প্রতিযোগিতার ১০ম সপ্তাহ - ঐতিহ্যবাহী খাবার
সবাইকে আদাব
আমি @biplobsarker
তারিখঃ০৯-০৪-২০২৩ইং
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আমি আজকে একটি বিশেষ ঐতিহ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
|
---|
উপকরন
১।আটা
২।গুড়
৩।নারিকেল
৪।এলাচ
৫।লবল
৬।দুধ
১ম ধাপ
প্রথমে পিটা তৈরির জন্য আটা ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে এবং আটা গুলো একটি পাত্রে রাখতে হবে এবং আঠাগুলোকে পানি দিয়ে গুলিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করে রাখতে হবে।
২য় ধাপ
এবার গরম পানিতে এই আঠাগুলোকে দিয়ে গুলিয়ে নিতে হবে এবং হাতের সাহায্যে এগুলোকে মেখে একটি বলের আকারের পরিণত করে নিতে হবে। আটা গলানোর জন্য চুলায় কড়ই ব্যবহার করতে হবে।
৩য় ধাপ
এবার আটা গুলোকে হাতের সাহায্যে একটি পাত্রে একটু নেড়েচেড়ে একটি ফুটবলের মত সাইজের করে নিতে হবে এবং আঠাগুলোকে নরম করে নিতে হবে।
৪র্থ ধাপ
এই পর্যায়ে আটার বড় দলটিকে ছোট ছোট গুলির মতো করে নিতে হবে এবং সেগুলোকে খুব সুন্দর করে মসৃণ করে গোল করে রাখতে হবে যাতে পিঠা তৈরি করলে সেগুলো দেখতে সুন্দর লাগে।
৫ম ধাপ
এবার পিঠা তৈরির জন্য একটি বিশেষ উপকরণ নারিকেল করে নিতে হবে। নারিকেল কুরে সেগুলোকে পরিষ্কার করে একটি পাত্রে রেখে দিতে হবে। এই নারিকেল গুলোকে সুন্দর করে ভেজে নিতে হবে।
৬ষ্ঠ ধাপ
নারিকেল ভেজে নেওয়ার জন্য একটি করই নিতে হবে। নারিকেল ভাজতে বেশ কিছু সময় লাগে। তাই সুন্দর করে নারিকেল গুলো লাল করে ভাজতে হবে। এ পর্যায়ে নারিকেলের সাথে গুর মিশিয়ে নিতে হবে।
৭ম ধাপ
নারিকেলের সাথে ঘুর মিশিয়ে কিছুক্ষণ ভাজার পর এরকম রং চলে আসবে। এরকম রং চলে আসলে আপনারা সেগুলো নামিয়ে রাখবেন এবং এগুলো ভাজা হয়ে গেলে একটি পাত্রে রেখে দেবেন।
৮ম ধাপ
এবং নারিকেল ভাজাগুলো অল্প অল্প করে আটা গুলো গোল করে মাঝখানের গর্ত করে বসিয়ে দিয়ে পিঠার মুখ বন্ধ করে দিতে হবে যাতে নারকেলগুলো বাহির হয়ে না আসে।
৯ম ধাপ
নারিকেল গুলো পিঠার গুলিতে দিয়ে দিতে হবে এবং দেওয়ার পর মুখ বন্ধকরে দিতে হবে।
১০ম ধাপ
এবার পিঠাগুলো দুধের সাথে রান্না করার জন্য চুলায় বসিয়ে দিতে হবে একটি পাত্রে এবং ১৫ থেকে ২০ মিনিট রান্না করে নিতে হবে যাতে পিঠাগুলো সিদ্ধ হয় এরপর এগুলো নামিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
১১তম ধাপ
রান্না শেষে পিঠাগুলো এমন লোভনীয় লাগবে দেখতে এবং এই পিঠা খেতে বেশ মজাদার হয়। এই নারিকেল পুলি পিঠা এতটাই জনপ্রিয় যে সবাই এই পিঠা বানিয়ে খেয়ে থাকেন বাড়িতে।
১২তম ধাপ
বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের আলোচনার বিষয়। আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
তথ্য | বিস্তারিত |
---|---|
বিষয় | ঐতিহ্য |
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ ৫২ |
সম্পাদন করা | হ্যাঁ |
অবস্থান | পার্বতীপুর,দিনাজপুর ,বাংলাদেশ |
ফটোগ্রাফার | @biplobsarker |
শীতকাল আসলে আমাদের দেশে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়।তাছাড়া সারা বছর কম বেশি কিছু পিঠা তৈরি করা হয়। এই পুলি পিঠা আমাদের বাসায় শীতকালে বেশি তৈরি করে।অনেক মজার একটি পিঠা। পুরো প্রক্রিয়াটি খুব ভালোভাবে তুলে ধরেছেন আপনি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ
নারিকেল পিঠা আমার অনেক প্রিয় একটি পিঠা। আশা করি আপনি আমাকে খাওয়াবেন কিছুদিনের মধ্যেই। আপনি অনেক সুন্দরভাবে প্রতিটি ধাপে ধাপে নারিকেল পিঠা বানানোর রেসিপি দেখিয়ে দিয়েছেন। ঐতিহ্যবাহী পিঠা ছাড়া যেন কোন অনুষ্ঠান চালাই না। সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ
নারিকেলের পুলি খুব পছন্দের একটি খাবার, নারিকেল পুলি পিঠা খুবই সুস্বাদু। আমাদের বাড়িতে শীতের সময় এই পিঠা বেশি তৈরি করা করা হতো। আপনার পিঠা তৈরি করার প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাই। অনেক লোভনীয় ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর পিঠাপুলি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
নারিকেলের পুলি পিঠা। নারিকেলের পিঠা খেতে খুব সুস্বাদু হয়। এই পিঠা আমার খুব প্রিয়। এই পিঠা সবার জনপ্রিয়। আপনি নারিকেলের পিঠা নিয়ে খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করছেন দাদা।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
নাড়িকেলের পুলি পিঠা আমার অনেক পছন্দের একটা খাবার, আমাদের বাসায় কোনো মেহমান আসলে এই নাড়িকেল পুলি পিঠা বানানো হয়। আপনি সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন,নাড়িকেল পুলি পিঠা কি ভাবে বানায় সব গুলো ধাপ সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন, আপনার নাড়িকেল পুলি পিঠা দেখে আমার জল চলে আসতেছে ভাই, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য
ধন্যবাদ
ঐতিহ্যবাহী খাবার নারকেল পুলি পিঠা খেতে প্রায় সবাইকেই ভালো লাগে।এই পিঠার একটি বিশেষত্ব হলো যে নারকেল দিয়ে এটি তৈরি করা হয়। তাই প্রায় সবাইকেই খেতে মন চাই এটি। খুব সুন্দর ভাবে আপনি পোস্টটি উপস্থাপন করেছেন ধাপে ধাপে বর্ণনা করেছেন ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ
মন্তব্যঃবাহ চমৎকার একটা জিনিস রান্না করেছেন।তবে ভালোই লিখেছেন ভাই। সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করে পোস্ট আরো সুন্দর লাগল।
ধন্যবাদ
পিঠা খেতে কার না ভালো লাগে আরো যদি হয় নারীকেলের পুলি পিঠা তাহলে তো কোনো কথাই নেই। খেতে অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার হয়। আপনি প্রত্যেকটি ধাপে ধাপে সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। নারিকেলের পুলি পিঠা শুধু খেয়ে আসতেছি আজকে আপনার এই রেসিপিটা দেখে উপকৃত হলাম।
ধন্যবাদ
প্রতিযোগিতার ১০ম সপ্তাহ - ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে ভালো লেখেছেন ভাইয়া,খুব ভালো লাগলো আপনি এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করছেন,নারিকেল পুলি পিঠা আমার অনেক পছন্দের খাবার, আমার মা আমাদের বাসায় মাঝে মাঝে নারিকেল পুলি পিঠা বানায়,আপনি নারিকেল পুলি পিঠা কি ভাবে বানায় সব গুলো ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
ধন্যবাদ