আগের যুগে ব্যবহার করা টিনের তৈরি চায়ের কেতলি
আজ ১৫ জুলাই ২০২৩
রোজ শনিবার
প্রিয় স্টীম বাসী সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের কে চা তৈরি করার জন্য যে কেতলি ব্যবহার করা হয়। সেটা দেখাবো এবং সেটা সম্পর্কে বলবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো দেরি কেনো চলেন শুরু করা যাক।
বাংলাদেশের সিলেট বিভাগকে চায়ের রাজ্য বলা হয়। হাজার হাজার একর জমিতে চা চাষ করা হয় সিলেটে। এদিকে পঞ্চগড়ের সমতল ভূমিতে চা চাষ করা হয় । বাংলাদেশের মানুষ চা প্রিয়। সকাল সন্ধ্যা তাদের চা না খেলে আড্ডা জমে না। যা শ্রমিকেরা দিন রাত কঠোর পরিশ্রম করে চা চাষ করে। কিন্তু তারা ন্যায্য মূল্য পায় না। প্রতিটি শ্রমিকের মূল্য ১২৫ টাকা করে। এই স্বল্প আয়ে তাদের দিন চলেনা। খেয়ে না খেয়ে তারা জীবন জীবিকা নির্বাহ করে।
বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে চা বিক্রি করতে দেখা যায়। বাস স্ট্যান্ড, রেল স্টেশন, হাট বাজার থেকে শুরু করে অলিতে গলিতে চা বিক্রি করার দোকান রয়েছে। চা বিক্রি করার জন্য বা বাসায় বানানোর জন্য কেতলির প্রয়োজন পরে। আর এই কেতলিতে চা তৈরি করা হয়। গরম পানিতে চা পাতি দিয়ে চা পাতি সিদ্ধ করে নেয়া হয়।
এই চায়ের কেতলিটা আমার কাকা সিলেটের শ্রীমঙ্গল থেকে কিনে এনেছিলেন সেই আশির দশকে ।পরিবারের সবাইকে নিয়ে চা খাওয়ার জন্য। হঠাৎ করে বাড়িতে দেখতে পেলাম এই চায়ের কেতলি। তাই আপনাদের সামনে হাজির হলাম। বিশেষ এই ঐতিহ্য নিয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এই কেতলিতে চাঁর পাঁচ জনের চা তৈরি করা যায়। কাকার মুখে শুনতে পারতাম কাকা ১৯৮০ সাথে তার বন্ধুদের সাথে সিলেট গিয়েছিলেন বিশেষ কোনো কাজে। সেখানে গিয়েই এই কেতলিটা কিনে এনেছিলেন এক টাকা দিয়ে।
এখন হয়তো এই কেতলি আর পাওয়া যাবে না, চায়ের দোকানে বড় বড় কেতলি ব্যবহার করা হয়। সেগুলো হয়তো শিশার তৈরি। এই কেতলিটা টিনের তৈরি এখন টিনের তৈরি কেতলি কোথাও পাওয়া যাবে না। আমিও মাঝে মাঝে চা খাই। দুধ চা আমার অনেক পছন্দের। তবে পার্বতীপুর গেলে শাহ হোটেলে চা আমার কাছে অসাধারণ লাগে। আর সৈয়দপুরে জিআরপি ক্যান্টিনের চা অসাধারণ লাগে।
কার কার কাছে চা পছন্দ সেটা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। চায়ের রাজধানী সিলেটে কে কে গিয়েছেন, সেটাও কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। আমার বাংলাদেশের সব জায়গায় যাওয়া হয়েছে। কিন্তু সিলেট কখনো যাওয়ার সুযোগ হয় নাই। অতি শীঘ্রই আশা আছে সিলেট যাওয়ার জন্য। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আজ এই পর্যন্তই। আবারো লিখবো অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে।
মোবাইল | TECNO CAMON 16 PRO |
---|---|
ধরণ | টিনের তৈরি চা এর কেতলি |
ক্যামেরা | ৬৪ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @aslamarfin |
অবস্থান | টাংগাইল। |
টুইটার লিংক -
https://twitter.com/Aslamarfin64366/status/1680190253628547072?t=XDVRphqdjNapaZXu88CGsg&s=19
চায়ের কেতলি টি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক পুরাতন। এরকম পুরাতন জিনিসগুলো দেখলে অনেক আগের স্মৃতিগুলো মনে হয়। আমাদের প্রজন্ম আর এই প্রজন্মের মধ্যে অনেক পার্থক্য। চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই।শুভকামনা রইল আপনার জন্য
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
টিনের তৈরি চায়ের কেতলি নিয়ে দারুণ লেখছেন ভাই।কেতলি টি দেখে মনে হচ্ছে অনেক পুরাতন কেতলি।আপনি কেতলি নিয়ে অনেক সুন্দর বিস্তারিত আলোচনা করছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আদিমকাল থেকে এখন পর্যন্ত চা তৈরির কেতলি ব্যবহার হয়ে আসতেছে। গ্রামের হাট-বাজারের দোকানগুলোতে চা তৈরির কেতলি এখনো দেখতে পাওয়া যায়। কেতলি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
টিনের তৈরি চায়ের কেটলি আমি কোনোদিন দেখি নি। চায়ের দোকানগুলোতে এইরকম চায়ের কেটলি এখনো দেখা যায় তবে সেগুলো এলুমিনিয়াম বা স্টিল এর হয়ে থাকে। টিনের তৈরি চায়ের কেটলি নিয়ে খুবই চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আগেকার সময়ে এই চায়ের টিনের কেতলি এখনো ব্যবহার হয়ে আসছে। এই টিনের কেতলি সাধারণত চায়ের দোকান কিংবা হোটেলে দেখা যায়। চায়ের টিনের কেতলি নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
চা তৈরীর কেটলিটি অসাধারণ লাগতেছে। এই কেলিটির ডিজাইন অন্যরকমের।পার্বতীপুরের চা শুধু আপনাকে না সবাইকে ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আদিকাল থেকেই এই টিনের তৈরি চায়ের কেতলি বহুল ব্যবহার হয়ে আসছে।চায়ের কেতলি মুলত হোটেলে এবং বাড়ি বাড়ি দেখা যায়। চায়ের কেতলি গুলো বেশ টেকসই আর টিকে বেশি দিন। চায়ের কেতলি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই।
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
টিনের তেরি চা এর কেতলি অনেকদিন পর দেখলাম। শুধু চায়ের কেতলি কেন টিনের তৈরি কোন ধরনের থালা বাটি আজকাল দেখা যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।