হ্যালো বন্ধুরা
আমি বাংলাদেশ থেকে @mahmudul20
কেমন আছেন আপনারা, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমত এবং আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
বাংলার পাট - আামাদের ঐতিহ্য, প্রাচীন যুগ ধরে আমাদের মাঝে এই পাট রয়েছে, পাট হলো ঐতিহ্যের ছোঁয়া, পাট দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা হয় যেমনঃ পাটের বস্তা, পাটের সুতা, পাটের রশি, পাটের পাপোশ ইত্যাদি, আমরা নিজেরাও পাটের আছঁ দিয়ে রশি তৈরি করে থাকি, পাট আমাদের অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়, পাটের ভিতরের অংশ আমরা জ্বালানির কাজে ব্যবহার করে থাকি, সুতরাং পাট আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক উপকারী।
পাট থেকে আশঁ সরানোর পদ্ধতি, প্রাচীনকাল থেকেই গ্রামের মানুষজন এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আসতেছেন, পদ্ধতিটি হলো শুরুতে জমি থেকে পাট গুলো কেটে আনা হয়, এরপর সেই কাঁচা পাট গুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়, আমরা গ্রামের ভাষায় বলি পাট জাগানো, সবাই পাট গুলো বাইরের ছোট ছোট নদী- নালা গুলোতে জাগিয়ে রাখে, কারণ পাট গুলো যখন বেশি সময় ধরে পানিতে থাকে সেগুলো থেকে দূর গন্ধ আসে, সেই কারণে মানুষ বাড়ির আশেপাশে পাট জাগা থেকে বিরত থাকে, এবং সেই যায়গায় পাট জাগানো হয় ওই জায়গার আশেপাশে গন্ধের মানুষ মাছ যেতে পারে না, যদি কেউ নিজস্ব পুকুরে পাট জাগায় বা ভিজিয়ে রাখে তাহলে তার পুকুরের সব মাছ মারা যেতে পারে, তাই মানুষজন পাট গুলোকে বাইরে ভিজিয়ে রাখেন।
 |
|---|
|  |
|---|
পাট গুলো ভিজিয়ে রাখার মাধ্যমে যখন একবারে পঁচে যায় তখন সেই পাট গুলো থেকে আশঁ সরানো হয়, পাট থেকে আমাদের কোনো কিছুই ফেলিয়ে দিতে হয় না, পাট থেকে আশঁ সরানোর পর ভিতরের যে অংশ থাকে সেগুলোকে আমরা সিন্ডা বলে থাকি, আশঁ সরানোর পরে আমরা সিন্ডা গুলো রোদের মধ্যে শুকিয়ে জ্বালানির কাজে ব্যবহার করি, কারণ সিন্ডাতে অনেক তারাতাড়ি আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া যায়, যাতে আমরা গ্রামের মানুষজন চুলায় রান্না করে থাকি, তার জন্য সিন্ডা আমাদের অতি উপকারী।
পাট থেকে সরানো আশঁ গুলো প্রথমে রোদে শুকিয়ে নিতে হয়, এরপর আমরা আশঁ গুলো নিজের কাজ ব্যবহার করি এবং বাকি গুলো বিক্রি করে দেই, আশঁ গুলো কালার যত সুন্দর হয় দাম ততই বেশি পাওয়া যায়, আমি আপনাদের সাথে যেভাবে পাট থেকে আশঁ সরানোর পদ্ধতি দেখালাম এটি অনেক প্রাচীন যুগের পদ্ধতি এখন পাট থেকে আশঁ সরানোর অনেক প্রযুক্তি রয়েছে, তবে আমি ছোট থেকেই দেখে আসতেছি আমার বাব দাদারা এভাবেই পাট থেকে আশঁ সরায়, তাই বিষয়টি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। "আজকে এখানেই শেষ করলাম, সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।"
| বিষয় | পাট থেকে আশঁ সরানো |
|---|
| ক্যামেরা মডেল | Realme C55 |
| ফটোগ্রাফার | @mahmudul20 |
| লোকেশন | কিশোরগঞ্জ নীলফামারীর |
❤️🔥-আল্লাহ হাফেজ-❤️🔥
VOTE for @bangla.witness
Best Regards:-
@mahmudul20
আপনি অনেক সুন্দর একটা বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন ভাই।পাট আমাদের দৈনন্দিন কাজে লাগে।পাট বিশেষ করে নদী অঞ্চলে চাষ করে।পাটের চাষ আমাদের প্রাচীনকাল থেকে করা হচ্ছে।পাটের যে আঁশ রয়েছে সেটাও আমাদের কাজে দেই।আঁশ তুলে নেওয়ার পর যেটা থাকে এটা আমরাও সিন্ডা বলি।আপনি সুন্দর ভাবে পাট থেকে আঁশ সরানোর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাইয়া
Twitter link:-
https://twitter.com/mahmudul20m/status/1688032346296238080?s=20
পাটের আশঁ আমাদের ঐতিহ্যেবাহী ফসল, পাট আমাদের দৈনন্দিন কাজের সঙ্গি, বিশেষ করে পাটের আশঁ আমাদের কাজে লাগে এবং সিন্ডা আমাদের জ্বালানির কাজে লাগে, বাংলার ঐতিহ্যের পাট সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন, ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিলো, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া
আমাদের এলাকায় এক সময় প্রচুর পাট চাষ করা হতো কিন্তু বর্তমানে এগুলো আর তেমন চাষ করে না। এই পার্টের আস বিক্রি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে বাংলাদেশ। সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
পাট থেকে আ্শ সরানো পদ্ধতি আদিকাল থেকেই চলে আসছে। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য বলা যায় পাটকে। পাটের আশ সরানো অনেক কষ্টের কাজ। তবে পাট প্রথমত কেটে নিতে হবে। এরপর পাট গুলো ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর পাটের গাছ নরম হলে আশ গুলো ছারিয়ে নিতে। এরপর রোদে শুকাতে হয়। আপনার তোলা ছবিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। পাট আমাদের সোনালী শস্য। পাট বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায় । আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে বসে উপস্থাপন করছেন ভাই। ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া
আমাদের এলাকায় ও এই ভাবে পাট থেকে আশঁ সরানো হয়।প্রাচীন কাল থেকে গ্রামের মানুষ এই ভাবে পাট থেকে আশঁ সরানো কাজটি করে আসছে।তবে পাট গাছ ভিজিয়ে রাখলে এর থেকে গন্ধ বের হয় সেটা আমি একদম সহ্য করতে পারি না।আপনি পাট গাছ থেকে আশঁ সরানোর পদ্ধতিটি খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো ও দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
কৃষি প্রধান বাংলাদেশে পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়। গ্রামের কৃষকেরা পাট লাগিয়ে তাদের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তনের চেষ্টা করে। পাট গুলো ভিজিয়ে রাখা অবস্থায় অনেক গন্ধ ছড়ায় ভাইয়া। যারা পাট চাষ করেছেন তারা এখন প্রায় সবাই পাট খড়ি ও পাট আস আলাদা করছেন। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া ।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু
পাটের আঁশ সরানোর পদ্ধতি আপনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। প্রত্যেক এলাকায় পাট এর আঁশ এভাবেই সরানো হয়। তবে যে জায়গায় পাট জাগানো বা ভেজানো হয় সেখান থেকে খুবই বাজে দুর্গন্ধ বের হয় । এখানে মূলত ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি বেশি থাকে। পাট আমাদের সোনালী আঁশ।পাশাপাশি এটি আমাদের ঐতিহ্য। সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু