ঐতিহ্যবাহী কাপড়ের তৈরি হাতপাখা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা
হ্যালো বন্ধুরা
আমি বাংলাদেশ থেকে @mahmudul20
কেমন আছেন আপনারা, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমত এবং আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
সেই প্রাচীনকাল থেকেই আমরা হাতপাখা দেখে আসতেছি, গরমের সময় হাতপাখা আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। হাতপাখা এটি একটি হস্তশিল্প বলা চলে, কারণ প্রাচীন যুগ থেকে এই হাতপাখা আমাদের গ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন মানুষ নিজ হাতে তৈরি করে থাকেন। যুগ পরিবর্তন হওয়ার পরেও এখনো হাতপাখার অনেক গুরুত্ব, বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে হাতপাখার বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমি যেই হাতপাখার ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। এই হাতপাখা গুলো মূলত বাঁশ এবং কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়। এছাড়াও হাতপাখা অনেক ভাবে তৈরি করা যায়, তবে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ সব সময় এই কাপড়ের তৈরি হাতপাখা ব্যবহার করে থাকেন।
হাতপাখার নির্দিষ্ট কোন সাইজ নেই। কারণ হাতপাখা আমাদের হস্তশিল্পের কাজ। আমরা নিজেরাই হাতপাখা তৈরি করে থাকি, এই কারণেই যার যেমন খুশি বা যতটুকু লাগে ঠিক তেমন ভাবেই তৈরি করতে পারে। হাতপাখা আমাদের ঐতিহ্যের এক ছোঁয়া, অন্যান্য প্রযুক্তি গুলোর থেকে হাতপাখার বাতাস অনেক বেশি ঠান্ডা হয়ে থাকে। এটির ভালো একটি দিক হলো আপনি যেখানে সেখানে হাতপাখা ব্যবহার করতে পারবেন। মাঝে মাঝে আমাদের আবহাওয়া খুবই গরম হয়ে থাকে তখন আপনি বাইরে গেলে। হাতপাখা নিয়ে যেতে পারবেন এবং অনেক ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করতে পারবেন অনেক সুন্দর একটি সুবিধা।
হাতপাখার উপরে অনেক ধরনের ডিজাইন করা যায়। যারা নকশী কাঁথার কাজ জানে তারা হাতপাখায় অনেক সুন্দর সুন্দর ডিজাইন ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়াও কেউ কেউ তাল পাতার হাতপাখা বানিয়ে থাকেন। আবার অনেক হস্তশিল্প আছেন যারা বাঁশ দিয়ে অনেক সুন্দর ডিজাইনের হাতপাখা তৈরি করে থাকেন। নকশী কাঁথার হাতপাখা দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। সেই হাতপাখা গুলো কিনে ব্যবহার করতে হয। কারণ সবাই তো আর সুন্দর সুন্দর ডিজাইন করতে পারে না। নকশি কাঁথা হাতপাখা গুলো দেখতে যেমন সুন্দর ঠিক তৈরি করতেও পরিশ্রম এবং অনেক অভিজ্ঞতা লাগে। তবে আমার শেয়ার করা হাতপাখা গুলো খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন। এই হাত পাখাগুলো তৈরি করতে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয় না।
শেষে এটাই বলব হাতপাখা যে ধরনেরই হোক না কেন হাতপাখা আমাদের সবার জন্য অনেক দরকার। কারণ বর্তমান যে লোডশেডিং চলতেছে হাতপাখা ছাড়া চলা খুবই মুশকিল। কারেন্ট চলে গেলে এক মুহূর্তের জন্য ঘরে থাকা যাচ্ছে না। তাই হাতপাখা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেক প্রযুক্তি বাইর হওয়ার কারণে শহরাঞ্চলে এমন হাতপাখার কোন প্রয়োজন পড়ে না। কারণ লোডশেডিং হওয়ার পরেও তাদের অন্য কোন মাধ্যম রয়েছে। গ্রাম অঞ্চলে এমন প্রযুক্তি খুব কম থাকায় আমরা এখনো হাতপাখা ব্যবহার করে থাকি। এবং আমাদের প্রাচীনকালের ঐতিহ্য ধরে রেখেছি। আমি আশা করি হাতপাখার গুরুত্ব কিছুটা হলেও আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করতে পেরেছি।
বিষয় | হস্তশিল্প - হাতপাখা |
---|---|
ক্যামেরা মডেল | Realme C55 |
ফটোগ্রাফার | @mahmudul20 |
লোকেশন | কিশোরগঞ্জ নীলফামারীর |
❤️🔥-আল্লাহ হাফেজ-❤️🔥
❤️🔥-আল্লাহ হাফেজ-❤️🔥
Best Regards:-
@mahmudul20
হাত পাখা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি আলোচনা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। গ্রামের বাড়ি গুলোতেই এখন হাত পাখার ব্যবহার বেশি লক্ষ্য করা যায়। শহরের বাড়িগুলোতে একদম নেই বললেই চলে। বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আমরা আমাদের এসব ঐতিহ্য ভুলে যাচ্ছি। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু
Twitter link:-
https://twitter.com/mahmudul20m/status/1689533845849493504?s=20
আসলে আমাদের দেশে এখন যে পরিমাণে লোডশেডিং চলতেছে এর জন্য হাতপাখা অনেক কাছের একটি বিষয়। এবং যারা নকশী কাঁথার কাজ জানে তারা এই হাত পাখার উপরে অনেক সুন্দর সুন্দর ডিজাইন করে থাকে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
ধন্যবাদ আপনাকে
হাতপাখা আমাদের ঐতিহ্যের একটি বিশেষ জায়গা দখল করে আছে।এগুলো একপ্রকার হস্তশিল্প আবার লোকশিল্পের মধ্যেও পড়ে। কাপড়ের তৈরি হাত পাখাগুলো গরমে ঠান্ডা বাতাস দেয়। অনেকেই এই কাপড়ের হাত পাখাগুলোর উপর নকশা ফুটিয়ে তোলেন। যেগুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। আবার অনেকেই প্রিয়জনের নাম লিখে রাখেন।আপনার তোলা ছবিগুলো বেশ ভাল লাগছে। আমার নানি এমন হাত পাখা তৈরি করতে পারেন। আমাকে বেশ কয়েকটি পাখাও বানিয়ে দিয়েছেন। ছোটবেলায় আমার জন্য একটি ছোট পাখা তৈরি করে দিয়েছিলেন। সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু
ঐতিহ্যবাহী হাতপাখা নিয়ে খুবই সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাই। হাতপাখা আমাদের গ্রামগঞ্জের ঐতিহ্য। যখন বিদ্যুতের যুগ ছিলো না তখন হাতপাখাই ছিল গরম থেকে মুক্তির একমাত্র ভরসা। এখনো লোডশেডিং এ মাঝে মাঝে হাত পাখার ভীষণ প্রয়োজন পরে। সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাইয়া
গরমের সময় কৃত্তিম বাতাসের একমাত্র মাধ্যম হলো হাতপাখা।আর এ বছর যে প্রচন্ড গরম লোডশেডিং তাতে তো হাতপাখাই একমাত্র ভরসা।আমাদের বাসায়ও এরকম কাপড়ের তৈরি অনেকগুলো হাত পাখা রয়েছে।আমি ও হাতপাখা বানাতে পারি কিন্তু ততটা সুন্দর হয় না। আপনার হলুদ কালারের হাতপাখাটি অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে।ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু
হাত পাখা নিয়ে সুন্দর আলোচনা করছেন ভাই। হাত পাখা আমাদের পুরনো দিনের সঙ্গী।কালের বিবর্তনে হাত পাখার ব্যবহার খুম কম হয়ে থাকে। আপনি ঠিক বলছেন গ্রাম অঞ্চলে হাত পাখা বেশি ব্যবহার হয়।হাত পাখায় বিভিন্ন ধরনের নকশা ডিজাইন করা যায়। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া
হাতপাখা আমাদের একটি ঐতিহ্য। আসলেই হাতপাখার বাতাস অনেক শীতল হয়ে থাকে। বর্তমানে বিদ্যুৎ না থাকায় আবারো হাতপাখার ব্যবহার বেশি হয়েছে। গ্রাম অঞ্চলে অনেক রকমের নকশা করে হাতপাখা বানানো হয়ে থাকে যা দেখতেও অনেক সুন্দর লাগে।
ধন্যবাদ ভাইয়া
কাপড়ের তৈরি এসব হাত পাখা বর্তমানে বিলুপ্তির পথে এখন তেমন দেখা যায় না।গরমের সময় আগে হাত পাখা ছিল একমাত্র অবলম্বন।হাতপাখা সম্পর্কে দারুন লিখেছেন আপনি ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া