কাগজের নৌকার সাথে মজার কিছু স্মৃতি
হ্যালো বন্ধুরা, ধন্যবাদ সবাইকে এত সময় আমার সাথে থাকার জন্য। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ সুন্দর থাকবেন এই কামনা করি। শুভকামনা রইল আপনাদের প্রতি।
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর রহমতে ভালো আছি। আজ আমি আবারো উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন কিছু নিয়ে। আজ আমি আপনাদের সাথে ছোট বেলার একটা মজার স্মৃতি কাগজের নৌকা বানা ও নৌকা নিয়ে পানিতে খেলার কিছু মজার স্মৃতি শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগে।
আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আকাশটা কেমন মেঘাচ্ছন্ন দেখাচ্ছে। চারিদিকে কালো মেঘে ভরে গেছে। আর হালকা হালকা বাতাস শুরু হয়ে গেছে। সে অবস্থায় ঘুমাতে ভালই লাগছিল। তার কিছু সময় পরে ই অঝর ঝরে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। জালা না খুলে বাইরের দিকে তাকিয়ে বৃষ্টি পড়া দেখতেছি।
অনেক ভালো লাগতেছিল গরমের মাঝে এরকম বৃষ্টি সত্যি অনেক ভালো লাগছিল। মনে হচ্ছিল বৃষ্টিতে গিয়ে ভিজি।। কিন্তু পরে এখানে মনে হলো আমার শরীর তো খারাপ আবার সামনে ফাইনাল এক্সাম। যদি জ্বর বা অন্য রোগে ভুগি তাহলে সব শেষ। তাই আর এসব চিন্তা বাদ দিয়ে শুয়ে শুয়ে ভাবতে থাকি। কতইনা মজা করতাম এই বৃষ্টি আসলে।
তখন এই ছোটবেলার সেই কাগজের নৌকার কথা মনে পড়ে যায়। বৃষ্টির দিনে যখন স্কুলে যেতাম তখন স্কুলে বসে খাতার কাগজ ছেড়ে নৌকা বানাতাম। আসলে বৃষ্টির দিন অল্প কয়েকজন ক্লাসে আসে। আর স্যার তেমন করে ক্লাস নিত না। তাই যে কয়েক জন ক্লাসে আসে সবাই মিলে ক্লাসে অনেক মজা করি। আর কাগজে নৌকা বানাতাম।
আর বাইরে যেখানে পানি জমে থাকে সেখানে গিয়ে সবার নৌকা একে একে ছেড়ে দেই আর দেখতে থাকি কার নৌকা সবচেয়ে বেশি ভালো চলে আর কার নৌকা সব থেকে কম সময়ে ডুবে যায় এসব নিয়ে হাসাহাসি করতাম। সেই সময়ের স্মৃতি মনে করে কিছু সময় হাসাহাসি করি আর ভাবতে থাকি অতীতের সেই কথা।
তখনই আমি তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে ব্যাগ থেকে একটা খাতা বের করে সেখান থেকে একটা পৃষ্ঠা ছিড়ে নেই। নিজের শখটাকে পূরণ করার জন্য। প্রথমে কয়েকবার ভুল হলেও ধীরে ধীরে কয়েকবার চেষ্টা করার পর কাগজের নৌকা বানাতে সক্ষম হই। তারপর বাইরে যাব চিন্তা ভাবনা করি। তখন ও বাইরে হালকা করে বৃষ্টি পড়ছিল।
তাই কিছু সময় পর বৃষ্টি থামলে বাসার নিচে দেখি একটু পানি জমে আছে। সেখানে গিয়ে তৈরি করা নৌকাটি পানিতে দিয়ে হাত বুলাতে থাকি। আর নৌকাটি সামনের দিকে চলতে থাকে। কিছু সময় এভাবে করার পর আবার বৃষ্টি শুরু হয়। তাড়াতাড়ি করে রুমে চলে আসি।
আমিও আগে এমন কাগজের নৌকা বানিয়ে পানিতে ভাসিয়ে দিতাম।আপনার এই পোস্ট টি পড়ে আমার শৈশব এর কথা মনে পড়ে গেল।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ
ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন আপনি। এরকম কাগজ তৈরি নৌকা গুলো ছোটবেলায় অনেক তৈরি করেছিলাম। পুকুরে ভাসে দিতাম নৌকাগুলো।পরে নৌকা গুলো ভেঙ্গে যেত।ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
কাগজের নৌকা। ছোট বেলায় আমার আপুর কাছ থেকে এই রকম নৌকা বানিয়ে নিতাম। আপনার ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে। এতো সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ
কাগজের এই নৌকা গুলো আমি অনেক বানিয়েছে খাতার পাতা ছিড়ে। নৌকা বানানীর পর আমি অপেক্ষা করতাম কবে পানি আসবে আর আমি অয়ানিতে নৌকা ভাসাবো। আপনার পোস্ট দেখে আমার শৈশবের সৃতি মনে পড়ে গেলো।
ধন্যবাদ
কাগজের তৈরি নৌকা নিয়ে দারুণ একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাই।ছোট বেলায় এইরকম কাগজ দিয়ে অনেক নৌকা বানায়ছি,আপনি ছোট বেলার স্মৃতি মনে করে দিলেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ
আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। খাতার পাতা ছিড়ে ছোট বেলায় অনেকবার এইরকম কাগজের নৌকা বানিয়েছি। কাগজের তৈরি নৌকা নিয়ে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে
ছোটবেলায় এভাবে কাগজ দিয়ে নৌকা বানিয়ে অনেক খেলেছি।আমাদের বাড়ির পাশে একটি নদী আছে সেই নদীতে গিয়ে এই নৌকাগুলো ছেড়ে দিয়ে আসতাম। যদিও নৌকাগুলো কাগজ দিয়ে বানানো হতো তাই খুব বেশি দূরে যেত না। ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ
Twitter link
আপনার নৌকাটি অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার পোস্টে দেখে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। আগে আমরা প্রায়ই এমন নৌকা বানাতাম। আবার সেগুলো পুকুরে ছেড়ে দিয়ে দেখতাম। আপনি আপনার স্মৃতিটি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
কাগজের তৈরি নৌকা নিয়ে প্রত্যেকের শৈশব জড়িয়ে আছে। আমি ছোটবেলায় স্কুল যাওয়ার পর কাগজের তৈরি নৌকা বানাইতাম আর পুকুরে ভেসে দিতাম। তবে আগেকার সময়ে আমাদের স্কুল থেকে বই ও খাতা দিতো।আপনার পোস্ট কোয়ালিটি যথেষ্ট ভাল।
ধন্যবাদ ভাই