আদি যুগ থেকে রান্না ঘরে ব্যবহার করা শিল পাটা
সবাইকে আদাব
আমি @biplobsarker
তারিখঃ১৯-০৩-২০২৩ ইং
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আমি আজকে একটি বিশেষ ঐতিহ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
|
---|
আমরা আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেক বিশেষ কিছু ঐতিহ্য ভুলে যেতে চলেছি এবং আমরা আধুনিকতার ছোঁয়ায় অলস হয়ে গেছি। আমি আজকে একটি বিশেষ ঐতিহ্য নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব আগে প্রতিটি বাড়িতে রান্না ঘরে এই জিনিসটি দেখা যেত। এখনো রয়েছে তবে অনেকে এটি এখন আর ব্যবহার করতে চান না।
আমি যে জিনিসটির কথা বলছি সেটি হচ্ছে শীল পাটা। এটি একটি পাথরের তৈরি বস্তু খুব শক্তিশালী পাথর দিয়ে এটিকে তৈরি করা হয়। পাথরকে সুন্দরভাবে কেটে সুন্দর একটি ডিজাইন দিয়ে এই বস্তুটি তৈরি করা হয়। এটি তৈরি করতে বেশ ধারালো অস্ত্রের দরকার হয় এটি কাটার জন্য। শীল পাটায় দুটি উপাদান রয়েছে একটি হচ্ছে শীল একটি হচ্ছে পাটা। এই দুটির সমন্বয়ে এই জিনিসটি তৈরি করা হয়েছে। এই পাথরের গায়ে লোহার একটি পেরেক দ্বারা খোদাই করা হয় যাতে কোন কিছু এখানে বেটে নিলে তা সহজে বাটা যায়।
আমাদের প্রায় সবার এই বাড়িতে এই শিল পাট দেখা যায়। বিভিন্ন রকমের মসলা রসুন পেঁয়াজ ইত্যাদি বাটার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি ব্যবহার করতে একটু শক্তির প্রয়োজন হয়। এটি ব্যবহার করার সময় শিলটি চেপে ধরে পাটার মধ্যে চাপ দিয়ে শক্তভাবে বেটে নেওয়া হয় এভাবে কিছুক্ষণ বাটার পর বাটা হয়ে যায়। এটি ব্যবহার করতে গেলে একটু সময় লেগে যায় এবং শক্তি খরচ হয়। এখন প্রযুক্তির ছোঁয়ায় মানুষ এটি ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রামের প্রতিটা বাড়িতে তবুও ব্যবহার করা হয় কিন্তু শহরে ব্যবহার করা হয় না। শহরের বিভিন্ন যান্ত্রিক পণ্যের মাধ্যমে মসলা থেকে শুরু করে সব ধরনের দ্রব্য বেটে নেওয়া যায়। এখন দিন দিন গ্রামেও এটির ব্যবহার কমে যাচ্ছে। কারণ গ্রাম এখন শহরে রূপান্তরিত হচ্ছে গ্রামের মানুষেরাও এখন অলস হয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির ছোয়ায় গ্রামেও এগুলোর ব্যবহার কমে যাচ্ছে।
শিলপাটা ব্যবহার করতে করতে অনেক সময় এর ধার কমে যায়। অর্থাৎ পাথরের উপর যে খোদাই করা হয় ছোট ছোট সবগুলো সেগুলো সমান হয়ে গেলে, তখন আর এটি তে কাজ ভালো করে করা যায় না। তখন এটি আবার নতুন করে খোদাই করতে হয়। এগুলো খোদাই করার জন্য কিছু লোক রয়েছে যারা কিছুদিন পর পর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে এগুলো খোদাই করে দেয়। এনারা অনেক দিন থেকে কাজগুলো করে তবে এখন আর তেমন এদেরকে দেখা যায় না কারণ এই টির ব্যবহার এখন অনেক অংশে কমে গেছে।
বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের আলোচনার বিষয়। আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
Information | Details |
---|---|
Topic | Tradition |
Camera | Samsung Galaxy A52 |
Editing | Yes |
Location | Parbatipur,Dinajpur, Bangladesh |
Photographer | @bipser |
শিল-পাটার ব্যবহার অধিক প্রাচীনকাল থেকে মানুষ করে আসছে। প্রতিটি মানুষের ঘরেই এই শিল-পাটা রয়েছে।তবে আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে বর্তমানে শিলপাটার ব্যবহার ক্রমশ কমছে। শিল পাটার পরিবর্তে মানুষ এখন কি ইলেকট্রনিক গ্লাইন্ডার এবং ব্লেন্ডার ব্যবহার করছে। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি করার জন্য।
ধন্যবাদ
শিল পাটা হল যুগ যুগ ধরে চলে আসা গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে দৈনন্দিন ব্যবহৃত এক অন্যতম জিনিস।এটি ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম মসলা যেমন ঝাল,পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি থেতলানো হয় বা বাটা হয়। যার ফলে এসব জিনিস তরকারিতে দিতে খুব সুবিধা হয়। শিল্পাটার ব্যবহার গ্রাম বাংলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই দেখা যায় আমাদের বাড়িতে একটি শিল্পাটা রয়েছে। আমার মা প্রায় প্রতিদিনই এই শিল্পাটার মাধ্যমে মসলা বাটে তরকারিতে দেওয়ার জন্য। আমিও মাঝে মাঝে দেখি শিল্পটাতে কি কি করে।এটিতে মাঝে মাঝে মেহেদি মিহি করা হয় বা বিভিন্ন রকম কচুর পাতাও বাটা হয়।ছোটবেলায় আমরা এর মাধ্যমে মেহেদি পাতাগুলো মিহি মিহি করতাম যেন হাতের আঙ্গুলে দেওয়া যায় সে স্মৃতিগুলো এখনো মনে পড়ে।শিল্পাটা সম্পর্কে খুব সুন্দর লিখেছেন আপনি বেশ সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে দেখেছেন ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
শিল পাটা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি সাধারণত তারাই শিল পাটা ব্যবহার করেন। শিল পাটা দিয়ে রসুন,মসল্লা, আদা, মরিচ ও পিয়াজ জাতীয় দ্রব্য পিষে মিহি করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
ধন্যবাদ ভাই
শিল পাটা আমাদের বাসায় আছে এখনো। এই শিল পাটা দিয়ে আগে মেহেদী মিহি করে পেষে।আর এই শিল পাটায় মসলা,মরিচ,মিহি করে পিষা যায়। এটা প্রাচীন কালের একটা জিনিস।আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করছেন। আর আপনি সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপাস্থপনা করেছেন ভাই। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
আদিমকাল থেকে আমাদের প্রতিটি গ্রামের বাড়িতে হয়ে আসতেছে শিলপাটা।শিলপাটা মরিচ বাটা রসুন মরিচ দিয়ে রান্না করা হয় এতে রান্নার স্বাদ অনেক গুণে বেড়ে যায়। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
শীল পাটা গ্রামের ঐতিহ্য, যুগ যুগ ধরে মানুষ মসলা বাটার জন্য এ শীল পাটা ব্যবহার করে আসতাছে। যখন কোনো আধুনিকতার ছোঁয়া ছিলো না তখন চালের গুঁড়া এবং মসলা বাটার জন্য মানুষ এই শীল পাটার উপর নির্ভরশীল ছিল। এখন তেমন দেখা যায় না ইলেকট্রনিক অনেক যন্ত্র বের হওয়ার কারণে যেমন ব্লেন্ডার যার কারণে এখন এসব ঐতিহ্য হাড়াতে বসেছে, আপনি অনেক করে উপস্থাপন করছেন দাদা, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই
শিল পাটা নিয়ে অনেক সুন্দর হয়েছে পোস্টি।তবে শিল পাটা তেমন একটা দেখা যায় না। অনেক দিন পর আপনার পোস্টির মাধ্যমে শিল পাটা দেখলাম। সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে ধাপে ধাপে লিখেছেন ভাই। সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছে। ধন্যবাদ ভাই।
শিল পাটা অনেক আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসতেছে। শিল পাটার সাহায্যে বাটা মসলার রান্নার স্বাদ সত্যিই অসাধারণ। এখনো প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতেই শিল পাটা রয়েছে এটার ব্যবহার হয়তো কমেছে কিন্তু তারপরও টিকে থাকবে। অনেক ভালো লিখেছেন ভাই শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাই
শিল পাটা নিয়ে অসাধারণ লেখছেন ভাই, শিল পাটা কম বেশি সবার বাসায় আছে কিন্তু এই শিল পাটা গ্রাম অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। আর শহর অঞ্চলে তেমন একটা দেখা যায় না। এই শিল পাটা দিয়ে আমাদের অনেক কাজে আসে যেমন আমরা রসুন পিঁয়াজ আডা ইত্যাদি এগুলো আমরা শিল পাটাই কাজ করতাম।তবে এটা কিন্তু আমাদের অনেক আগের দিনের একটা ঐতিহ্য এই শিল পাটা এখন বেশির ভাগ কারো বাসায় দেখা যায় না। এটা কিন্তু আমাদের আদিম যুগ থেকে কারো কারো বাসায় এখনো আছে। আমাদের বাসায় একটা এইরকম শিল পাটা ছিল আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমরা এই শিল পাটাই মেহদি বেটে নিতাম,আমরা এই শিল পাটাই আরো অনেক ধরনের জিনিস বেটে নেই আপনার পোস্ট পরে এবং ছবি গুলো দেখে আমার ছোট বেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন। তবে এটা কিন্তু এখন অধিকাংশ কারো বাসায় এই শিল পাটা নাই। আমরা যখন এই শিল পাটাই মেহদি বেটে নিতাম তখন আমি এই শিল পাটা দেখছি,আর তখন থেকে আমি আর এই শিল পাটা দেখি নাই। আজকে প্রথম আপনার পোস্টে দেখলাম,আপনার পোস্টের ছবি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো ভাই আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ