ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ষাট গম্বুজ মসজিদ By @labibasultana
ঐতিহ্যবাহী ষাট গম্ভুজ
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হচ্ছে ষাট গম্ভুজ মসজিদ। এটি বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। আপনি বাংলাদেশের টাকার পিছনে যেই মসজিদ দেখে থাকেন সেটা ষাট গম্ভুজ মসজিদ ই। এই মসজিদটি বহু বছর ধরে বহু অর্থ ব্যয় করে বানানো হয়েছে। এই মসজিদের গম্ভুজ ৬০ টির ও বেশি। আজকে কথা বলবো বাংলাদেশের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী মসজিদ ষাট গম্ভুজ মসজিদ নিয়ে। নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো -
আজকে যা যা জানতে পারবো -
১. ষাট গম্ভুজ মসজিদের অজানা কিছু তথ্য।
২. বাংলাদেশের মানুষের কাছে এই মসজিদ কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
৩. মুসলিম বিশ্বের কাছে এই মসজিদ কোন ভূমিকা পালন করে কি?
ষাট গম্ভুজ মসজিদের | কিছু তথ্য |
---|---|
অবস্থান | বাগেরহাট,খুলনা। |
ইউনোস্কোর অন্তুভুক্ত | ১৯৮৫ সালে |
মসজিদের গম্বুজ | ৮১ টি |
নির্মাণ করেন | হযরত খানজাহান (রঃ) |
ষাটগম্বুজ মসজিদ টি ৮১ টি গম্ভুজ রয়েছে। ৭ টি সারি তে ১১ টি করে গম্ভুজ রয়েছে।মোট ৭৭টি আর মিনারে ৪টি। মসজিদের মধ্যে কোন শিলালিপি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে ১১ টি হচ্ছে দরজা রয়েছে। মাঝেরটি সবচেয়ে বড়। এই মসজিদের নাম লোককথার জন্য কালের বিবর্তনে ষাট গম্ভুজ নামকরণ হয়ে যায়।
কীভাবে যাওয়া যায় ষাট গম্ভুজ মসজিদ?
প্রথমে বাগেরহাট,খুলনা যেতে হবে সেখান থেকে পশ্চিমে ৭ কি.মি মহাসড়কের উত্তরপাশে ষাটগম্বুজ বাসস্টপেজ সুন্দরঘোনা গ্রামে ষাটগম্বুজ মসজিদ অবস্থিত।
বাংলাদেশের মানুষের কাছে ষাটগম্বুজ মসজিদ -
বাংলাদেশে ৩ টি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা রয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। ইউনোস্ক ১৯৮৫ (৯ম তম সভায়) সালে ষাট গম্ভুজ কে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসাবে ঘোষণা করে। এটি বাংলার মানুষের জন্য সত্যিই খুবই গৌরবময়। এটি ১৫ দশকের সময়কার একটি স্থাপনা। এটি একটি ভ্রমণ স্থান হিসাবে রয়েছে। এবং প্রতি শুক্রবার নামাজ পড়া হয়। বাংলাদেশের মানুষ মুসলিম প্রধান দেশ। বাংলার মানুষের কাছে এটি ধর্মীয় মনোভাব থেকেও এগিয়ে থাকবে। এটি সেই ব্রিটিশ আমলের সময়কার আগে তৈরি হওয়া একটি স্থাপনা। এখন সরকারি ভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
মুসলিম বিশ্বের কাছে এই মসজিদ কোন ভূমিকা পালন করে কি?
হিন্দুদের যেমন উপাসনালয় হলো মন্দির, খিষ্ট্রানদের গির্জা, আর মুসলিমদের মসজিদের। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ প্রতিদিন অনেক মানুষ এখানে নামাজ পড়ে। ধর্মীয় মনোভাব থেকে মুসলিমদের কাছে এটি একটি গুরুত্ব বহন করে। শুক্রবার জুমাবার অনেক মানুষ অনেক দূর থেকে আসে জুমা পরার জন্য। এই মসজিদের কাঠামো সত্যিই অসাধারন অনেক মানুষ অনেক দূর থেকে দেখতে যায়।
ধন্যবাদ সবাইকে,
আশা করি আপনার ভালো লাগবে আমার লেখাটি। আমার কোন ভুল থাকলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।প্রতিটি ছবি আমার তোলা
আমিও যাব কিছুদিনের মধ্যেই। তবে ভালোই লিখেছেন আপু। সাজানো গোছানো উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপু💞
ধন্যবাদ ভাইয়া😁
অনেক ছোট থাকতে একবার গিয়েছিলাম।তখনও রূপসা নদীর উপর সেতু নির্মিত হয়নি। পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল। শুভকামনা রইল আপু
😁ধন্যবাদ ভাইয়া
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
আজকে প্রথম ষাট গম্বুজ মসজিদ দেখলাম, খুব সুন্দর ভাবে ছবি গুলা তুলছেন, আপনার পোস্ট পরে আমি অনেক কিছু জানতে পারলাম, ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ ❤️ সুন্দর মন্তব্যের জন্য
ষাট গম্বুজ মসজিদ আমার দেখা সেরা মসজিদ। এরকম প্রাচীন মসজিদ আমাদের দেশে আছে, এটা শুনেই ভালো লাগে। আর এটি বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ তাই এই মসজিদের প্রতি ভালোবাসা এবং আকর্ষণ সবারই। সুন্দর লিখেছেন।
ধন্যবাদ ❤️
ষাট গম্বুজ মসজিদ সম্পর্কে শুধু বই এই পড়েছি। কখনও সামন থেকে দেখা হয় নি৷ বেঁচে থাকলে ইনশাআল্লাহ কখনও যাবো দেখতে।
ইন-শা-আল্লাহ ❤️
ষাট গম্বুজ মসজিদ আমি প্রথম বার পোস্ট দেখতে পেলাম অনেক সুন্দর ভাবেই লেখেছেন পোস্ট পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া😁
ষাট গম্বুজ মসজিদ বাগের হাট খুলনায় অবস্থিত। ষাট গম্বুজ মসজিদ সম্পর্কে আমার বইয়ের পড়েছি কিন্তু কখনো যাওয়ার সুযোগ হয়নি।আল্লাহ তায়ালা বাঁচায় রাখলে যাবো ষাট গম্বুজ মসজিদ দেখতে। এই ষাট গম্বুজ মসজিদ নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপু। 🥰
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কমেন্ট এর জন্য
এই ষাট গম্বুজ মসজিদ নিয়ে আমি বই পড়েছিলাম কিন্তু কখনো দেখার সৌভাগ্য হয়নি। আপনি ষাট গম্বুজ মসজিদ নিয়ে সুন্দর একটি উপস্থাপনা করেছেন।
ধন্যবাদ 😁 ভাইয়া
ষাট গম্বুজ মসজিদ দেখতে গিয়েছিলাম ২০১৮ সালে। মসজিদের পেছনের অংশে যে সান বাঁধানো পদ্মপুকুরটি রয়েছে সেটিও আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু❤️