প্রতিযোগিতা: এলাকার বিখ্যাত ফল "তেঁতুল " নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন আমিও মহান সৃষ্টিকর্তা রহমতে অনেক ভাল আছি। আজ আমি আবার উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি কমিউনিটি কর্তৃক আয়োজিত আপনার এলাকার একটি ফল নিয়ে লিখুন, যে ফল আপনার এলাকাকে বিখ্যাত করে তুলেছে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমার এলাকার বিখ্যাত টক জাতীয় একটি ফল তেঁতুল নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
টক জাতীয় ফলের কথা বললে প্রথমে যার কথা আসে সেটা হল তেঁতুল। এটা কে ৮ থেকে ৮০ সবাই অনেক পছন্দ করে। এমনকি তেঁতুলের নাম শুনলেই অনেকের মুখে পানি চলে আসে। যেমনটা আপনাদের মুখেও পানি চলে এসেছে এই তেতুল নামটা শুনে।হা হা হা হা হা.........
টক জাতীয় ফলের মধ্যে অন্যতম হলো তেঁতুল। যার নাম শুনলেই জিভে পানি চলে আসে। এই তেঁতুল আমাদের এলাকায় বিখ্যাত হওয়ার প্রথম ও প্রধানত কারণ হলো ২০০ বছরের একটি পুরনো তেঁতুলের গাছ রয়েছে আমাদের গ্রামীণ হাট জমির হাটের ওপর। যা সম্পূর্ণ হাটকে বিস্তৃত করে রেখেছে। কেউ যখন জমিরহাটের কথা বলে তখন তেতুল গাছের কথা সবার মনে পড়ে যায়। কারণ এত বড় গাছ যা বলার বাইরে। এই তেঁতুল গাছে যখন তেতুল ধরে তখন সেটিকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। আর আশপাশের যত গ্রাম আছে সবাই সেই তেতুল গাছ থেকে তেতুল নিয়ে নিজের চাহিদা মেটায়। কেউ কেউ আবার গাছ থেকে তেতুল পেড়ে বিক্রি করে নিজের সংসার চালায়। সম্প্রতি কিছু ইউটিউবার এই তেঁতুল গাছকে ঘিরে ভিডিও তৈরি করেছে। যা সত্যি আমাদের জন্য অনেক সম্মানের। তাই তেঁতুল শব্দটি আমাদের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।
ইউটিউব থেকে সংগ্রহ কৃত ভিডিও
এই তেঁতুল গাছটি আমাদের জমির হাট হাইস্কুলের কাছে অবস্থিত। তাই আমরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন আসতাম তেঁতুল গাছ থেকে পাড়াতে। প্রতিদিন যখন টিফিন দিত তখন গাছ থেকে তেতুল নিয়ে আসতাম ও একটি মুড়ি মাখা র দোকান থেকে লবণ নিয়ে আসতাম। আর মজার সুখে সবাই মিলে তেঁতুল খেতাম। একদিন তেতুল পাড়াতে গিয়ে অনেক দেরি হয়ে যায় আর অন্যদিকে শ্রেণি শিক্ষক ক্লাসে ঢুকে পড়ে। আমরা কিছুটা দেরি করে ঢোকায় স্যার অনেক প্রশ্ন করে। আমরা ভালোমতো জবাব দিতে না পারায় এমন পেদানি দিছে তা বলার বাইরে। সেই থেকে আর কখনো ক্লাস ফাঁকি দিয়ে তেতুল গাছে যেতাম না।
পরিমাণ | উপাদানের নাম |
---|---|
১.১ গ্রাম | আমিষ |
১৩.৯ গ্রাম | শর্করা |
০.২ গ্রাম | চর্বি |
০.০১ মিলিগ্রাম | ভিটামিন বি১ |
০.০২ মিলিগ্রাম | ভিটামিন বি২ |
৬ মিলিগ্রাম | ভিটামিন সি |
১.২ গ্রাম | খনিজ লবণ |
৬২ কিলোক্যালরি | খাদ্যশক্তি আছে |
পরিমাণ | উপাদানের নাম |
---|---|
৩.১ গ্রাম | আমিষ |
৬৪.৪. গ্রাম | শর্করা |
০.১. গ্রাম | চর্বি |
০.০৭... মিলিগ্রাম | ভিটামিন বি২ |
৩ মিলিগ্রাম | ভিটামিন সি |
০.১মিলিগ্রাম | ভিটামিন ই |
১১৩. মিলিগ্রাম | ফসফরাস |
২৮ মিলিগ্রাম | সোডিয়াম |
৬২৮ মিলিগ্রাম | পটাসিয়াম |
৯২ মিলিগ্রাম | ম্যাগনেসিয়াম |
১.৩ মিলিগ্রাম | সিলিনিয়াম |
০.১২ মিলিগ্রাম | দস্তা |
০.৮৬ মিলিগ্রাম | তামা |
২৮৩ কিলোক্যালরি | খাদ্যশক্তি |
(তথ্য গুলো গুগল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে)
হোমিওপ্যাথিক এবং আয়ুর্বেদিক সকল প্রকার ঔষধে এই তেঁতুল কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে তেঁতুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
নিয়মিত তেঁতুল খেলে প্যারালাইসিস রোগীর অনুভূতির কার্যকারিতা বেড়ে যায়।
কাঁচা তেঁতুল ও রসুন একত্রে খেলে হজম শক্তি বাড়ায়।
বুক ধরফর, মাথা ব্যাথা ,মাথা ঘোরা ইত্যাদি সকল প্রকার রোগ নিরাময়ে তেতুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তেঁতুল গাছের পাতা ও ছাল অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।
তেঁতুলের বিচিতে এক ধরনের এনজাইম রয়েছে যা ডায়বেটিস রোগীর ক্ষেত্রে তার গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
- মুখের ঘা নিরাময়ে তেঁতুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তেঁতুলের পুষ্টিগুণ বহুবিধ। তাই সব জায়গায় তেঁতুলের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তেতুল খাবারের স্বাদ বাড়ায় তাই এর ব্যবহার প্রায় সবখানেই দেখা যায়। খাবারে তেঁতুলের ব্যবহার হলো:
রোস্ট ,পোলাও ও বিরিয়ানি এর স্বাদ বাড়াতে তেতুল ব্যবহার করা হয়।
তেঁতুলের টক, ভর্তা এমনকি অনেকে তেঁতুলের ডাল ও রান্না করে খায়।
সস ,আচার, চাটনি সহ আরো অনেক ধরনের খাবার হয়েছে যেগুলোতে তেঁতুল ব্যবহার করা হয়।
তেঁতুল যেহেতু টক জাতীয় ফল তাই অনেকে ই একে এড়িয়ে যেতে বলে। গ্রামে তো ছেলেদের তেঁতুল খেতেই দিতে চায়না। অন্যদিকে আবার বলে তেতুল খেলে নাকি শরীরের রক্ত পানি হয়ে যায় আবার কেউ কেউ বলে তেঁতুল খেলে মাথার বুদ্ধি কমে যায়। বাস্তবতা তা ঠিক উল্টো তেঁতুল খেলে মানুষের শরীরের রক্ত পরিষ্কার হয় ও মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
ধন্যবাদ সবাইকে। এই প্রতিযোগিতার জন্য আমি আমার তিনজন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি @rosybelyepez, @williang, @mayepariata.
কোনো ভুলত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমা করে দিবেন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য :
ব্যবহৃত সকল ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে pixabay থেকে
তেঁতুল আমার কাছে এতটাই ভালো লাগে যে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। বিভিন্ন ধরনের টক জাতীয় ফলের মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় হল তেঁতুল। তেঁতুল নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। তেঁতুল এর উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো আমাদের সাথে সুন্দরভাবে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন। কাঁচা তেঁতুল ও পাকা তেঁতুলের মধ্যে বিদ্যমান পুষ্টিগুণ গুলো জেনে আমার অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ।ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/Smn97541366047/status/1691523577059897344?t=kUy1xUbKJbAhew9k8inaag&s=19
তেঁতুল নিয়ে অনেক সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। আমাদের প্রাইমারি স্কুলে একটি তেঁতুল গাছ আছে, ছোটবেলায় তেঁতুল গাছে উঠে তেঁতুল পারতাম। বাড়ি থেকে লবণ এর সাথে মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে নিয়ে যেতাম। কাঁচা তেঁতুল এর সাথে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া মসলা দিয়ে খেতাম। আপনার পোস্ট দেখে সেই সোনালী অতীত মনে পড়ে গেলো। তেঁতুল মেয়েদের অনেক পছন্দের ফল। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে তেঁতুল অনেক উপকারী। আপনি তেঁতুলের উপকারী এবং অপকারী দিক তুলে ধরেছেন। যা সকলের জানা প্রয়োজন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পোস্ট পড়ার আগেই মুখে পানি চলে আসছে ভাই। আপনার পোস্ট থেকে আমি একটি পুরাতন গাছের সন্ধান পেলাম। সময় করে দেখতে চলে জাবো। আপনার এলাকার এই গাছ যে আপনাদের এতো বেশি পরিচিত করেছে তা জানতাম না। ছোট বড় সবাই আসলে তেতুল পছন্দ করে। তেলুলে এতো বেশি পুষ্টি গুন পাওয়া যায় তা আমি আগে জানতাম না ভাই। প্রতিযোগিতায় আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভাই।
ঠিকই বলেছেন ভাই তেতুলের কথা মনে আসলেই জিভেতে পানি চলে আসে। তেঁতুল নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করছেন, তেতুলের উপকারিতা ও গুণাগুণ, তেতুল নিয়ে কুসংস্কার, আর নানা বিধি তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তেঁতুলের নাম নেয়াতে জিভে পানি চলে আসে।এটি খেতে যেমন মজাদার এবং শরিরের জন্য অনেক উপকারী।আপনার পোস্টের উপস্থাপন করা সুন্দর হয়েছে সাথে ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে।যারা তেঁতুলের গুনাবলি জানেনা তাদের এ পোস্ট পরে অনেক কিছু জানা হয়ে যাবে।ধন্যবাদ
তেঁতুল নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন ভাইয়া। তেতুল টক হলেও সবারই অনেক পছন্দের একটি ফল। তবে যে কেউ টকের কারণে খেতে পারে না। তেতুলের পুষ্টি সম্পর্কে অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
তেতুল জিভে জল আনে এমন কোন ব্যক্তি নেই যার সামনে আপনি খাচ্ছেন তার মুখে পানি আসবে না। তেতুল নিয়ে আপনি খুব চমৎকার ভাবে বিস্তারিত লিখেছেন যা আমার তেতুল সম্পর্কে অজানা তথ্য জানা হল। প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা প্রিয়.
জ্বি ভাই আপনি ঠিক বলেছেন একটি প্রায় ২০০ বছরের পুরনো একটি তেঁতুল গাছ। এবং কিছুদিন আগেও কিছু সাংবাদিক এসে এখানকার অনেক কিছুই তথ্য নিয়ে তারা একটি ব্লক তৈরি করেছে। আমাদের জমির হাটের তেতুল গাছ সম্পর্কে আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
প্রথমে আপনার জন্য শুভকামনা রইল কনটেস্টে অংশগ্রহণ করার জন্য। তেতুল এর উপকারিতা অনেক রয়েছে যা আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম।তেতুল একটি টক জাতীয় ফল এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে।এছাড়া অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।তেতুল সম্পর্কে আপনার ধারণা আসলেই অনেক বেশি আপনার উপস্থাপনা দারুন হয়েছে ভাই।খুব সুন্দর লিখেছেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।