বড় পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পার্বতীপুর, দিনাজপুর
প্রিয় বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আমি আজকে একটি বিশেষ ঐতিহ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
|
---|
বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি দেশের প্রথম তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলায় অবস্থিত। পার্বতীপুর শহর থেকে ১৬ কিলোমিটার দক্ষিণে এর অবস্থান এবং দিনাজপুর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার এবং ফুলবাড়ী শহর থেকে এর দূরত্ব ৭ কিলোমিটার। আমরা বাসে অথবা ট্রেনে দুই ভাবে এখানে আসতে পারি। ট্রেনে আসলে ভবানীপুরের রেলওয়ে স্টেশনে নামতে হবে এবং ভ্যান অথবা রিক্সায় করে এখানে আসতে হবে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কলা উত্তোলনের পর ২০০২ সাল এ এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কাজ শুরু হয় এবং ২০০৫ সালে এর কাজ শেষ হয়। এরপর দুটি ইউনিট চালু করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। বর্তমানে এখানে তিনটি ইউনিট চালু রয়েছে এবং এখান থেকে ৫০০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা সম্ভব হয়। এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিনাজপুর এর আশেপাশে প্রায় 16 টি জেলায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এ সকল এলাকার কৃষি ও শিল্প খাতে এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অবদান অপরিসীম। এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফলে এই অঞ্চলের মানুষের বিদ্যুতের যে ঘাটতি ছিল তা পূরণ হয়ে গেছে। এবং মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে জমিতে সেচ এবং শিল্প কলকারখানায় বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করতে পারছে। এছাড়াও আগে গ্রাম অঞ্চলে বিদ্যুৎ ছিল না মানুষ অনেক কষ্ট করে রাত কাটাতো আলোর অভাবে। এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনের পর এখন আর তেমন বিদ্যুৎ সংকট এখানে নেই। প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ চলে গেছে এবং প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির সাহায্যে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার জন্য। এনারা খুব দক্ষতার সাথে এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেন এবং এনাদের জন্য সুরক্ষা মূলক ব্যবস্থা প্রচুর নেওয়া হয়। এখানে এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল গেট সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালনা করা হয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা খুব দক্ষতার সাথে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকেন এবং এখানে সর্বসাধারণের প্রবেশ সীমিত। এজন্য সবাই এখানে ইচ্ছে করলেও প্রবেশ করতে পারে না কারণ এটি একটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এখানে সব সময় বিপদজনক কাজ করা হয়। তাই লোকাধিকার প্রবেশ সীমিত করা হয়েছে।
বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের আলোচনার বিষয়। আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
ডিভাইস - স্যামসাং গ্যালাক্সি -A52.
লোকেশন - পার্বতীপুর,দিনাজপুর।
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদুৎ কেন্দ্র থেকে ৫০০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয় যা বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ এর ঘাটতি পুরন করে। আপনি ভালো পোস্ট করেছেন। আমি এর ভিতরে একবার ঢোকার সুযোগ পেয়েছিলাম। ভিতরে অনেক সুন্দর পরিবেশ। আপনার উপস্থাপনা অনেক সুন্দর। আপনার জন্য শুভকামনা।
ধন্যবাদ ভাই।
আমার বাসার কাছের স্থান। দেখতে বেশ সুন্দর এবং কয়লাচালিত তাপবিদ্যুৎ কেদ্র এইখানে অবস্থি। আপনি অনেক মূল্যবান তত্ব দিয়েছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাই।
পার্বতীপুরে থাকার সময় আমি কয়েকবার গিয়েছিলাম ভাই। যখন গিয়েছিলাম তখন রাস্তা গুলো এত ভালো ছিল না। অনেক পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল ভাই। ভালো লিখেছেন আপনি। এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ওই অঞ্চলের মানুষের জন্য একটি আশীর্বাদ। শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাই।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কয়লা ভিত্তিক প্রথম তাপ বিদ্যুৎ। আপনি অনেক সুন্দর উপস্থাপন করছেন, এখানকার কর্মচারীরা নিরলস ভাবে কাজ করে। আপনার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। অনেক ধন্যবাদ ভাই
ধন্যবাদ ভাই।
বড় পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে সুন্দর করে পোস্ট করেছে। এটি আমাদের বাসা থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে। এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে অনেক কয়লা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই।
পার্বতীপুর তাপ বিদ্যুৎ আমি একবার গেছিলাম জায়গা অনেক সুন্দর দেখতে, আমি ঐ জায়গায় অনেক ছবি তুলছি,আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন ভাই, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অনেকবার গিয়েছিলাম। তাপ বিদ্যুৎ এর কর্মরত কর্মচারীরা অনেক পরিশ্রম করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে। সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।
এই বড় পুকুরিয়া তাপ কেন্দ্র শুধু বাইরে থেকে দেখেছি তবে ভেতরে কখনো যাওয়া হয়নি।এটি হলো পার্বতীপুর দিনাজপুর ফুলবাড়ির একটি ঐতিহ্যপূর্ণ স্থান। ধন্যবাদ আপনাকে বড় প্রক্রিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
ধন্যবাদ
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উত্তরাঞ্চলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান। তবে এটি বাইরে থেকে শুধু দেখেছি, এর ভিতরে কখনো যাওয়ার সুযোগ হয়নি। বাইরে থেকে দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে সুন্দর কিছু তথ্য উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ