো খড়। গরু খড় খেতে বেশি পছন্দ করেন তাই সব সময় গরুর সামনে খড় দেওয়া থাকে।
আমরা প্রতি ধানের মৌসুমে অনেক বেশি খড় পেয়ে থাকি। তাই আমরা ভালোভাবে খরগুলো মজুদ করে রাখতে হয় যেন খড় গুলো নষ্ট না হয়। গ্রাম অঞ্চলের মানুষ সব সময় খড় নষ্ট না হওয়ার জন্য এরকম পুঁজ দিয়ে রাখেন। এভাবে খড়ের পুঁজ দিয়ে রাখলে শুধু পুঁজের ওপরে খড় গুলো নষ্ট হয়। এবং ভেতরের সব খড় গুলো অনেক সুন্দর এবং টাটকা থেকে যায়। এবং এই খড় গুলো গরু সব সময় খেতে পারেন। খড়ের পুঁজ মানুষ দুই ভাবে দিয়ে থাকেন। কেউ সাধারণত মাটির উপরে খড়ের পুঁজ দেন এবং কেউ কেউ বাঁশ দিয়ে চাং তৈরি করে তার ওপর খড়ের পুঁজ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও অনেকেই আছে ঘরের ভেতর খড় সংরক্ষণ করে রাখেন।
আমরা যেভাবে খড়ের পুঁজ দিয়ে থাকি। শুরুতে আমরা ধান কেটে নিয়ে আসি এরপর ধান মাড়াই করার পর যে কাঁড়ি পাওয়া যায় সেটা রোদের মধ্যে সুন্দর করে শুকিয়ে নেই। এরপর আমরা দুই-তিন টিপ বাঁশ একটি জায়গায় পুঁতে নেই। এবং সেখানে সেই শুকনো খড় গুলো দিতে থাকি। খড়ের পুঁজটি যখন একটু বড় হতে থাকে তখন আমরা আবার একটি বাঁশের মাধ্যমে খড়গুলো উপরে পৌঁছায় দেই। এবং খড়ের পুঁজ দেওয়ার জন্য পুঁজের উপরে সবসময় একটি লোক থেকে যায়। এভাবেই আমরা খড়ের বড় পুঁজ দিয়ে থাকি। এবং যারা চাংগের উপর পুঁজ দিয়ে থাকেন তাদের পুঁজ গুলো অনেক ছোট হয়ে থাকে। সাধারণত তারা প্রথমে একটি বাসের চাং তৈরি করে নেন। এরপর চাঙ্গের মাঝ বাড়াবার একটি বাঁশ পুঁতে নেন। এরপর বাঁশের চারিদিকে খড় দিয়ে ছোট পুঁজ তৈরি করেন।
খড়ের পুঁজ আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। অনেক প্রাচীনকাল থেকেই আমরা এই খড়ের পুঁজ দেখে আসতেছি। প্রাচীন কালের মানুষরা যেভাবে খড়ের পুঁজ দিয়েছিল এখনকার মানুষেরাও ঠিক সেভাবেই খড়ের পুঁজ দিয়ে থাকেন। এখন পর্যন্ত খড়ের পুঁজ দেওয়ার কোন পরিবর্তন আমার চোখে পড়েনি। আপনারা লক্ষ্য করবেন প্রতিটি কৃষকের বাসায় গরু-ছাগল রয়েছে। আর তারা এই বেশিরভাগ গরুকে খাওয়ানোর জন্য সংরক্ষণ করে রাখেন। কৃষক গরু পালন করলে প্রধান খাদ্য হিসাবে খড় ব্যবহার করেন। কারণ খড় তারা নিজের ফসল জমি থেকে পেয়ে থাকেন। এজন্যই তারা গরুর খাবারের জন্য প্রধান খাবার হিসেবে খড় ব্যবহার করেন। এই ছিল আমার খড় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা। আশা করি আমার সংক্ষিপ্ত আলোচনা আপনাদের ভালো লাগবে। পোস্টি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিষয় | ঐতিহ্যবাহী খড়ের পুঁজ |
---|---|
ক্যামেরা মডেল | Realme C55 |
ফটোগ্রাফার | @mahmudul20 |
লোকেশন | কিশোরগঞ্জ নীলফামারীর |
❤️🔥-আল্লাহ হাফেজ-❤️🔥
❤️🔥-আল্লাহ হাফেজ-❤️🔥
Best Regards:-
@mahmudul20
আপনি দারুণ একটা বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। খড়ের পুঁজ আমাদের গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্য।এগুলো পুঁজ অনেক আগে থেকেই আমাদের মাঝে প্রচালিত। আপনি ঠিক বলছেন খড় গরুর জন্য অন্যতম একটি খাদ্য।বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষির সাথে জড়িত।খড় আমাদের গ্রাম অঞ্চলের একটি সৌন্দর্য।আপনি খুব সুন্দর ভাবে খড়ের পুঁজ তৈরি করার বিস্তারিত আলোচনা করছেন।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাইয়া
Twitter link:-
https://twitter.com/mahmudul20m/status/1693119692280615389?s=20
এরকম খড়ের পুঁজ গুলো আমাদের ঐতিহ্যের একটি অংশ। আমি সেই ছোট থেকে দেখে আসতেছি কৃষকরা ফসল কাটার পর, কারী শুকিয়ে এরকম খড়ের পুঁজ দিয়ে থাকেন। এবং আপনি ঠিক এই বলেছেন এখন পর্যন্ত এই এই খড়ের পুঁজের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। এছাড়া আপনার প্রথম ফটোগ্রাফি টি আমার খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। ধান আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য। ধান কাটা শেষে, ধান মাড়াই করে খড় রৌদ্রে শুকিয়ে পালা করা হয়। সংরক্ষণ করার জন্য। খড়ের পুঁজ এটাকে আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় পালা বলা হয়। আমি এই খড়ের পালা দিতে পারি। ধান কাটার মৌসুমে বাড়ি থাকলে আমি খড়ের পালা দিতাম। গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে এই খড় সংরক্ষণ করা হয়। এবং সারা বছর গবাদি পশুকে খাওয়ানো হয়। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই। ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
খড়ের তৈরি পালা গুলো হলো গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। সাধারণত গো খাদ্যের জন্য এই খড়ের তৈরি পালা গুলো বানানো হয়। অনেকদিন ধরে খড় কে ভালো রাখার জন্য খড়ের পালার কোন জুড়ি নেই।বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে এটি গোলাকার চতুর্ভূজাকার। দারুন লিখেছেন আপনি ভাই ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া
আসলে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই কৃষির উপর নির্ভরশীল। এবং এই কৃষি কাজের মাধ্যমে দুটি উপকার হয়ে থাকে একটি একটি ধান এবং অপরটি খড়। এবং আমরা এই ধান বেঁচে যে রকম অর্থ উপার্জন করতে পারি তেমনি খড় আমাদের গবাদি পশুর কাছের একটি খাদ্য। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে
গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষি নির্ভর। গ্রামের কমবেশি প্রতিটা বাড়িতেই গরু ছাগল পালন করা হয়। গরু পালনের জন্য খড় অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। পরবর্তীতে গো খাদ্যের জন্য এই খড় পালা করে রাখা হয়। খড়ের পালা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
গ্রামাঞ্চলে প্রতিটি মানুষই প্রায় কৃষিকাজের সাথে সংযুক্ত।এবং প্রতিবছরই তারা বিভিন্ন মৌসুমে ধান উৎপাদন করে থাকেন। এবং খড়গুলো এভাবেই পালা দিয়ে রাখে।আপনারা যেটাকে পুঁজ বলছেন, আমাদের এদিকে সেটাকে খড়ের পালা বা খড়ের গাদা বলে। খুব সুন্দর সুন্দর কিছু ছবির মাধ্যমে খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া
আমাদের এলাকায় এই খড়ের পালা কে পুঁজ বলে থাকে। পালা আকারে খড় রাখলে অনেকদিন ধরে ভালো থাকে। খড়ের পালা করে রাখলে সেখানে সহজে পানি প্রবেশ করতে পারে না যার কারনে অনেকদিন ধরে ভালো থাকে এবং পরবর্তী সময়ে তা জ্বালানি এবং গবাদিপশুর খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এই খড়ের পালা গ্রাম অঞ্চলের একটি ঐতিহ্য। আপনি সুন্দর পোস্ট করেছেন ভাই।
ধন্যবাদ ভাইয়া