ঐতিহ্যবাহী কাঠের নৌকা
আসসালামু আলাইকুম?
প্রিয় স্টীম বাসী সবাই কেমন আছেন?
আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজ পবিত্র জুম্মার দিন, এবং মাহে রমজান এর প্রথম রোজা, সবাইকে জুম্মা মোবারক এবং রমাদান মোবারক এর শুভেচ্ছা রইলো। আজকে আমি আপনাদের গ্রাম বাংলার কাঠের ছোট নৌকা নিয়ে বলবো আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে, এবং আমি দেখানোর চেষ্টা করবো। তো চলেন শুরু করি।
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, এদেশের বন্যার প্রভাব বেশি বিস্তার করে, এদেশের অধিকাংশ ভূমি নিচুস্তর যার কারণে বন্যায় মানুষের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয় অসংখ্য বসতবাড়ি। এর মধ্যে বেশি ক্ষতির শিকার হতে হয় নিম্নবিত্ত মানুষের। এই বন্য থেকে মানুষ কিছুটা রক্ষার্থে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই ছোট কাঠের তৈরি নৌকা।
এখন বর্ষাকাল না, তাই নদীতে পানি নেই নৌকা পরে আছে নিরলস ভাবে । যৌবনে যার কদর অনেক। বর্ষাকালে নদী পানিতে টইটম্বুর থাকে। চারদিকে মুখরিত থাকে হিমেল হাওয়াতে। এ যেনো অন্য রকম রুপ। তবে যদি বন্যায় পানি বেশি হয় যায় তখন মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম হয়ে ওঠে এই কাঠের নৌকা। আমি যে নৌকাটি দেখাচ্ছি সেটা তে ৮ থেকে ১০ জন মানুষ চলাচল করতে পারে। এবং এই নৌকা হয়ে ওঠে অনেকের জীবিকার মাধ্যম । পানি হলে পানিতে মাছ ও দেখা যায় অনেক সেই মাছ মারার জন্য এই ছোট নৌকা ব্যবহার করা হয়।
কাঠ দিয়ে এ নৌকা তৈরি করা হয়। প্রথমে গাছ কাঁটার পর সেই গাছ রৌদ্রে শুকানো হয়। তারপর স'মিল এ নিয়ে গিয়ে সেগুলো চিড়তে হয়। চিড়ে তক্তা বানানো হয়। সেই তক্তা আবার রৌদ্রে শুকানোর পর কাঠমিস্ত্রী বিশেষ কায়দায় রুপান্তরিত করে নৌকায়। তাতে কাঠমিস্ত্রীকে নিরলসভাবে ভাবে ১০ থেকে পরনোদিন প্ররিশ্রম করতে হয় । তারপর ই বানাতে পারে সেই কাঙ্খিত নৌকা। এখন বর্ষাকাল না তাই নদীতে পানি নেই। যেটুকু আছে সেখানেই তলিয়ে রাখা হয়েছে এই নৌকাকে। তাই নৌকায় অবস্থা একদম কাঁদামাটিতে পরিপূর্ণ।
এই নৌকায় কাঠের তৈরি বিশেষ পাটাতন থাকে যেখানে মানুষ বসে থাকে এবং সামনের গুলই এ থাকে টিন দিয়ে মাড়ানো যাতে কাঁদায় নষ্ট না হয়। এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তবে বর্ষা আসার আগেই এই নৌকা আবার ফিরে পাবে তার যৌবন। তখন নৌকা কে ডাঙ্গায় তুলা হবে এবং সমস্ত নৌকা রৌদ্রে শুকানোর পর কোথাও কোনো ভাঙ্গা থাকলে সেগুলো সাড়ার পর আবার আলকাতা দোওয়া হবে। তাতে নৌকা তার গতি পাবে।
ছোট বেলায় নৌকা নিয়ে বিলে শাপলা তুলতে যেতাম, অনেক সুন্দর মুহূর্ত ছিলো বর্ষাকালে নৌকা নিয়ে ঘুরাফেরা। বাংলাদেশে নৌকার ব্যবহার অনেক, যেমন মাঝি এই নৌকা দিয়ে নদীর এপার থেকে ও পার মানুষ আনানেওয়া করে, এবং জেলে এই নৌকায় করে মাছ ধরে। এভাবে নৌকার সাথে তাদের জীবন জীবিকা নির্ভরশীল । কেমন লাগলো আমার নৌকা নিয়ে সামান্য লেখাগুলো, সেটা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। এবং কে কে নৌকা চালাতে পারেন সেটাও জানাবেন। নৌকা নিয়ে বিশেষ কোনো স্মৃতি মনে থাকলে সেগুলোও জানাবেন। সবাই সে পযন্ত ভালো থাকেন সুস্থ থাকবেন, এই প্রত্যাশা রইলো। আবারো লিখবো অন্য কোনো বিষয় নিয়ে। আজ এ পযন্তই।
আগে মানুষ নদীর এপার থেকে ওইপারে নৌকায় চড়ে যেত। নৌকা আমাদের একটা ঐতিহ্য। আগে নদীর পার হওয়ার প্রাধান হাতিয়ার ছিল নৌকা। এই নৌকা চালিয়ে মাঝিরা তাদের জীবিকানির্বাহ করতো। এখন ব্রিজ হওয়ার কারণে নৌকা তেমন আর দেখা যায় না।বিলুপ্তির পথে প্রায় এই নৌকা। আমি একবার নৌকায় চড়েছি।নৌকা তৈরি করে কাঠ দিয়ে। আপনি খুব সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আর আপনি খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপাস্থপনা করেছেন ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
নৌকা আমার অনেক পছন্দের একটি বাহক অনেক পছন্দ করি আমি নৌকা চড়তে। কিন্তু আমাদের এদিকে ঠিক তেমন নৌকা পাওয়া
যায় না। কিন্তু মাঝে মাঝে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মেলায় দেখতে পাই।
আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে নৌকা নিয়ে। গ্রামবাংলায় নৌকা খুব কমই দেখা যায় ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
ঐতিহ্যবাহী কাঠের নৌকা বর্তমানে তেমন একটা দেখা যায় না। তবে গ্রামাঞ্চলে গেলে লক্ষ্য করা যায়। বর্ষাকালে বিশেষ করে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। আপনি অনেক সুন্দর একটি পোষ্ট শেয়ার করেছেন। ছবিগুলো অনেক ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আগেকার দিলে বাংলাদেশের যেকোনো খাল-বিল গুলাতে এসব নৌকা দেখা যাইতো। এই নৌকা এই পার থেকে ওপার যাতায়াত করত। মাছ ধরার জন্য এইসব নৌকা বেশি ব্যবহার হয়ে আসত। কিন্তু এখনকার দিনে এইসব নৌকা আর দেখতে পাওয়া যায়।আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে গেছে এইসকল নৌকা। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
পানিপথে চলাচল করার জন্য আমার প্রিয় পছন্দের কাঠের নৌকা। নৌকায় ভ্রমণ করলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পানির ঝবঝব সব কানে ভাসে। আমাদের গ্রাম অঞ্চলের ছোট নদীতে আমরা কোনদিনও নৌকা দেখিনি কিন্তু নিচু এলাকায় বা ডোবার কাছে বাড়িগুলোতে অনেক কাঠের নৌকা রয়েছে কারণ, বর্ষাকালে তাদের বাড়িঘর ডুবে যায় এবং তারা এগুলোতে যাতায়াত করে এবং চলাচল করে। কাঠের নৌকায় ভ্রমণ সবার মজার হয় না কিছু কিছু লোকের দুঃস্বপ্নের মত হয়ে যায়। আমরা সাঁতার জানি আমাদের কাছে নৌকায় ভ্রমণ তেমন কোন ঘর ব্যাপার না কিন্তু যারা সাঁতার জানে না তাদের কাছে হয়তো অনেক কিছু। আমার মনে হয় একসময় এই কাঠের নৌকা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে এমন সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কাঠের নৌকা নিয়ে বেশ চমৎকার কিছু তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। যে সকল এলাকায় রাস্তা নেই বর্ষাকালে সেই সব এলাকায় নৌকা বিশেষ বাহন হিসেবে কাজ করে। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ দাদা এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঐতিহ্যবাহী কাঠের নৌকা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।কাঠের তৈরি নৌকা তেমন একটা দেখা যায় না। বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী কাঠের নৌকা। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের কাছে সেয়ার করেছেন।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। অসাধারণ হয়েছে পোস্টি।ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
নৌকা আমাদের প্রায় সবারই একটি পছন্দের বাহন। তবে বর্তমানে দিনদিন নৌকার প্রচলন যেন কমে যাচ্ছে আগে ছোটবেলাতে আমার মনে আছে আমার নানার বাড়িতে অনেক এরকম নৌকায় চড়েছিলাম।নৌকায় চড়ে নদী ঘুরে ছিলাম সে স্মৃতিগুলো মনে করিয়ে দিলেন। নদী জনপদের এক অন্যতম অংশ হলো এই নৌকা। খুব সুন্দর পোস্ট করেছেন ভাই খুব সুন্দর লিখেছেন ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য