গ্রাম বাংলার হাট বাজারে দোকানের কিছু খাবার দৃশ্য ।
সুপ্রিয়
স্টিম ফর ট্র্যাডিশন ব্যবহারকারী ।মডারেটর ,মেন্টর ,এডমিন, এবং সেই সাথে সকল ছোট বড় ভাই বোন বন্ধুগণ কে জানাই আমার সালাম আসসালামু আলাইকুম এবং অন্যদের প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং
মোবারকবাদ । বর্তমানে অনেক শীত এবং ঠান্ডা দেশে বিরাজ করছে। কারণ এটা হচ্ছে শীতকালীন ঋতু ।
শীতের সকাল অনেক শীত ,আর সেই শুতকে অপেক্ষা করেও আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।
আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের ছোট-বড় সকলেরই দোয়া এবং ভালোবাসায় আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হাট বাজারের দোকানে সুন্দর এবং সুস্বাদু এবং সাধোময় কিছু খাবারের ছবি তুলেছি এবং সেই গুলো নিয়ে আপনাদের মাঝে স্টিম ফর ট্র্যাডিশন আলোচনা করবেন।
বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মত দিনাজপুর ও একটি বৃহত্তর জেলা । হিসেবে আমরা মনে করি। দিনাজপুর জেলায় দশটি থানা রয়েছে। তার মধ্যে পার্বতীপুর হচ্ছে সর্বোচ্চ বৃহত্তর একটি থানা। সেই থানায় অবস্থিত পার্বতীপুর বাস টার্মিনাল। পার্বতীপুর থানা হতে পার্বতীপুর বাস টার্মিনাল এর দূরত্ব এক কিলোমিটার। পার্বতীপুর বাস টার্মিনাল হতে উত্তরে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পার্বতীপুর সিঙ্গিমারী ঐতিহ্যবাহী হাট। সিঙ্গিমারী হাট সপ্তাহে দুই দিন চলে। সেই হাট থেকে তোলা কিছু খাবারের দোকানের থেকে হাটের ঐতিহ্যবাহী খাবার হচ্ছে জিলাপি। চিনির জেলাপি ,গুড়ের জিলাপি, পিয়াজু এবং মোগলাই । হাটবাজারে এগুলো খুব সুস্বাদু এবং অনেক মজাদার খাবার। যা গ্রাম বাংলার হাটে এগুলো খুব বেশি বিক্রি হয়ে থাকে । পার্বতীপুর সিংগীমারের হাট অনেক পরিচিত একটি হাট । ইহাটে কাঁচামাল থেকে শুরু করে চাল ডাল হাঁস মুরগি ইত্যাদি প্রকার জিনিস পাওয়া যায়। এই হাটের অনেক সুনাম রয়েছে গ্রাম বাংলায় এবং খুব পরিচিতি লাভও করেছে। আমরা শুনি আসি এই হাট প্রায় অনেক যুগ থেকেই চলে আসতেছে । বর্তমান ও এই হাট চলে আসতেছে এবং আশা করা যায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হিসেবে এই হাট চলতে থাকবে।
গ্রাম বাংলার এই হাট গুলোতে খুব সুস্বাদু এবং স্বাদ এবং কীটনাশক মুক্ত কিছু খাবার বা খাদ্য পাওয়া যায়। যেমন পিয়াজু বড়া ।এই পিয়াজি পড়ার ক্ষেত্রে অনেক সুস্বাদু এবং খুব সাদ যুক্ত একটি খাবার। পিয়াজু তৈরি করার জন্য । প্রথমে আমাদেরকে খেসারী কালাই পানিতে অনেক সময় ভিজিয়ে রাখতে হয়। তারপর সেগুলো আবার শিল্পাটে বাড়তে হয় । তারপর তাতে মরিচ পেঁয়াজ আদা রসুন কাঁচা মরিচ সালটু বেসন ইত্যাদি দিয়ে সংমিশ্রণ করতে হয়। তারপর গরম তেলে ছেড়ে দিতে হয়। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখার পর । ভালোভাবে সিদ্ধ হলো তারপর সেগুলো খাওয়ার উপযোগী এবং বিক্রি উপযোগী হয়ে ওঠে। আর এগুলো গ্রাম বাংলার হাটবাজারে খুব বেশি প্রচলিত। যা গ্রাম বাংলার মানুষ অনেক লোক খুব বেশি খেয়ে থাকে।
চিনির জিলাপি এবং গুড়ের জিলাপির তৈরিতে আমরা যা যা ব্যবহার করে থাকি। প্রথমত আমাদের কিছু ময়দা এবং কিছু পানি সংমিশ্রণ করতে হয়। তারপর সেগুলো ভালোভাবে মাখন তৈরি করতে হয়। তারপর তাতে গরম তেলে ছেড়ে দেওয়া হয়। গরম তেলে সেগুলো খুব ভালোভাবে ভাজা হয়। তারপর সেগুলো গরম গুড় অথবা গরম চিনির , চুবিয়ে রাখতে হয় । চুবিয়ে ধরে রাখলে সেগুলোতে ভালোভাবে গুড় এবং চিনির মিষ্টি ঢুকে যায় । তারপর সেগুলো খাওয়ার উপযোগী হয়ে ওঠে। এভাবেই চিনি এবং গুরের জিলাপি তৈরি করা হয়।
তাই আজকে আমি steem for tradition এ আপনাদের মাঝে ঐতিহ্যবাহী হাট-বাজারের কিছু ছবি এবং কিছু আলোচনা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম। আশা করি আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে এবং আপনারা সবাই ভাল ভাল মতামত প্রকাশ করবেন।
সকলকে ধন্যবাদ।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
ধন্যবাদ
আপনার পোস্টটি পড়ে ভালোই লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য
আমার অনেক পছন্দের খাবার বড়া ও জিলাপি। আমি বাজার গেলে কমবেশি বড়া খেয়ে থাকি। তবে বড়া খেতে খুব ভালো লাগেই। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।
চিনির জিলাপি গুলো অনেক লোভনীয়। খুব চমৎকার কিছু খাবার এর ছবি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। দিনাজপুর জেলার মোট ১৩ টি উপজেলা রয়েছে এবং বীরগঞ্জ উপজেলা সবচেয়ে বড় আয়তনে,ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
অনেক দিন পরে চিনির জিলাপি দেখলাম। চিনির জিলাপি কিন্তু খেতে অসাধারণ। আৃার যশোরে চিনি ছাড়া গুড়ের জিলাপি পাওয়া যায় না। সুন্দর লিখেছেন আপনি ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনার পোস্ট পরে আমি ওনেক কিছু যানতে পারলাম, আমি বরা খেতে খুব ভালো বাসি, আর যদি গরম জেলাপি হয় তাহলে আরো খেতে ভালো লাগে, খুব সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন আমাদের মাঝে, ধন্যবাদ ভাই
ধন্যবাদ
ভাই পোস্ট শেয়ার করার আগে একটু রিভিশন করবেন।বানানের কিছু ভুল রয়েছে।
তবে ভালোই লিখেছেন ভাই। জিলাপি আমার কাছে ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন।💞
ধন্যবাদ
গুড়ের তৈরি জিলাপি আমার অনেক পছন্দের। তবে জিলাপি সকাল বেলা মুড়ি খেতে ভাল লাগে আর রাতে গরম গরম জিলাপির স্বাদ অন্যরকম। সব মিলিয়ে ভাল লিখেছেন তবে আপনার পোস্ট কোয়ালিটি ভাল করতে হবে আরো।
ওকে ভাই
ধন্যবাদ
গুড়ের জিলাপি আমার অনেক পছন্দের। গুড়ের জিলাপি খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পোস্টটি উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া
গরম গরম পিঁয়াজু ও জিলাপি খেতে সেই লাগে শীতকাল। তবে ঠান্ডা হয়ে খাবার গুলোর স্বাদ কমে যায়। তখন আর আগের মত ভালো লাগে না।
জি।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে