হ্যালো বন্ধুরা,,
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। আজ আমি আবার উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের সাথে আমাদের জমির হাটের পুরনো একটি নাপিতের দোকান নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর মধ্যে চুল কাটা ও একটি। কারণ এই চুল যদি আমরা ঠিকমতো না কাটি তাহলে আমাদের চেহারা সৌন্দর্য কমে যাবে। দেখতে খারাপ লাগবে। তাই সুন্দর করে চুল কাটা ও পরিপাটি হয়ে ঘুরে বেড়া মানুষ হিসেবে আমাদের কর্তব্য।
এই দোকানটি জমিরহাটের একদম বাম পাশে মাছ বাজারের সাথে। দোকানটি পুরোটাই টিনের তৈরি। ভেতরে রয়েছে কয়েকটি ভাঙ্গা চেয়ার আর রয়েছে চুল কাটার কিছু কাঁচি আর অন্যান্য প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস যেগুলো চুল কাটায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। দোকানে যে লোকটি চুল কাটে তার নাম হলো মদন। আসলে তিনি হল হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন লোক।
তারা বংশ পরস্পরায় এই নাপিতের কাজ করে আসছে। এখন তিনি তার ছেলেকে এই নাপিতের কাজ করাচ্ছেন। কারণ তাদের বংশগত পেশাই এই নাপিত। তাছাড়া এই মদন মিয়ার যে কয়েকজন ভাই রয়েছে তারাও এই নাপিতের কাজ করে আবার তাদের ছেলে-পেলেরাও এই নাপিতের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।
| |
গত পরশুদিন আমি যাই চুল কাটার জন্য আসলে ব্যস্ততার কারণে চুল কাটার সময় পাইনা। তাই প্রথমে এক ভাইয়ের কাছে গেলাম যেখানে আমি চুল কাটি কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি একটু ভিড় তাই আমি অন্য দোকানটাতে গেলাম চুল কাটার জন্য। কিন্তু সেখানে গিয়েও দেখি দুই-একজন ভিড় রয়েছে তাই সেখানে বসলাম। কারণ যে কোন দোকানে গেলেই দুই একজন ভিড় থাকবেই।
দোকানে গিয়ে দেখলাম মদনের ছেলে কাঁকন যে আমাদের এক বছরের জুনিয়র। তাকে বললাম আমার চুলটা কেটে দেওয়ার জন্য। সে বলল ভাই আপনি একটু অপেক্ষা করেন একজনের চুল কেটেই না চুল কেটে দিচ্ছি। আমিও দোকানের ভিতরে একটি ভাঙ্গা চেয়ারে বসে আছি আর গ্রামের একজন ভাইয়ের সাথে গল্প করতেছি।
কিন্তু পরক্ষণেই একজন মোটা করে মহিলা আসে তার অসুস্থ একটি সন্তানকে চুল কাটার জন্য। ডাক্তার নাকি বলেছে তাকে চুল কাটার জন্য আসলে ছোট শিশুটির প্রচুর জ্বর ছিল। তাই সে তাড়াহুড়া করতেছে চুল কাটার জন্য। আমিও আবার তখন কাকনকে বললাম ভাই ছোট বাচ্চাটার চুল আগে কেটে দাও তারপর আমি চুল কাটি। কিন্তু এই শিশু যে এত কান্না করে তা বলার বাইরে। চুল কাটতে তার অনেক সময় লেগে যায় তার বাবা-মা সাহায্য করায়। তা না হলে অনেক সময় লাগতো চুল কাটার জন্য।
বাচ্চা শিশুটা চুল কাটার পর আমি চুল কাটতে বসি আমার চুল কাটতে ঠিক ৪৫ মিনিট সময় লাগে। চুল কাটার পর তার সাথে আরো কিছু কথা বলে বাড়িতে চলে আসি ।
ধন্যবাদ সবাইকে। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ সুন্দর থাকুন এই কামনাই করি। শুভকামনা রইল আপনাদের প্রতি।
https://twitter.com/Smn97541366047/status/1693680453696487890?t=pgfTY2I6emTeiRY0WgATgQ&s=19
নাপিত সম্প্রদায় সাধারণত বংশ পরস্পর হয়ে থাকে। নাপিতকে ভালো ভাষায় নরসুন্দর বলা হয়ে থাকে। মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নাপিত কাজ করে। চুলের কাটের উপরে একজন ছেলের সৌন্দর্য অনেকটা নির্ভর করে থাকে। সাধারণত মানুষের মুখের ফেসের সাথে মিল রেখে চুল কাটা হয়। বলতে হয় আপনার চুল কাটতে বেশ সময় লাগে ভাই।
ধন্যবাদ
নাপিতকে নরসুন্দর বলা হয়। বংশ পরম্পারায় যুগ যুগ থেকে নাপিতারা চুল কাটার কাজ করে আসছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক আগে এই নাপিতের কাজ করতো। বর্তমানে মুসলমানরা এই কাজের সাথে সম্পৃক্ত। চুল মানুষের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। নানাভাবে এরা চুল এর স্টাইল করে থাকে। আমার মাসে ১ বার নাপিতের কাছে যেতে হয়। তবে বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানের উপর নির্ভরশীল করে এদের আয় বৃদ্ধি পায়। যেমন ঈদ এবং পূজাতে তাদের আয় বেশি। অনেক সুন্দর লিখছেন ভাই। অনেক ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ
নাপিতের ব্যবসা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।বড় কিংবা ছোট বা নবজাতক শিশু সবার চুল কেটে থাকেন নাপিতেরা।তাদের চুল কাটার পর যে ধাপে ধাপে কৌশল ব্যবহার করে থাকে তা অনেকেরই অজানা তাই সবাই ছুটে যায় তাদের কাছে।এতে করে নিজেদের দরকার মিটানোর সাথে সাথে নাপিতের অর্থ উপার্জন হয়।আপনি অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন এ দোকানের নাপিতের বর্ননা।ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপনাকে
নাপিত বা নরসুন্দর দের কর্ম নিয়ে অনেক সুন্দর একটি আলোচনা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। নাপিতের কাছে অনেক সুন্দর ভাবে চুল কাটানোর জন্য প্রতিদিনই মানুষ ভিড় জমায়। নাপিতরা সাধারণত বংশ পরম্পরায় এই কাজে লিপ্ত থাকে। চুল কাটার জন্য নাপিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেক সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
জ্বি আপনি ঠিক বলেছেন এদের বংশ পরম্পরায় চলমান নাপিতের দোকান। কারন আমরা ছোট থেকে দেখে আসতেছি এদের পরিবারে কেউ না কেউ নাপিতের কাজ করতেছে। আপনি জমির হাটের এই নাপিতের দোকান সম্পর্কে অনেক সুন্দর একটি আলোচনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
ধন্যবাদ
নাপিতের দোকানগুলো সব সময় বংশ পরম্পরা থেকে ধারাবাহিকভাবে চলে আসে। আমিও কয়েকটি দোকানের জিজ্ঞেস করেছিলাম। আমাকেও তারা একেই জবাব দিয়েছিলেন তাদের বংশ-পরম্পর থেকে নাপিতের দোকান চলে আসতেছে। আপনি নাপিতের দোকান সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। যেটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
নাপিত নিয়ে সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।আমরা সবাই নাপিতের কাছে চুল কাটতে যাই।নাপিত অন্য সম্প্রদায়ের হয়ে থাকে।বেশির ভাগ নাপিত তাদের বংশের পরিচয়ের জন্য তারা নাপিত গিরি করে।অধিকাংশ মানুষ যারা নাপিত গিরি করে তারা ওই পেশা দিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।আপনি নাপিত সম্পর্কে দারুণ লেখছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ
বেশিরভাগ নাপিত রাই তাদের বংশ-পরম্পরা থেকে এসেছেন। এবং তারা নিজের সন্তানদেরকেও এই নাপিদের কাজ শিক্ষা দিয়ে থাকেন। নাপিদের কাছ থেকে আমরা অনেক উপকারিতা লাভ করি। বিশেষ করে চুল কাটার মাধ্যমে আমাদের সৌন্দর্য একটু হলেও বৃদ্ধি পায়। আর এটি শুধু নাপিতের মাধ্যমেই চুল কাটা সম্ভব। নাপিত সম্পর্কে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
ধন্যবাদ