চটপটি

ডিভাইস : xiaomi 5
স্থান : ঢাকা

চটপটি এটা নিয়ে কথা বলার আগে বলে নেই আমি @Labibasultana আমি আছি ঢাকা বাংলাদেশ থেকে। আজকে আমি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার চটপটি নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো।বাংলাদেশের জনপ্রিয় ঐতিহ্যবাহী স্ট্রিট ফুডের কথা আসলেই সর্বপ্রথম আপনার মাথায় যেটা আসবে সেটা হচ্ছে ফুচকা অথবা চটপটি। আজকে আমরা কথা বলবো বাংলার মানুষের কাছে খুব পরিচিত আর জনপ্রিয় খাবার চটপটি নিয়ে। সন্ধ্যায় নাস্তায় আমেজ বাড়াতে খাওয়া যেতেই পারে চটপটি।টক ঝাল কম্বিনেশন অসাধারন এক অমৃতর স্বাদ আনে।

ডিভাইস : Xiaomi Note 8
স্থান : টংগী,গাজীপুর।

ইতিহাস -

চটপটির উৎপত্তি স্থান হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে চটপটির প্রচলন কয়েক দশক ধরে চলে আসছে। একটা সময় যদিও চটপটি মেলা বা স্কুল কলেজের সামনে পাওয়া যেতো শুধু,এখন প্রায় সব জায়গায় পাওয়া যায়।

কীভাবে বানানো হয় -

উপকরণ -

১. ডাবলি ডাল
২. আলু
৩. টক
৪. মরিচ
৫. পেয়াজ
৬. চটপটি মশলা
৭. ডিম
৮. ফুচকা
৯. ধনেপাতা
১০. লবন

Source

বানানোর কৌশল -

১. ডাবলি ডাল আগের থেকেই ভিজিয়ে রাখতে হবে। পড়ে সিদ্ধ করতে হবে। একদম বেশি সিদ্ধ করা যাবে না তবে ডাল একদম গলে যাওয়ার সম্ভবনা আছে।

২. ডাল সিদ্ধ হয়ে গেলে আলো সিদ্ধ করে নিতে হবে।

৩. কাচা মরিচ, পেয়াজ,ধনেপাতা কেটে নিতে হবে। আরেকটি পাত্রে তেতুল নিয়ে টক গোলাতে হবে।

৪. এরপর একটি পাত্রে ডাল, আলু,কাঁচামরিচ, পেয়াজ,ধনেপাতা পরিমান মতো লবন পরিমান মতো চটপটি মশলা ঠিক মতো মিশাতে হবে।

৫. মেশানো শেষ হলে টক যে যতটুকু টক খাবে তা পরিমান মতো দিয়ে ফুচকা দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

এটা ছিলো ঘরোয়া পদ্ধতি আপনি চাইলেই এইভাবেই ঘরে বসেই বানাতে পারেন।

Source

উৎসব -

ঈদ হোক বা পূজা, খাবার স্টিটফুড হিসাবে চটপটি থাকবেই। স্কুল, কলেজ,ভার্সিটি এর সামনে সব সময় চটপটি ফুচকার দোকান থাকেই।

ক্ষতিকর দিক -

বাইরের বা রাস্তার খাবার বলে এতে ধুলোবালি পড়ে। মাঝে মাঝে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেট খারাপ ও হতে পারে। অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন এমন কি বমিও হতে পারে।তাই যা খাবেন সচেতনতার সাথে খাবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে,

আশা করি আপনার ভালো লাগবে আমার লেখাটি। আমার কোন ভুল থাকলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

আসসালামু আলাইকুম