আগের যুগের ব্যবহৃত ঐতিহ্যবাহী ওড়ন
আজ বুধবার
৫ জুলাই ২০২৩
প্রিয় স্টিম বাসি সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আপনাদের জন্য রইলো অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা এবং শুভকামনা। আজকে আমি আপনাদের কে গ্রাম বাংলার ব্যবহৃত ওড়ন সম্পর্কে বলবো,এবং দেখাবো আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো দেরি কেনো চলেন শুরু করা যাক।
গ্রাম অঞ্চলের মানুষ বহু আগে থেকেই নারিকেলের শক্ত আবরণের সাথে বাঁশের কুঞ্চি মিশ্রিত করে এক ধরনের চামচ বানাতো। সেই চামচ ডাল তোলার কাজে ব্যবহার করতো। এবং কি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে , ডাল, পায়েশ এবং কি খিচুড়ি তোলার জন্য ব্যবহার করতো।
তরল জাতীয় পদার্থ তোলার জন্য বেশি ব্যবহার করা হতো। যেমন দুধ ও ডাল এর জন্য বেশি উপযোগী এই চামচ। এটা বানানোর জন্য প্রথমে নারকেলের শক্ত অংশ লাগে। সেই শক্ত অংশ আগুনে পুড়ে ছিদ্র করে সেই ছিদ্র দিয়ে বাঁশের তৈরি কুঞ্চি দিয়ে হাতল বানানো হতো। যা গ্রাম অঞ্চলের মানুষ যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে আসছে।
এটি আমাদের বিশেষ ঐতিহ্য। আমার মা এখনো ব্যবহার করে এই ওড়ন। গ্রামের মানুষের অতি পরিচিত এই ওড়ন। আমি অনেক আগে থেকেই এই ওড়ন ব্যবহার করতে দেখেছি। চামচের বিকল্প হিসাবে এই ওড়ন মানুষ ব্যবহার করে। গ্রাম অঞ্চলের প্রত্যেকটি বাড়িতে এই ওড়ন দেখা যায়।
আগের যুগের মানুষ প্রকৃতিকে কাজে লাগাতো। প্রকৃতি থেকে তারা তাদের জীবনের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতো। এখন এসব জিনিস মানুষ আর ব্যবহার করতে চায় না। সভ্যতার সাথে সাথে মানুষের পরিবর্তন ঘটেছে।
আগের দিনে সবার বাড়িতে নারিকেল গাছ ছিলো। এই নারিকেল গাছ থেকেই মানুষের অনেক চাহিদা পূরণ হতো। নারিকেল বিক্রি করে সংসার চলতো। এবং নারিকেল এর খোসা থেকে জাজিম বানাইতো মানুষ। যে জাজিম বিছানায় ব্যবহার করতো এবং নারিকেল এর শক্ত অংশ দিয়ে অনেক রকমের হস্তশিল্প তৈরি করতো। আধুনিকতার ছোঁয়ায় এসব এখন বিলুপ্ত। আধুনিকতা অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে। নানা রকম মেলামাইন এবং স্টিল এবং কাঁচের তৈরি আসবার পত্রের কারণে এসব ঐতিহ্যবাহী শিল্প আজ বিলুপ্ত। কার কার বাড়িতে এই নারিকেলের শক্ত অংশের তৈরি ওড়ন আছে সেটা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। কে কে এটা ব্যবহার করতে দেখেছেন সেটাও কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আজ এ পর্যন্তই। আবারো লিখবো অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আপনাকের মাঝে।
মোবাইল | TECNO CAMON 16 PRO |
---|---|
ধরণ | ঐতিহ্যবাহী ওড়ন |
ক্যামেরা | ৬৪ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @aslamarfin |
অবস্থান | টাংগাইল। |
ঐতিহ্যবাহী ওড়ন নিয়ে দারুণ লেখছেন ভাই।এগুলো আগে প্রচুর ব্যবহার করা হতো।বর্তমান সময়ে এগুলো আর ব্যবহার হয় না। আপনি দারুণ একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আগের যুগের ব্যবহৃত ঐতিহ্যবাহী ওড়ন নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন। এই ওড়ন আমি আগে কখনো দেখেনি। সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ওড়ন সাধারণত গ্রামের মানুষেরা বেশি ব্যবহার করে ৷ আর এই ওড়ন নারিকেলের মালা থেকে তৈরি হয় ৷ অবশ্য আমাদের বাসায় এখনো এই ওড়ন রয়েছে যেটা রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় ৷ সুন্দর লিখেছেন ভাই ৷ ধন্যবাদ।
অসম্ভব ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এই জিনিসটা আজকে আমি প্রথম দেখলাম আপনার ফটোগ্রাফি গুলোতে।তবে জেনে বেশ ভালো লাগলো যে প্রাকৃতিক কোন জিনিস এভাবে ব্যবহার করা যায়। ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে ভাই ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আগের যুগের ব্যবহৃত ঐতিহ্যবাহী ওড়ন নিয়ে সুন্দর আলোচনা করেছেন। আমাদের বাড়িতেও বাঁশের মুড়ার তৈরি ওড়ন ছিলো।আজ অনেকদিন পর দেখলাম ভাই। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এগুলোর ব্যবহার এক সময় আমিও দেখেছি। বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। শেষবার আমি কোন এক দাওয়াতে গিয়েছিলাম সেখানে এটা দিয়ে ডাল দেওয়া হয়েছিল। অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই।শুভকামনা রইল
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
টুইটার লিংক-
https://twitter.com/Aslamarfin64366/status/1676534537134960640?t=jNrdHQoznXbbIafVXzdHIg&s=19
আমি জীবনে প্রথম দেখলার এই জিনিসটা। আমাদের বাড়িতে স্টিলের তৈরি একটা আছে। কিন্তু আগে যে নারিকেলের খোলস দিয়ে এটা বানানো হতো সেটা জানতাম না।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এইরকম নারিকেলের শক্ত আবরন দিয়ে ওড়ন আমি আজকেই প্রথম দেখলাম। আমাদের বাসায় স্টিলের তৈরি এইরকম একটি হাতা রয়েছে।গ্রামের ভাষায় একে ডাবু বলে থাকে। ধন্যবাদ ভাইয়া ওড়ন নিয়ে এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অনেকদিন পর এই ডাল রান্না করার জিনিসটি দেখলাম। আমাদের এলাকায় এটিকে "ডাবর" বলা হয়। নারিকেল শক্ত আবরণ আগুনে পুড়িয়ে সুন্দরভাবে পলিশ করে বানানো হয় এটি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি বিষয়বস্তু নিয়ে লিখার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।