আজ সোমবার
৩১শে জুলাই ২০২৩
প্রিয় স্টিমবাসী সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আপনাদের জন্য রইল অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা শুভকামনা। আমার বাসা টাঙ্গাইলে, আজকে আমি আমার এলাকার ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। তো দেরি কেনো চলেন শুরু করা যাক।
উপাদান | পরিমাণ |
বেগুন | হাফ কেজি পরিমাণ |
পিঁয়াজ কুঁচি | ১ কাপ |
মরিচ ফালি | পরিমাণ মতো |
হলুদ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
মরিচ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
জিরা গুঁড়া | হাফ চা চামচ |
সাদা এলাজ | ২, ৩ পিস |
তেজপাতা | ১ পিস |
দারচিনি | ১ টুকরো |
লবণ | স্বাদমতো |
তেল | পরিমাণ মতো |
আমাদের টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো বেগুন খাষি। টাঙ্গাইলে বেশ কিছু খাবার রয়েছে, সেগুলোর তালিকায় বেগুন খাষি খুবই জনপ্রিয়। যেহেতু এবারের কনটেস্ট টা আমাদের আঞ্চলিক খাবারের উপর। অতএব আমি আমাদের এলাকার সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়, এবং ঐতিহ্যবাহী খাবার বেগুন খাষির রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, চলেন রেসিপিটা শুরু করা যাক।
- যেহেতু আমার রেসিপিটা বেগুনের, অতএব আমাকে বেগুন খাষি তৈরি করতে হলে অবশ্যই ভালো বেগুন কিনতে হবে। আমি বাজারে অনেকক্ষণ দেখলাম , আমাদের অঞ্চলের মতো কালো লম্বা বেগুন পেলাম না। তাই অনেকটা হতাশায় পড়ে যাচ্ছিলাম। সেই সময়ে এই বেগুন গুলো দেখতে পেলাম। যেগুলো মোটামুটি ভালোই। এগুলো আমি এক কেজি কিনে নিলাম বেগুন খাষি করার জন্য। আপনাকে বেগুন খাষি রান্না করতে হলে অবশ্যই লম্বা বেগুন কিনতে হবে।
- বেগুন কেনা হয়ে গেছে আমার, এবার এই বেগুনগুলো বাসায় এনে বিশেষ এক পদ্ধতিতে কাটতে হবে। বেগুন খাষি করতে হলে বেগুন এভাবে কাটতে হয়।
- বেগুন কাটা শেষ এবার বেগুন গুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তাই আমি বেগুন গুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিচ্ছি।
- বেগুনগুলো ধুয়ে রেখে দিলাম এবার পিঁয়াজ মরিচ কেটে নিতে হবে।
- সামান্য পরিমাণ রসুন এবং আদা বেটে নিতে হবে। তাই আমি সামান্য পরিমাণ আদা রসুন বেটে নিলাম। মনে রাখতে হবে আদা রসুন বেশি দিলে স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যাবে।
- আমার সমস্ত উপকরণ প্রস্তুুত এবার আমাকে রান্নায় চলে যেতে হবে। তাই আমি কড়াই এ তেল দিয়ে গরম করার জন্য চুলায় বসিয়ে দিয়েছি।
- তেল গরম হয়ে গেছে, এবার গরম তেলে তেজপাতা, দারচিনি,এলাচ দিয়ে দিতে হবে।
- এবার পিঁয়াজ কুঁচি, মরিচ ফালি দিয়ে দিতে হবে। এবং বাদামী রং হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিতে হবে ।
- বাদামী রং হয়ে গেলে, এবার মসলা যোগ করতে হবে আদা বাটা রসুন বাটা এগুলো যোগ করতে হবে।
- এবার ভালো করে কষিয়ে নিতে হবে। মসলা ভালোভাবে কষালে তরকারির সঠিক স্বাদ পাওয়া যায়।
- এবার কষানো মসলার সাথে বিশেষ পদ্ধতিতে কেটে রাখা বেগুন দিয়ে দিতে হবে।
- এবার ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে দিতে হবে, যাতে মসলার সাথে বেগুনগুলো ভালোভাবে মিশে যায়।
- এবার ঢেকে দিতে হবে, যাতে বেগুনগুলো ভালোভাবে সিদ্ধ হয়।
- এবার ঢাকনা খুলে মাঝে মধ্যে নাড়াচাড়া করে দিতে হবে, যাতে খুব ভালোভাবে সিদ্ধ হয় বেগুনগুলো।
- বেগুনগুলো ৭০ ভাগ সিদ্ধ হয়ে গেছে, বাকি ৩০ ভাগ সিদ্ধ হওয়ার জন্য এবং হালকা ঝোল রাখার জন্য আমাকে সামান্য পরিমাণ পানি যোগ করে নিতে হবে।
- এবার ঢেকে রাখতে হবে, এবং মাঝেমধ্যে নাড়াচাড়া করে দিতে হবে। চুলা হালকা আঁচে রেখে।
- মোটামুটি আমার রান্না প্রায় শেষের দিকে, এবার ভাজা জিরার গুড়া যোগ করে নিতে হবে। এতে তরকারি ঘ্রাণ অনেক সুন্দর হবে। এবং কি খেতেও সুস্বাদু লাগবে।
- আলহামদুলিল্লাহ আমার রান্না হয়ে গিয়েছে।
- পরিবেশন করার জন্য আমি বাটিতে বেগুন খাষি তুলে নিলাম। আলহামদুলিল্লাহ আমার রান্না পারফেক্ট হয়েছে।
- ডেকোরেশন করার পর আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
এটি আমাদের আঞ্চলিক খাবার। বিয়ে বাড়িতে বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই বেগুন খাষি দেয়া হয় স্পেশাল খাবার হিসেবে। যুগ যুগ ধরে এই বেগুন খাষি আমাদের ঐতিহ্য বহন করে আরছে। শীতের দিনের প্রায় সব বাড়িতেই রান্না করা হয়। এবং গরম গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে।
শীতের দিনে বেগুন খাষি আরো বেশি সুস্বাদু লাগে। আমি আমার টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী খাবার একদম সহজভাবে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কেমন হয়েছে আমার রান্নাটা সেটা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আমাদের টাঙ্গাইলের আঞ্চলিক খাবারটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে একদিন বাসায় চেষ্টা করে দেখবেন। আশাকরি অনেক সুস্বাদু লাগবে আপনাদের কাছে। আজ এ পর্যন্তই আবারো লিখবো অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
এই প্রতিয়োগিতায় আমি আমার ৩ জন বন্ধুকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি @fredkese, @sanaula, @iyanpol12
মোবাইল | TECNO CAMON 16 PRO |
ধরণ | আঞ্চলিক খাবার |
ক্যামেরা | ৬৪ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @aslamarfin |
অবস্থান | সৈয়দপুর, নীলফামারী। |
বাহ্ চমৎকার একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাই। বেগুন খাষি আমি কোনো দিন খাইনি।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে রান্নার ধাপ গুলো সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।রান্নাটি দেখে জিভে জল চলে আসতেছে।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
টুইটার লিংক-
https://twitter.com/Aslamarfin64366/status/1685945618433527808?t=ml9kKSdLrSFO1zrOi8c0Fw&s=19
বেগুন খাসির নাম আমি প্রথম শুনলাম।রান্নাটা ইয়াম্মি হয়েছে। প্রতিযোগীতাটির মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন এলাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার সম্পর্কে জানতে পারছি।আপনার জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবারটি সম্পর্কে জানতে পেরে অনেক ভাল লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অসাধারণ একটি বেগুনের রেসিপি শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে দেখে অনেক ভালো লাগলো। ভাই আপনি আসলেই অনেক ভাল রান্না করতে পারেন তার প্রমান আপনি আবারও দিলেন।আপনার রেসিপিটা দেখে খেতে ইচ্ছে করতেছে, যাই হোক দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী খাবার বেগুন খাষি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি রেসিপি আপনার মাধ্যমে দেখতে পারলাম এতে আমি উপকৃত। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য। প্রতিযোগিতায় আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বেগুন খাষি এই রেসিপিটির নাম আমিও আজকেই প্রথম শুনলাম। আপনি রান্নার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। যেকেউ এই রেসিপিটি দেখে রান্না করতে পারবে।আপনার পরিবেশের ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে বেগুন খাষি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনাকে প্রতিযোগিতার শুভকামনা রইল ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া। রেসিপিটি অসাধারণ হয়েছে। দেখেই মনে হচ্ছে খাবারটি বেশ মজাদার হয়েছে। অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আমাদের সাথে রেসিপি পোস্ট টি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বেগুন খাসি খাবার সম্পর্কে আমি পরিচিত ছিলাম না। গতকালকে কমিউনিটির ডিসকর্ডে আপনাকে বলতে শুনেছি আপনি বেগুন খাষি খাচ্ছেন। তখন আমি ভেবেছিলাম এটি হতো খাসির তৈরি কোন রেসিপি যেটি বেগুন দিয়ে তৈরি করা হয়। আজকে আপনার এই পোস্টটি দেখার পর এই খাবারের আইডেন্টিটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভাবে ধারণা লাভ করলাম । বেগুন আমার খুব পছন্দের একটি সবজি। এই রেসিপিটি আমি তৈরি করার চেষ্টা করব । ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বেজুনের জোল আপনি রান্না করেছেন নাকি ভাবি করেছে আপনি ছবি তুলেছেন? ভাই কি রান্না দেখাইলে৷ ম্যাচের কথা মনে পড়ে গেলো ডিম ভাবি আর এমন সিংগেল রান্নায় জীবন শেষ। অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। আপনার রান্নার প্রশংসা করতে হয়।