প্রচীনকালের ঐতিহ্যবাহী হারিকেন বাতি
আসসালামু আলাইকুম,প্রিয় স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটির ব্লগারবৃন্দরা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় আপনারা সকলে ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।আজকে আমি ঐতিহ্যবাহী হারিকেন বাতি নিয়ে কথা বলবো ,আশা করি আমার পোস্ট পরে আপনাদেরকে ভালো লাগবে।
হারিকেন বাতি হলো আমাদের এক পুরনো দিনের ঐতিহ্য, হারিকেন দিয়ে আমরা এক সময় অনেক কিছু করতাম,কিন্তু এখন খুব আফসোস যে হারিকেন আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেছে।আগের যুগে মানুষ হারিকেন বাতি দিয়ে রাতে পড়া লেখা করতো,তবে হারিকেন আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য ছিল, আমাদের বাসায় আগে হারিকেন ছিল,কিন্তু এখন এই হারিকেন খুঁজে পাওয়া যায় না।
আগের যুগে মানুষ তোমন একটা আয় উপার্জন ছিল না,অনেক কষ্ট করে তারা জীবন যাপন করতো,আর এই হারিকেন জালাতে আমাদের ক্যরাসিন তেল লাগে।আর এই ক্যারোসিন তেলের দাম ছিল অনেক। কারন এই ক্যারোসিন তেল তেমন একটা পাওয়া যেত না যার কারনে এই তেলের দাম বেশি ছিল। আর এই তেল কেনার জন্য অনেক মানুষের তেমন একটা টাকা বা পয়সা ছিল না। টাকা বা পয়সা না থাকায় তেল ও কিনতে পারত না । আর এই তেল না থাকায় হারিকেন ও জালানো যেত না। অনেকে রাতে অন্ধকারে থাকত।
আর প্রচীনকালের মানুষের তেমন একটা আয় উপার্জন ছিল না,বেশির ভাগ মানুষ গরিব ছিল,আর যাদের বাসায় কারেন্ট ছিল তারাও হারিকেন জালাতো,কারন আগে সব সময় কারেন্ট ছিল না, এই জন্য সবাই হারিকেন ব্যবহার করতো।হারিকেন আমাদের মাঝে একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ছিল,তবে এখন এই আধুনিকতার ছোঁয়ায় সব হারিয়ে যাচ্ছে।
আমরা আগে হারিকেন বাতি দিয়ে রান্না করতাম তার পর পড়া লেখা করতাম, আবার যদি কোথাও যেতে হয় আমরা হারিকেন বাতি নিয়ে বের হয়।তাহলে হারিকেন বাতি আমাদের কতো গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ছিল,এই হারিকেন না থাকলে এক সময় সবাই মানুষ বেকার ছিল, তবে আরো কিছু দেখা যেতো তেল কেনার জন্য টাকা ছিল না।এখন বলতে গেলে কারো বাসায় এই হারিকেন বাতি খুঁজে পাওয়া যাবে না,এখন সবার ঘরে ঘরে কারেন্ট আছে। আমি এখানেই শেষ করলাম আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
প্রচীন কালের হারিকেন বাতির গুরুত্ব আলাদা ছিলো। কেননা ঝড়ের রাতে হারিকেন এর বাতি জ্বালিয়া রেখে দিত। আর এই হারিকেন এর বাতির চারিদিকে কাচ থাকার কারনে বাতাস ভিতরে প্রবেশ করতে পারত না। ধন্যবাদ
অনেক দিন থাকি হারকিন দেখি নাই।অনেক আগে দেখেছিলাম। হারকিন দিয়ে অনেক বই বড়েছি।
ধন্যবাদ আপনাকে
ঘরে ঘরে বিদ্যুতের সুবিধা আসার পরে হারিকেন এর ব্যবহার অনেক গুন কমে গিয়েছে। কেননা বৈদ্যুতিক বাতি এবং বিদ্যুৎ না থাকলে বিভিন্ন ধরনের চার্জার লাইটের ব্যবহার করে সবাই বর্তমানে। আবার আইপিএস এর সুবিধা আসার পর থেকে আর কেউ চার্জার লাইট ও ব্যবহার করেন না এখন। আমি শেষ কবে হারিকেন দেখেছি আমার মনে নেই। প্রযুক্তির উন্নয়ন মানুষের জীবনকে অনেক বেশি সহজ করে দিয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে হারিকেন নিয়ে সুন্দর পোস্টটি করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
হারিকেন নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।এটি গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্য। প্রাচীন কালে মানুষ বিদ্যুৎ না থাকায় হারিকেন জালিয়ে রাতের বেলা সব কাজ করত। সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন।অসাধারণ হয়েছে পোস্টি।ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
হারিকেন এক সময় এর বন্ধু ছিলো। যখন বিদ্যুৎ এর ব্যবহার ছিলো না তখন, এই হারিকেন এর আলোতেই পড়াশুনা করছি। সন্ধ্যা বেলায় হারিকেন এর গ্লাস মুছে রাখতাম পড়াশোনা করার জন্য। অনেক সুন্দর লিখছেন ধন্যবাদ
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
হারিকেন অনেক উপকারী একটি বস্তু ছিলো উনিশ দশকের। তখন সব বাড়িতেই হারিকেন দেখতে পাওয়া যেত৷ হারিকেন অন্ধকারের বন্ধু ছিলো৷ তবে এখন বিলুপ্ত প্রাই হারিকেন৷ শহরে এটি দেখতে পাওয়াই যায় না।
হারিকেন একটি ঐতিহ্য আমাদের কিন্তু প্রতিটি বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ হওয়ায় এখন আর তেমন দেখতে পাওয়া যায় না আর কারো বাড়িতে থাকলে সেটা দেখা যায় ধুলা জমে পড়ে আছে। আপনি হারিকেন নিয়ে সুন্দর লিখেছেন।
আমার এখনো মনে আছে ছোটবেলায় যখন দেখতাম কারেন্ট চলে যেত তখনই হারিকেন ছিল একমাত্র আলোর উৎস।হারিকেন দিয়ে অনেক পড়ালেখা করেছি ছোটতে মনে আছে আমার সেই স্মৃতিগুলো। হারিকেন নিয়ে খুব সুন্দর লিখেছেন আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
হারিকেন আগে মানুষের সব ছিল হারিকেন ছারা মানুষ অচল ছিল এক সময়, আপনি হারিকেন নিয়ে অসাধারণ লেখছেন, এক সময় হারিকেন না থাকাই মানুষ ভাত খাইতো না,আমাদের বাসায় হারিকেন বাতি ছিল, কিন্তু এখন যে কয় আছি খুঁজে পাওয়া যায় না আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ছবি গুলো তুলছেন, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।