গ্রাম বাংলার হাট এর দৃশ ।
সুপ্রিয়
স্টিম ব্যবহারকারী বন্ধুগণ সবাই কে জানাই আমি নতুন বছরে সাদর সম্ভাষণ এবং শীতকালের উষ্ণ ভালোবাসা ।সেই সাথে আমি সবাইকে জানাই আমার ,সালাম আসসালামু আলাইকুম ও অন্য জাতীয় সম্প্রদায়ের প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন মোবারকবাদ।
আজকে আমি স্টিমে আপনাদের মাঝে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হাটখোলা এর কিছু দৃশ্য এবং জীবনযাত্রা নিয়ে আপনাদের মাঝে কিছু আলোচনা উপস্থাপন করব।
উপরের দৃশ্যে দেখতে পাচ্ছেন এক দুখিনী মা, আজকে আমি সেই মাকে নিয়েই কিছু কথা এবং আলোচনা আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
পার্বতীপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে প্রায় 40 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই হাটখোলাটি। এই হাটটির নাম হচ্ছে হাবরা হাট ।
এই হাট টি অনেক পুরাতন এবং জনপ্রিয় একটি হাট। প্রায় ১৯ ৫০ সাল থেকে শুরু করে এই হারটি অবস্থিত এখন পর্যন্ত রয়েছে এই হাটটি গ্রাম বাংলার মানুষের অনেক জনপ্রিয় খুব সুন্দর একটি হাট অনেক ভালো এবং অনেক সুন্দর একটি মনোমুগ্ধকর পরিবেশে অবস্থিত।
এই হাতটিতে আজকে আমি এক দুখিনী মায়ের সাথে আলাপ করে তার ছবি এবং তার ব্যবসা সম্পর্কে আমি কিছু আলোচনা আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি ।
এই ভদ্র মহিলার নাম হচ্ছে রাবেয়া খাতুন। তার স্বামী নেই দুই সন্তান রয়েছে। সে প্রতিনিয়তায় এভাবে হাটে এভাবে ডালি এবং খোসা আরো উল্লেখযোগ্য কিছু জিনিস হাটে বিক্রি করে । সেই বিক্রি করা টাকা থেকে তিনি তার সন্তান পড়াশোনার খরচ পরিবারের খাওয়ার খরচ তার চিকিৎসা খরচ তার সবকিছুই জীবনযাত্রা থেকে শুরু করে সবকিছুই এভাবেই কিছু সামগ্রিক বিক্রি করে সে জীবন পরিচালনা করেন । এই হাট সপ্তাহে দুই দিন বসে সে প্রতি সপ্তাহে ১০ থেকে ১৫ টি গালি আস মুরগির খাঁচা আরো ইত্যাদি খাঁচা বিক্রি করে থাকেন। এভাবেই তিনি তার জীবন পরিচালনা করতেছেন দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর ধরে। প্রায় ১৫/১৩ বছর আগে তার স্বামী বড় ধরনের রোগের কারণে মৃত্যুবরণ করেন। তারপর থেকে সে আর বিবাহ না করে এভাবেই হাটবাজারে কিছু জিনিস বিক্রি করে তিনি তার ছেলে সন্তানদের নিয়ে জীবন পরিচালনা করতেছেন। আজকে আমি এই দুখিনী মায়ের কাছ থেকে তার জীবনের গল্প শুনে অনেক অবাক হয়ে গেলাম। এবং সেই গল্প শুনে আমার অনেক অনেক খারাপ লেগেছে। আসলেই বাংলাদেশ কিছু কিছু এলাকার মানুষ এভাবেই ছোটখাটো ব্যবসা করে তাদের জীবনযাত্রা পরিচালনা করতেছে এবং অনেক কষ্টের মধ্যে তারা জীবন যাপন করে যাচ্ছেন। তাই আমি আসতে বলতে চাই স্টিমে ফর ট্রাডিশনে এরকম ঘটনা খুব উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা হিসাবে আমি আখ্যাতিত করব ।
আমরা দেখতে পারতেছি যে এক বৃদ্ধ লোক সে সব পার্টি বিক্রি করতেছে। গ্রাম বাংলা এরকম হাটে, অনেক রকম পার্টি সব জায়নামাজ বিছানিসহ আরো অন্যান্য জিনিস পাওয়া যায় ।এবং তারা পাতি শিল্প থাকে খুব কষ্ট করে তারা এগুলো জিনিস তৈরি করে ।সেখান থেকে বিক্রি করে কিছু মুনাফা পেয়ে সেই মুনাফা দিয়ে তাদের জীবনের তাগি মিঠাই। পাশাপাশি এগুলো বেশি রামগঞ্জের হাটে বেশি পাওয়া যায় ।তাদের বাইরেও ছোট ছোট বাজারে এরকম মানুষদের সমগম হয় এমন জায়গায় তাদেরকে দেখা যায় এবং তারা কিছু বিক্রি করে প্রতিদিন জীবনে তাগিদ মিটায়।
আমরা দেখতে পাচ্ছি উপরে এক ভাই সে একটি দোকান লাগিয়েছে সে দোকানে গ্রাম বাংলার অনেক কিছু পাওয়া যায় যেমন। ডাল, মসুর ডাল, হলুদ, মসলা, কালোজিরা ,লং ,এলার্জি, কাঁচা বাদাম ,কাজুবাদাম ,এরকম আরো অনেক ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য পাওয়া যায়। যা গ্রাম বাংলার হাটে খুব বিক্রি হয় এবং খুব পরিচিত এবং গ্রাম গঞ্জের মানুষ এগুলো বেশি ক্রয় করে থাকে।
আমরা দেখতে পাচ্ছি এখানে অনেকগুলো কাঁচাবাজার গ্রাম গঞ্জের হাটে বিশেষ করে এগুলো খুব আমদানি এবং রপ্তানি হয়ে থাকে এবং পাইকারি ও খুচরা দরে বাজারে বিক্রি করে থাকে। সেখান থেকে কিছু খুচরা বিক্রি হয় যা গ্রামের মানুষেরা খুব পছন্দের সহিত ক্রয় করে ।এবং সেগুলো বাসায় নিয়ে রান্না করে খায়।
আজকে আমি স্টিম গ্রাম বাংলার হাটের দৃশ্য ও কিছু কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে এবং আপনারা ভাল মতামত প্রকাশ করবেন ।সবাইকে ধন্যবাদ।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হচ্ছে হাটবাজার। আমি আজকে প্রথম দেখলাম একজন বৃদ্ধ মহিলা হাট বাজারে বসে দোকান দিয়েছে। হাট বাজার সম্পর্কে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই।
গ্রামের হাট বাজার সম্পর্কে সুন্দর লিখেছেন। ছবিগুলো দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
আপনি সাবলীলভাবে গুছিয়ে পোস্ট তৈরি করেছেন। এবং সুন্দর মতবাদ দিয়েছেন। ডালি আমাদের অনেক কাজে লাগে৷ আপনার কিছু কিছু জায়গায় বানান ভুল আছে৷ পোস্ট লেখার পর একবার রিভিশন দিলে ভালো হবে বলে মনে করি।
গ্রামের ঐতিহ্য হাট বাজার সম্পর্কে খুবই সুন্দর লিখছেন অনেক শুভ কামনা রইলো
আপনি গ্রামের হাট বাজার সম্পর্কে সুন্দর লিখেছেন।সব ছবি ছবি দারুণ হয়েছে। ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।আর, জায়গাটা জানাসুনা লাগতেছে।কোন জায়গা এটা
গ্রামের হাটবাজার নিয়ে বেশ ভালো লিখেছেন ভাই। ফটো গুলো দেখতে সত্যি অসাধারণ হয়েছে। 💞
ধন্যবাদ ভাই
ভাই গ্রাম-বাংলার হাট বাজার নিয়ে সুন্দর একটি উপস্থাপনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো। ১৯৫০ সাল থেকে এখন এই হাট গ্রামের ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে। আমিও সময় পেলে এই হাট পরিদর্শনে যাব।
গ্রাম বাংলার হাট বাজার সম্পর্কে খুব সুন্দর পোস্ট করেছেন ভাই ছবিগুলো দারুন হয়েছে আসলে গ্রাম বাংলার হাট-বাজার দেখতে অনেক ভালো লাগে নতুন নতুন অনেক কিছু জিনিস ও তাজা তাজা সবজি উঠে হাট বাজারে আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগবে ধন্যবাদ
গ্রাম বাংলার চমৎকার হাটের দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন আপনি। শহরের লোকজন খুব-একটা হাট সম্পর্কে জানেন না। হাটে নানান ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যায় একসাথে। হাবরা হাটে একজন বৃদ্ধ পাটি বিক্রি করছেন, ইহা দেখা মাত্র আমার একটি পাটি প্রয়োজন তা মনে পরে গেলো। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের সাথে উপস্থাপন করেছেন আপনি।