প্রতিযোগিতার ৩য় সপ্তাহ - ঐতিহ্যবাহী খাবার চা by @labibasultana
আমি @labibasultana। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক খাবারের মধ্যে চা অন্যতম উষ্ণ পানীয়। যদিও এটি একসময় ইংরেজদের ঐতিহ্য ছিলো।কিন্তু বর্তমানে এটি বাংলার ঐতিহ্য।কারো কারো দিন শুরু হয় চায়ের কাপে চুমুকের সাথে। কারো কারো কাছে রিফ্রেশমেন্ট মানেই হচ্ছে চা। আজ কথা বলতে যাচ্ছি চা নিয়ে।
ইতিহাস
জানা যায় ১৬৫০ সালের চীনে উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানের সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় হচ্ছে চা। এটি ভারতবর্ষে চাষ শুরু হয় ১৮১৮ সালে। আর সিলেটে চা গাছ খুঁজে পাওয়া যায় ১৮৫৫ সালে এবং চাষ শুরু হয় ১৮৫৭ সালে। এটি পর্বত্য ও উচ্চভূমির ফসল হওয়ায় পাহাড়ী অঞ্চলেই হয়ে থাকে। এটি মূলত যেখানে ভারি বৃষ্টিপাত হয় এবং নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকে। পৃথিবীতে সবচেয়ে চা উৎপাদন হয় বেশি চীনে।
চা কীভাবে বানানো হয়?
মূলত চা গাছ থেকে গাছের পাতা, মূল নিয়ে চা বানানো হয়। খাওয়ার উপযোগী করা হয় গরম পানির মাঝে চা পাতা দেওয়া হয় হালকা একটু চুলায় রাখলে হয় তারপর দুধ মিশালেই হয়ে যাবে দুধ চা। রঙ চা খেতে চাইলে শুধু চা বানিয়ে চিনি পরিমান মতো মিশেয়ে নিলেই হবে। আদা চা খাওয়ার জন্য গরম পানির চায়ের সাথে আদা কেটে দিতে হবে লবঙ্গ, তেসপাতা,এলাচি দিয়ে পানি জাল করতে হবে তার পর চা পাতা দেওয়ার পর কিছুক্ষণ পর নামিয়ে দিলেই হবে। গ্রীন ট্রি বানানোর জন্য গরম পানির সাথে গ্রীন ট্রি মিশালেই হবে অথবা প্যাকেট জাত করা থাকে কিছুক্ষণ গরম পানিতে মিশিয়ে রাখলেই হবে।
বাংলাদেশে চা শিল্প -
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চা শিল্পের অবদান না বললেই না। চা শিল্পে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৮ম। প্রথম অবস্থানে আছে চীন। বাংলাদেশের মৌসুমী ও পাহাড়ী অঞ্চলে চাষ হয়ে থাকে চা। স্থায়ী চা শ্রমিক ৯০ হাজারের উপর আর অস্থায়ী চা শ্রমিক ৩০ হাজার। স্থায়ী চা শ্রমিকদের আধাকেজি চাল অথবা আটা রেশন দেওয়া হয়। ২০২১ সালের খসড়া অনুযায়ী চা শ্রমিকের মজুরি ১২০ টাকা করা হয়েছে।প্রতি ২ বছর পর পর চুক্তি করা হয়। বাংলাদেশের ৯০ ভাগ চা উৎপাদন হয় সিলেটে আর বাকি বান্দরবনে। সম্প্রতি পঞ্চগড়ে কিছু চা বাগান করা হচ্ছে। চা শ্রমিকরা মজুরি বাড়ানোর জন্য কিছুদিন আগে বিক্ষোপ ও করেছেন। ২০০৯ সালের চুক্তিতে বলা হয় চা শ্রমিকদের জন্য জাতের বিভেদ থাকবে না।
চায়ের উপকারীতা -
চায়ের উপকারীতা বলে শেষ করা যাবে না। অক্লান্ত পরিশ্রম করার পর চা এনে দেয় এক অসাধারন প্রশান্তি। রাস্তাঘাটে বন্ধুদের আড্ডায় চা না হলে চলেই না। মাথা ভার হয়ে থাকলে চা খেলে তা দূর হয়। ঠান্ডা লাগলে আদার চা খেলে আপনার ঠান্ডা কমতে বাধ্য। শীতের দিন চা খেলে শরীর গরম থাকে। অতিরিক্ত ঘুম দূর করার জন্য চা ব্যবহার করা হয়। অতিরিক্ত মেদভুরি অথবা স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য অনেকেই গ্রীন ট্রি খেয়ে থাকেন।
চায়ের দাম-
চায়ের দাম রাস্তা ঘাটে সাধারণত ১০ টাকা কোন কোন জায়গায় ৫ টাকাও বিক্রি করা হয়। বড় বড় রেস্টুরেন্টে ৯০/১০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
আমার মতামত -
চা মানেই এক শান্তির পানীয়। সকাল সকাল কুয়াশা কাটিয়ে কলেজে গিয়ে এক কাপ চা খাওয়ার মধ্য দিয়ে দিন শুরু করাটা অসাধারন সুন্দর। রাতে ঘুম আসছে না কিছুই ভালো লাগছে না এক কাপ চা খান সব ঠিক লাগবে।
ছবির | তথ্য |
---|---|
ডিভাইস | One plus 9 |
স্থান | তেজগাঁ কলেজ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। |
ধন্যবাদ সবাইকে,
আশা করি আপনার ভালো লাগবে আমার লেখাটি। আমার কোন ভুল থাকলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।প্রতিটি ছবি আমার তোলা
আপু আমিও তেজগাঁও এর আশেপাশে আছি। চায়ের দাওয়াত রইল আপু।তবে অবসর সময়ে আমিও দুধ চা খাই। ধন্যবাদ আপু। 💞
😐তেজগাঁও কই থাকেন?
শীতের সকালে চা খেতে অনেক ভালো লাগে। আপু আপনি অনেক সুন্দর করে চা তৈরি করেছেন মনে হচ্ছে এখনই সেই চা গুলো খেয়ে ফেলি ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে এমন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
চা বাঙালির একটি ঐতিহ্য বাহী খাবার। সকালে চা ছাড়া বাঙালির সকাল শুরু হয় না। কম বেশি সবাই সকালে চা খেয়ে বাসা থেকে রওনা দেয়। সকলের মতো আমি ও চা প্রেমি। চা নিয়ে সুন্দর লিখেছেন আপি।ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ❤️
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
চা আসলেই অসাধারণ একটা জিনিস।চা খেতে চায় না এমন লোক নেই।শরীরের ক্লান্তি দূর করতে চায়ের জুরি নেই।ধন্যবাদ চা নিয়ে এত বিস্তারিত তথ্য জানানোর জন্য।
ধন্যবাদ এতো সুন্দর কমেন্ট করার জন্য
কোথাও ঘুরতে গেলে বা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডা দিতে গেলে চা ছাড়া কেমন যেন জমে না। আপনার কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া ❤️
ঐতিহ্যবাহী খাবার চা নিয়ে চমৎকার একটি উপস্থাপনা। চা খেতে ভীষণ ভালো লাগে। তবে মালাই চা আমার অনেক পছন্দের। চা কিভাবে বানানো হয় তা আমাদের সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা ফটোগ্রাফিক গুলো অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আমার পোষ্ট টি পড়ার জন্য
চা বাংলাদেশের অন্যতম একটি পানীয় জাতীয়। চা ম বেশি সকলের প্রিয় একটি খাবার। সকাল হলেই চায়ের কাপে চুমুক দিতে হয় মানে চা দিয়েই শুরু হয় অনেকের। চা নিয়ে বেশ ভাল করে উপস্থাপন করেছেন আপু ।
ধন্যবাদ ❤️
আপনাকে ধন্যবাদ ঐতিহ্যবাহী চা নিয়ে আমাদের মাঝে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। ঐতিহ্যবাহী চা সম্বন্ধে চা এর ইতিহাস আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।চা কিভাবে তৈরি করা হয় তার বণনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছে।চায়ের দাম কিরকম তার আপনি বর্ণনা দিয়েছেন।
ধন্যবাদ এতো সুন্দর কমেন্ট করার জন্য
চা আমার পছন্দের পানীয়। আপনি কি প্রতিদিন চা পান করেন? দুধ চা না লাল চা কোনটা আপনার বেশি পছন্দ? চা নিয়ে অনেক তথ্য শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ।
আপনি ঢাকায় আসলে চা খাওয়াবো নে 😁😁