গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি খাঁচা।
আসসালামু আলাইকুম,প্রিয় স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটির ব্লগারবৃন্দরা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় আপনারা সকলে ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।আজকে আমি ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি খাঁচা নিয়ে কিছু কথা বলবো, আশা করি সবার ভালো লাগবে।
আমাদের দেশে অনেক লোকশিল্প আছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে বাঁশ শিল্প। আমরা সবাই বাঁশ শিল্পের সাথে জড়িত। গ্রামে গাঁয়ে এই বাঁশের উৎপাদন বেশী হয়,ও বেশ ভালো হয়ে থাকে। বাঁশ দিয়ে অনেক রকমের হস্তশিল্প তৈরি করা যায়।যেমন: ঝুড়ি,মই,খাঁচা, ইত্যাদি তৈরি করা যায় বাঁশ দিয়ে। আগে বাঁশ দিয়ে অনেক রকমের হস্তশিল্প তৈরি করা হতো। নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক হস্তশিল্প তৈরি করা হতো। লোকসংস্কৃতি ও কারুশিল্পের প্রধান উৎস হলো বাঁশ। আমাদের দেশে গ্রাম অঞ্চলে বাঁশের চাষ হয়ে থাকে।কেউ কেউ বাঁশ উৎপাদন করে নিজের বাড়ির কাজে ব্যবহার করার জন্য। আবার কেউ কেউ বাঁশ উৎপাদন করে বিক্রি করার জন্য।
ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি মই আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলে ব্যবহার হয়ে থাকে।মই তৈরি করা হয় বাঁশ দিয়ে।এই মই দিয়ে আমরা নানা ধরনের কাজ করে থাকি।যেমন ধান চাষ করার সময় মই দিয়ে আমরা জমির মাটি সমান করে থাকি। আবার মাচার উপর বা কোন উঁচু কোথাও ওঠার জন্য আমরা মই ব্যবহার করে থাকি। সাংসারিক নিত্য কম বেশি সকল কাজে আমরা মই ব্যবহার করে থাকি। বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প গ্রাম অঞ্চলে ব্যবহার করা হয়। আবার বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প শহরে নিয়ে গিয়ে বিক্রিয়া করা হয়।
ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি একটি হলো খাঁচা, আমাদের দেশে বা গ্রাম অঞ্চলে এই খাঁচা কম বেশি সবাই ব্যবহার করে।আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এই খাঁচা বাঁশ দিয়ে তৈরি করে,আমাদের দেশে এখন আস্তে আস্তে বাঁশ ঝাড় উঠে যাচ্ছে যার ফলে বাঁশ শিল্প দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে, খাঁচা তৈরি করতে প্রথমে তারা বাঁশ ঝাড় থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে আনে,তার পর তারা বাঁশ টা সুন্দর করে কেটে নেই। এবং বাঁশ গুলো কাটার পর সেগুলো কিছু দিন শুকিয়ে রাখতে হয়।তার পর তারা ও-ই বাঁশ দিয়ে চিকন চিকন বাতা তৈরি করে, ও-ই বাতা গুলো দিয়ে সুন্দর ভাবে আস্তে আস্তে একে অপরের বাতার সঙ্গে নিখুত ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর একটা গোলাকার বিত্তর মতো তৈরি করে।
এই ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি খাঁচা আমাদের প্রতিটা পরিবারে ব্যবহার করা হয়, এই খাঁচা দিয়ে আমাদের মুরগির বাচ্চা বা হাঁসের বাচ্চা গুলো ভালো ভাবে ঢেকে রাখা যায়, এই খাঁচার মধ্যে যেকোনো বাচ্চা রাখলে তা পরিপূর্ন ভাবে থাকে,এটা আমাদের অনেক কাজে আসে, এই বাঁশের তৈরি খাঁচা হলো আমাদের একটি ঐতিহ্য। বাঁশের তৈরি এ-ই খাঁচা গুলো বেশির ভাগ গ্রাম অঞ্চলে ব্যবহার করা হয়, আগে অনেক মানুষ গ্রামে গ্রামে ঘুরে তারা এই বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প বিক্রি করে। আমি আজকে এখানেই শেষ করলাম আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আবার কোনো এক পোস্টে দেখা হবে।
ডিভাইস | Redmi S2 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @jannatunbithi |
লোকেশন | যশাই হাট,পার্বতীপুর |
বাঁশের তৈরি ঐতিহ্যবাহী খাঁচা নিয়ে খুব সুন্দর লেখছেন আপনি, এই খাঁচা দিয়ে আমাদের প্রতিটা সাংসারিক কাজে ব্যবহার করা হয়, আমরা এই খাঁচা দিয়ে মুরগির বাচ্চা ঢেকে রাখি,হাঁসের বাচ্চা ঢেকে রাখি, আবার কেউ কেউ ছাগলের বাচ্চা গুলো ঢেকে রাখে।তবে এখন বাঁশের ব্যবহার দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে যার কারনে বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র গুলো হারিয়ে যাচ্ছে, আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন, আপনার ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
বাঁশের তৈরি খাচা আমাদের গ্রাম বাংলার অনেক পুরনো ঐতিহ্য। বিভিন্ন হাট বাজারে বাঁশের তৈরীর এসব জিনিসগুলো কিনতে পাওয়া যায়। গ্রাম অঞ্চলে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই বাঁশের তৈরি এসব জিনিসপত্র ব্যবহার করে। ঐতিহ্যবাহী জিনিস গুলো দেখতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া
বাঁশ নিয়ে আমাদের প্রয়োজনীয় উদ্ভিদ। বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন রকমের জিনিস তৈরি করা হয়। বাঁশ এর খাচা বেশ ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন রকমের কাজে। হাস মুরগির বাচ্চা ঢেকে রাখা হয় এটির সাহায্যে।
ধন্যবাদ আপনাকে
বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র আমাদের খুবই প্রয়োজনীয় মাধ্যম। বাঁশ আমাদের দৈনন্দিন অনেক কাজে লাগে। গৃহস্থালির কাজে লাগে এসব ডালা খাঁচা । আপনি বাঁশ শিল্প নিয়ে অনেক সুন্দর উপস্থাপন করছেন আপু। এসব খাঁচা তে খড় কেটে রাখা হয় এবং হাঁস মুরগী লালন পালন করতে ব্যবহার করা হয়। অনেক সুন্দর লিখছেন আপু অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
বাঁশের তৈরি খচারী আমাদের অতি প্রয়োজনীয় । দৈনন্দিন কাজে বাঁশের তৈরি খচারী খুব প্রয়োজন।বাঁশের তৈরি খচারী বিশেষ করে হাঁস ও মুরগী ঢেকে রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই বাঁশের তৈরি খচারী গ্রামের বাড়িতে প্রায় দেখা যায়। আর এই বাঁশের তৈরি খচারী হাট-বাজার স্বল্প দামে পাওয়া যায়। আপনি বাঁশের খচারী নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ আপু
বাঁশ আমাদের নিত্যদিনের খুবই প্রয়োজনীয় একটি উদ্ভিদ। বাঁশ দিয়ে নানাবিধ কাজ হয়ে থাকে। বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র বিশেষ করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুবই কাজে লাগে। ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। এর সাথে বিস্তারিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে পোস্টটি ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক তথ্য জানতে পারলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ
যারা গ্রামে থাকেন তাদের কাছে এই বাঁশের তৈরি খাচা টা অনেক প্রয়োজনী একটি জিনিস। তাদের নিত্যদিনের কাজে এই বাঁশের খাঁচার প্রয়োজন পড়ে। বিশেষ করে গর, ছাগলের খাবার এখান থেকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য এটি বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। শহরাঞ্চলে এই সকল খাঁচার ব্যবহার তেমন একটা দেখা যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে
বাঁশের তৈরি খাচা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।এই খাচা আমরা মুরগি হাঁস ঢেকে রাখার জন্য ব্যবহার করে থাকি।সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।অসাধারণ হয়েছে পোস্ট। ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া
আমাদের বাসায় কয়েকটি খাঁচা রয়েছে যা দিয়ে আমরা মুরগি হাঁস ঢেকে ঢেকে রাখি। বাঁশ দিয়ে খাঁচা ছাড়াও আরো অন্যান্য আসবাবপত্র তৈরি করা হয়ে থাকে এবং বাসাবাড়ি তৈরিতে ভূমিকা অনেক বেশি।আপনি পাস শিল্প নিয়ে অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এমন সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য
ধন্যবাদ