ভ্রাম্যমাণ পুরাতন কাপড়ের দোকান
আসসালামু আলাইকুম?
প্রিয় ষ্টীম বাসী সবাই কেমন আছেন? আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের ভ্রাম্যমাণ পুরাতন কাপড়ের দোকান সম্পর্কে বলবো। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমাদের বাংলাদেশের ৫০ ভাগ মানুষ শ্রমজীবী ও কৃষিজীবী মানুষ তাদের সামান্য আয়ে চলে তাদের সংসার। মানুষের ছয়টি মৌলিক চাহিদা রয়েছে রয়েছে তার মধ্যে হলো।
- খাদ্য
- বস্ত্র
- বাসস্থান
- চিকিৎসা
- শিক্ষা
- বিনোদন
বস্ত্র মানুষের দ্বিতীয় চাহিদা। বস্ত্র ছাড়া মানুষ কখনো চলতে পারে না তবে অধিকাংশ মানুষ নিম্নবিত্ত হওয়ার তাদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠেছে এসব ভ্রাম্যমাণ পুরাতন কাপড়ের দোকান।
পশ্চিমাঞ্চলে শীত বেশি থাকার কারণে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর রেলগুন্টিতে গড়ে ওঠেছে এসব ভ্রাম্যমাণ পুরাতন কাপড়ের দোকান। এসব কাপড়ের চাহিদা অনেক। দূর দূরান্তের লোকজন আসে এখানে কেনাকাটা করতে। যার যার চাহিদা অনুযায়ী অল্পটাকার ভেতরে অনেক সুন্দর জামাকাপড় কেনা যায় এখান থেকে। যুগ যুগ ধরে এসব অস্থায়ী দোকান দিয়ে জীবন সংগ্রাম চালাচ্ছে এসব দোকানদার। তবে এবার শীত বেশি থাকার কারণে বেচাকেনার অনেক ভালো।
নাম আনিস বাসা ইসলাম বাগ এর এক কলোনিতে সে এই রেললাইন এর পাশে ভ্রাম্যমাণ পুরাতন কাপড়ের ব্যবসা করে প্রায় ১৮ বছর যাবত। আগে নাকি তার বাবা এ পেশার সাথে যুক্ত ছিলো। তার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম এ ব্যবসা শীত কালে বেশি চলে। মানুষের শরিল গরম রাখতে এখান থেকে পুরাতন শীতের কাপড় বেশি বেচাকেনা হয়। এবে প্রতিবারের চেয়ে এবার তার ব্যবসা অনেক ভালো গেছে। করোনার কারণে গত ২ বছর পরিবার নিয়ে চলতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে তাকে।
রেল লাইন এর পাশেই সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হয়েছে এসব পুরাতন কাপড়। সেই সকাল থেকে রাত অবদী বেচাবিক্রি হয় এখান থেকে। রেল চলে রেল এর ঝকঝকে আওয়াজ শোনা যায় সব সময়। সেই রেললাইন কে কেন্দ্র করেই এসব দোকান। মানুষ নিজেকে সাজসজ্জা করার জন্য কতো রকমএর পোষাক পরিধান করে। তবে আয় যতো কম চাহিদা তত সীমিত হয়। সেই চাহিদা মোতাবেক এখনে গড়ে ওঠেছে ভ্রাম্যমাণ দোকান।
ছোট বড় বয়স্কদের কাপড় ও পাওয়া যায় এখানে সব ধরনের পেশার মানুষ এখানে আসে কাপড় কিনতে। তবে বন্ধের দিনে মানুষের উপড়েপরা ভীড় থাকে দোকানগুলোতে। বাছাই করে কাপড় কেনা যায় তবে এখানকার কাপড়ে কোন মাপ থাকে না, আপনার যেটা লাগবে সেটা কিনতে পারবে, তবে আশ্চর্য বিষয় হলো এখান থেকে ৫ টাকা দিয়েও কাপড় কেনা যায়। কি অবাক হচ্ছেন? সময় পেলে একদিন যাচাই করে আইসেন। আজ এ পযন্তই আবারো লিখবো অন্য কোনো বিষয় নিয়ে। সে পযন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আমার কোনো ভূল ক্রটি হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমিও সৈয়দপুর রেললাইনের পাশ থেকে ভ্রাম্যমান পুরাতন কাপড়ের দোকান থেকে কাপড় নিয়েছি। ভ্রাম্যমাণ কাপড় গুলো অনেক পুরাতন। আপনার পোস্ট কোয়ালিটি যথেষ্ট ভাল। অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই
আমি যাই ওখানে। কিন্তু শীতের সময় খুব ভীড় হয় ওখানে। এটা ঠিক কিছু মানুষ টাকার জন্য লাইনের পাশে দোকান দিয়েছে। আপনার উপস্থাপনা এবং পিক গুলো সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু
সৈয়দপুরে আমি এই দোকান আনেৃ দেখেছি। শীতকালে এই দোকান গুলোতে অনেক ভির থাকে।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন। সুন্দর লিখেছেন।
ধন্যবাদ ভাই
দিনাজপুরের রেলস্টেশনেও এই পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলো দেখ যায়। বেশীরভাগ দোকানগুলো ক্ষণস্থায়ী। এইসব দোকানে শাড়ি, শীতের কাপড় পাওয়া যায়। এসকল দোকান থেকে অনেকেই কাপড় কিনে। ধন্যবাদ আপনাকে এটি নিয়ে পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
আমিও সৈয়দপুর রেললাইনের পাশ থেকে ভ্রাম্যমান পুরাতন কাপড়ের দোকান থেকে কাপড় নিয়েছি। ভ্রাম্যমাণ কাপড় গুলো অনেক পুরাতন। আপনার পোস্ট কোয়ালিটি যথেষ্ট ভাল। অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই
শীত মানেই গায়ে ভারী কাপড়। আর ভারী কপড় মানেই দোকানে থেকে ক্রয় সেটা বড় দোকান বা ফুটপাত বা ভ্র্যামমান দোকান। আমি অনেক কাপড় ভ্র্যামমান দোকান থেকে ক্রয় করেছি। তবে মান যে খারাপ তা নয়। মান অনেক ভালো হয়ে থাকে। আপনি সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। আপনাকে অভিনন্দন।
ধন্যবাদ ভাই
আমি প্রায় সৈয়দপুরে যাই। রেললাইনের পাশে অনেক পূরাতন কাপড়ের দোকান রয়েছে শহরের ও গ্রামের লোকের সেখান থেকে কাপড় নিয়ে তা পরিধান করে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই
খুব কম মানুষ পাওআ যাবে যারা কিনা এইখানে থেকে কাপড় কিনে নাই। আমি নিজে বেশ কয়েকবার কিনেছি অনেক ভালো ভালো কাপড় পাওয়া যায়। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই
সৈয়দপুর রেলওয়ে লাইন এর পাশে অনেক বড় পুরাতন কাপড়ের মার্কেট এটি।এখানে অনেক রকমের কাপড় পাওয়া যায়। আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা
আমি কখনো সৈয়দপুর যায়নি। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আমাদের শহর চিরিরবন্দর উপজেলায় এমন পূরাতন কাপড় বিক্রি করে ভাই। সেই কাপড় কিনতে অনেক মানুষের ভীড় জমে।
ধন্যবাদ ভাই