ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি মাছ ধরার দারকি
আসসালামু আলাইকুম?
প্রিয় স্টীম বাসী সবাই কেমন আছেন?
আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের ঐতিহ্যবাহী মাছ ধরার জন্য বাঁশের তৈরি দারকি সম্পর্কে বলবো এবং দেখাবো আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলেন শুরু করি।
আমরা বাঙ্গালী মাছ আমাদের প্রধান খাদ্য। সেই মাছ ধরার জন্য আমরা কত কিছুই না ব্যবহার করি, তার মধ্যে আজকে আমি বাঁশের তৈরি দারকি নিয়ে হাজির হয়েছি। বাঁশ আমাদের দৈনন্দিন অনেক কাজে লাগে, বাঁশের তৈরি অনেক জিনিস আমরা ব্যবহার করে থাকি। তবে মাছ ধরার জন্য বাঁশের তৈরি দারকি যেটা দিয়ে সহজেই মাছ ধরা যায়। বাঁশ একদম চিকন করে শলা বানানো হয় সেই শলা একত্রে করে বানানো হয় দারকি। যা দিয়ে মাছ ধরা হয়।
বাঁশ শিল্পের সাথে অনেক মানুষ জরিয়ে আছে। তাদের পেশা হলো বাঁশ দিয়ে এসব দারকি বানাইয়ে বিক্রি করা, একটা দারকি বানানো ১ দিনের ও বেশি সময় লাগে। প্রথমে বাঁশ কাটতে হয়। তারপর বাঁশ পানিতে ভিজিয়ে রাখতে ৫ থেকে ৭ দিন পযন্ত। তারপর সেই বাঁশ পানি থেকে তুলে ফালি করে রৌদ্রে শুকানো হয়। তারপর বটি বা দাঁ দিয়ে সেগুলো শলাতে রুপ দিতে হয়। সেই শলা সুতার সাথে গেঁথে সারিবদ্ধ ভাবে সাজানো হয়। তারপর সেই সাঁরিগুলো নিদিষ্ট মাপে রশি দিয়ে বেশে দারকি তে রুপান্তর করা হয়।
তারপর সেগুলো দিয়ে মাছ ভিতরে যাওয়ার জন্য ফাঁটক এর ব্যবস্থা থাকে যেখান দিয়ে মাছ প্রবেশ করলে আর বের হতে পারে না। আঁটকে য়ায় এসব দারকির ভেতর। যারা এ দারকি বানায় তারা অনেক প্ররিশ্রম করে এগুলো তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে প্রতিটি দারকির দাম থাকে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা পযন্ত। এই সামান্য আয় দিয়েই তাদের সংসার চলে।
এখন যে অংশ দেখতে পাচ্ছেন, এখান দিয়েই মাছ দারকি তে প্রবেশ করে। এখন আসি যারা দারকি বাজার থেকে কিনে আনে, তারাও জীবন জীবিকার তাগিদে এসব দারকি দিয়ে মাছ ধরে সেই বাজারে বিক্রি করে তাদের জীবন সংগ্রাম চালায়। আবার কেউবা সখের বসে এসব দারকি কিনে আনে মাছ ধরতে। যখন বিলে বা নদীতে পানি কম থাকে তখন এগুলো পানিরে রেখে সারিবদ্ধ ভাবে রাখা হয়। এবং যেখানে পানির হালকা স্রোতের থাকলে মাছ চলাচল করে এবং বেশি মাছ আটকা পরে।
এসব বাঁশ দিয়ে তৈরি প্রতিটি শিল্প আমাদের ঐতিহ্য। যা যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসতাছে। তবে এসব জিনিস এর আঞ্চলিক ভেদে নামের ভিন্নতা রয়েছে। একেক অঞ্চলে একেক নাম। এই দারকি তে যে সব মাছ ধরে পরে তার মধ্যে ছোট মাছ ই বেশি, তবে সব মাছ একদম তাজা থাকে। আমাদের ও এরকম কয়েকটা দারকি ছিলো আমিও অনেক মাছ ধরছি এই দারকি দিয়ে। আপনাদের আঞ্চলিক ভাষায় এটাকে কি বলা হয়। কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আজ এ পযন্তই। আবারো লিখবো অন্য কোনো বিষয় নিয়ে।
ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি মাছ ধরার ফাঁদ। আমাদের অঞ্চলিক বাসায় দাড়কি বলে। বর্ষাকলে এগুলা দেখতে পাওয়া যায়।এই দাড়কি দিয়ে ছোট ছোট মাছ ধরা হয়।ধন্যবাদ আপনাকে দাড়কি নিয়ে এতো সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমাদের এলাকায় মাছ ধরার এই জিনিসগুলো টারকি নামে চিনি। বর্ষার সময় জমির আলে পানি দেওয়া রাস্তায় লাগিয়ে দিয়ে মাছ ধরা হয়। আমি অনেক ধরেছি এখানে ছোট মাছগুলো অনেক পাওয়া যায়। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন এবং উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পার্বতীপুর যখন ছিলাম মাঝে মাঝে দারকি দিয়ে মাছ ধরতাম।সন্ধ্যা বেলা বসাইতাম ,ভোরবেলা উঠে নিয়ে আসতাম। যেদিন অনেক বেশি মাছ আটকাতো তখন খুব আনন্দ হতো। পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল ভাই।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি দাড়কি নিয়ে সুন্দর একটি উপস্থাপনা। আমাদের গ্রামের লোকেরা বর্ষার সময় মাছ ধরার জন্য এই দাড়কি ব্যবহার করে থাকে। আমাদের গ্রামে দাড়কি নামে সবাই ডাকে।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি দাড়কি নিয়ে খুব সুন্দর লেখছেন, আমার বাবা বর্ষাকালে দাড়কি দিয়ে মাছ ধরে, বর্ষাকালে এটার বেশি ব্যবহার হয়,আপনি অনেক সুন্দর ভাবে দাড়কি কি ভাবে তৈরি করে সব গুলো বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মাছ ধরার জন্য এই দারকি প্রচুর পরিমানে ব্যবহার করা হয়। এগুলো বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়। আমাদের এলাকায় অনেক মানুষ বর্ষা কালে এগুলো দিয়ে মাছ ধরতে যায়। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত চমৎকার একটি ঐতিহ্য বাহী মাছ ধরার ফাঁদ নিয়ে আমাদের জানানোর জন্য।
ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি দারকি নিয়ে অসাধারণ লেখছেন ভাই, আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এটাকে সবাই দারকি বলে চিনে,বর্ষাকালে এই দারকির বেশি ব্যবহার করা হয়, এই দারকি আমরা কোনো এক জমিতে বসিয়ে দিলে খুব সহজে মাছ ধরা যায়, আবার কেউ কেউ এই দারকিতে মাছ ধরে তারা বাজারা গিয়ে বিক্রি করে।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পোস্টটি সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন, কি ভাবে দারকি তৈরি করে কতোদিন সময় লাগে আপনি তা সব গুলো বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন। আপনার ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
দারকি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এই দারকি দিয়ে ছোট ছোট মাছ ধরে। কেউ কেউ আবার মাছ ধরে তা বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের কাছে সেয়ার করেছেন।সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মাছ ধরার জন্য এই বিশেষ ধরনের ফাঁদগুলো আমি অনেকদিন দেখি না। আগে এই বাঁশের তৈরি ফাঁদ দিয়ে গ্রামের মানুষ নদী থেকে মাছ ধরত তবে এখন আর এগুলোর তেমন ব্যবহার দেখ যায় না। এগুলো পানির নীচে রেখে দেওয়া হত এবং একদিন পর পানির নীচ থেকে তুলে সেখানে থাকা মাছগুলে সংগ্রহ করা হতো। একটি ফাঁদে খুব বেশী সংখ্যক মাছ ধরা পরে না।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।