হ্যালো বন্ধুরা,,
আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভালো আছি। আজ আমি আবার উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের সাথে শৈশবের স্মৃতি জড়িত একটি গাড়ি নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
শৈশব মানে ই অনেক আনন্দ। আর সেই আনন্দময় মুহূর্তে স্মৃতিগুলো সব সময় মনে পড়ে। সেগুলো বলতে চাইলেও কখনো ভোলা যায় না। কোন না কোন উপায় বা মাধ্যম করে আবার আমাদের চোখের সামনে ফিরে আসে। আর যখন সেগুলো মনে পড়ে তখন মনের অজান্তে মুখ দিয়ে ফিক করে হাসি বের হয়। আর মনের ভিতর এক অজানা অনুভূতি কাজ করে।
যাইহোক পরশুদিন হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ার কারণে সারাদিন কোথাও বের হতে পারি নাই বিধায় বাড়িতে বসে বসে মোবাইল টিপতেছি। রুমের বাইরে এসে দেখি মেঝেতে বসে আমার ছোট্ট ভাগিনা একটি গাড়ি তৈরি করতেছে। আসলে তার একটি গাড়ি ছিল সেটা ভেঙে যাওয়ার কারণে তার কাছে ওই গাড়ি র চাকাগুলো ছিল।
| |
আর সেই চাকাগুলোর সাহায্যে সে গাড়ি তৈরি করার চেষ্টা করতেছে। গাড়িতে বডি হিসেবে অব্যবহৃত স্যালাইনের অংশ কেটে সেটাকে গাড়ির বডি বানিয়েছে। আর শাখা গুলো রাবার দিয়ে দুইটা লাঠির সাহায্যে ভালো করে বেঁধে দেয় যাতে সেগুলো ছুটে অন্য কোথাও চলে না যায়।
আমিও তার কাছে একটি টুল নিয়ে বসে পড়লাম। আর দেখতেছি সে কিভাবে গাড়ি তৈরি করে। তাকে সাহায্য করতেছে আমার ছোট্ট বোন। তাদের সাথে কথা বলতেছি আর ভাবতেছি আমি যখন ছোট ছিলাম তখন এইভাবে পুরনো জিনিসগুলো দিয়ে অনেক কিছু জিনিস বানাতাম। বিশেষ করে আমার ছোটবেলার জিনিসের মধ্যে ব্যাটারি দিয়ে লাইট তৈরি করা আবার ছোট ছোট মোটর দিয়ে ফ্যান তৈরি করে বাতাস খেতাম। মাঝে মাঝে এমন হতো যে নতুন জিনিস ভেঙ্গে পুরনো জিনিসের সাথে অন্য কিছু তৈরি করতাম। আর মায়ের বকা খেতাম।
এসব ভাবতেছি আর হাসতেছি কতই না সুন্দর ছিল সেই দিনগুলো। ফিরে যেতে মন চায় সেই দিনগুলোতে। কিন্তু আজীবন সেই দিনগুলো স্মৃতির পাতায় থাকবে স্মৃতি হিসেবে।
অবশেষে দেখতে দেখতে আমার ভাগিনা ও ছোট বোন দুইজনে মিলে গাড়িটি তৈরি কমপ্লিট করে দেয়। দেখতে অতটা ভালো না হলেও বেশ ভালোই লাগতেছে। অবশেষে তার মাথায় একটা গাট্টি মেরে সেখান থেকে রুমে চলে আসি।
ধন্যবাদ সবাইকে। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ সুন্দর থাকুন এই কামনাই করি।
শৈশবে আমরাও বিভিন্ন রকম জিনিস দিয়ে গাড়ি বানিয়ে খেলতাম। তবে এখনকার শিশুরা এসব খেলনা দেখলে হয়তো খেলতেই চাইবে না। অনেক ধরনের খেলনা এখন বাজারে কিনতেই পাওয়া যায়। আর সবাই সেসব খেলনাই শিশুদের বেশিরভাগ সময় কিনে দেয়। আপনার পোস্টটি দেখে শৈশবের কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল।অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
https://twitter.com/Smn97541366047/status/1690756490108481536?t=4hObZOsy1bTxhsA3C_U3ew&s=19
এই গাড়ি দেখেই আমার বোতলের সিপি দিয়ে গাড়ি বানানোর কথা মনে পড়ে গেলো ভাই। আপনার ভাগিনার মাথায় বুদ্ধি আছে ভাই। দুই সাইটের লাঠি যত শক্ত হয় গাড়ি ততই মজবুত হয়ে থাকে। শৈশবের এমন সুন্দর একটি সৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
আমিও শৈশবে বোতল এর সিপি দিয়ে গাড়ি বানাইছি, আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে সেই স্মৃতি মনে পরে গেলো। গতবছর আমি বাড়ি গিয়ে আমার ভাগিনাকে বানাই দিছিলাম। শৈশব অনেক মজার ছিলো। ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ
আপনার এ পোস্ট থেকে অনেক কিছু বিস্তারিত জানলাম, আমি এসব দিয়ে খেলিনি কিন্তু দাদা বাড়িতে গেলে অনেকে এসব দিয়ে খেলতো দেখেছিলাম।আপনার পোস্টের উপস্থাপন সুন্দর হয়েছে সাথে ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ
শৈশবের স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেলে নিজেকে তখন অন্যরকম মনে হয়। এইরকম ছোট বেলায় অনেক খেলছি।তবে আমিও ব্যাটারি দিয়ে লাইট বানাতাম।যত গুলো ব্যাটারি ছিল সব গুলো দিয়ে লাইট তৈরি করতাম।আপনার ভাগিনা সুন্দর করে চার চাকার গাড়ি তৈরি করছে।এই পোষ্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ আপনাকে
জ্বি ভাইয়া ঠিক বলেছেন আমরা শৈশবে এরকম চার চাকার গাড়ি অনেক বানিয়েছি এবং এগুলোর খেলার কাজে ব্যবহার করেছে। ছোটবেলায় আসলেই আমাদের অনেক মধুর কিছু গল্প থাকে যা আমাদের কল্পনাকেও হার মানায়। সত্যিই আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
ধন্যবাদ আপনাকে
ছোটবেলায় এইরকম গাড়ি দিয়ে অনেক খেলেছি।তবে আপনার গাড়িটি একটু ভিন্ন লাগতেছে।আমার চাচাতো ভাইয়ের ছিল এইরকম একটি গাড়ি।আমি গাড়িতে বসতাম আর ভাইয়া পিছন থেকে ধাক্কা দিত।কিন্তু এরকম গাড়ি নিয়ে ছেলেমেয়েদের এখন আর খেলতে তেমন দেখা যায় না তবে দুই দিন আগে আমার গ্রামের এক ছোট ভাইয়ে দেখলাম এরকম গাড়ি নিয়ে খেলতে।আপনি পোস্টটি পড়ে আমার ছোট বেলার স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে উঠলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
আমি নিজেও শৈশবে এমন চার চাকার গাড়ি দিয়ে অনেক খেলেছি। আপনার পোস্টটি দেখে পুরা শৈশবে কথাগুলো মনে পড়ে গেল ভাইয়া। এইভাবে অনেক প্রকারের গাড়ি বানাতাম আর একটা দড়ি লাগে টানতাম। কি মধুময় ছিল আমাদের শৈশব। শৈশবের চার চাকার গাড়ি সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের শৈশবের কথা মনে করে দেওয়ার জন্য।