যুগ যুগ আগে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে, খাবার দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হতো কলাপাতা
আজ সোমবার
৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় স্টিমবাসি সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। স্টিম ফর ট্রেডিশন আপনাদেরকে স্বাগতম। আপনাদের জন্য রইলো অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা এবং শুভকামনা। আজকে আমি আপনাদের কি বলতে যাচ্ছি আগের যুগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কলাপাতায় খাওয়া দাওয়া করতে দেখা যেতো, যা এখন বিলুপ্ত । কলাপাতায় খাওয়া সম্পর্কে বলবো এবং দেখাবো আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে, তো দেরি কেনো চলেন শুরু করা যাক।
আমরা বাঙালি, আমরা খাবার প্রিয় মানুষ, সেই খাবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্নভাবে পরিবেশন করা হয়। আগের যুগে কলাপাতায় খাবার পরিবেশন করা হতো। যা আমাদের ঐতিহ্যের সাক্ষী। কলা পাতায় খাবার খেলে সুস্বাদু লাগে। আগের দিনে বড় অনুষ্ঠান হলেই মানুষকে খাবারের জন্য কলাপাতা সংগ্রহ করা হতো। গ্রামে ঘুরে ঘুরে কলাপাতা সংগ্রহ করা হতো, মানুষের বাড়ির কলা ঝাড় থেকে কলাপাতা কেটে আনা হতো।
আমরা যারা ৯০ এর দশকে জন্মগ্রহণ করেছি আমরা কিছুটা হলেও এই ঐতিহ্য দেখছি। যখন ছোট ছিলাম তখন দেখতাম মসজিদে মিলাদ এবং রমজান মাসে ইফতারি দেওয়া হতো। ইফতারে খিচুড়ি থাকতো, সেই ইফতারিতে খিচুড়ি দেওয়ার জন্য কলাপাতা কেটে নিয়ে যাওয়া হতো। আপনারা আধুনিক যুগে যেটাকে ওয়ান টাইম প্লেট বলেন, ৯০ দশকে কলাপাতাই ওয়ান টাইম প্লেট হিসাবে ব্যবহার হতো । আমরা মসজিদে যখন খিচুড়ি দিতাম, কলা গাছ থেকে পাতা কেটে নিয়ে যেতাম। সেই পাতা দিয়ে পরিবেশন করা হতো সবার মাঝে। কলাপাতা খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত।
একবার আমার বাড়িতে একটা অনুষ্ঠান হয়েছিলো, আমার দাদা মারা গিয়েছিলো। দাদার চল্লিশা অনুষ্ঠান করা হয়েছিলো, আর আমাদের সেই অনুষ্ঠানকে আঞ্চলিক ভাষায় বেপার খাওয়া বলে। আর এই বেপার খাওয়ার জন্য ৫০০ মানুষের আয়োজন ছিলো, সেই আয়োজনে সবাইকে কলাপাতায় খাবার দেওয়া হয়েছিলো। আমাদের সমস্ত গ্রামের কলা গাছ থেকে কলা পাতা সংগ্রহ করা হয়েছিলো। সেখানে সবাই সারিবদ্ধ ভাবে বসে খাবার খেয়েছে। আর এখন তেমন একটা কলা গাছও নেই, আর কলাপাতায় খাবার খেতেও দেখা যায় না।
বাঙালির ঐতিহ্যবাহী এই কলাপাতায় খাবার, আর চোখে দেখা যায় না। এখন আধুনিক যুগ, আধুনিকতার ছোঁয়া চারদিকে, এখন বিভিন্ন ধরনের ওয়ানটাইম প্লেট বের হয়েছে, যেগুলো অনেক সস্তায় কিনতে পাওয়া যায়। তাই আর মানুষ কষ্ট করে কলাপাতা সংগ্রহ করতে চায় না। ওয়ান টাইম প্লেট দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে থাকে। দিন দিন তাই আমাদের ঐতিহ্য হারাতে বসছে।
তবে এই কলাপাতায় খাবার মানুষের ঐতিহ্যের মাধ্যম । এই ঐতিহ্যকে অন্যভাবে ব্যবসায়ীরা ফুটিয়ে তুলেছে। অনেক ব্যবসায়ীরা কলাপাতা নামে অনেক রেস্টুরেন্ট চালু করেছে। যেসব রেস্টুরেন্টে কলাপাতায় খাবার পরিবেশন করা হয়। কলাপাতায় খাবার খাওয়ার জন্য রেস্টুরেন্টে অনেক ভিড় থাকে ।
তবে আমি মাঝেমধ্যে কলাপাতা কেটে এনে বাসায় কলাপাতায় খাই। সোনালী দিনের কথা যখন মনে হয়, তখন কলাপাতায় খেতে খুবই ভালো লাগে। তাই আমি আমার মধ্যেই এই ঐতিহ্য লালন করি। কে কে কলার পাতায় খাবার খেয়েছেন, সেটা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।কেমন লাগলো আমার এই সামান্য লেখাটা সেটাও কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আজ এ পর্যন্তই। আবারো লিখবো অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে।
মোবাইলঃTECNO CAMON 16 PRO |
ধরণ | কলাপাতায় খাবার |
ক্যামেরা | ৬৪ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @aslamarfin |
অবস্থান | সৈয়দপুর |
|
---|
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
ধন্যবাদ ভাই
টুইটার লিংক-
https://twitter.com/Aslamarfin64366/status/1698290013585416398?t=dn_B9gBFiCbjsTIDr57DEg&s=19
ভাইয়া এটা আপনি পাইলেন কোথায়। এই কলারপাতায় খাবার দেওয়া এটা আমাদের গ্রাম বাংলার অন্যতম একটি ঐতিহ্য। যে ঐতিহ্য পুরো মাত্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া বিশেষ করে চল্লিশা অথবা মৃত মানুষের সাত দিনের যে অনুষ্ঠান করা হয়। এই সব অনুষ্ঠানে আগে কলারপাতা বেশি ব্যবহার করা হতো। আপনি ঐতিহ্যবাহী অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাই
নব্বই দশকের সময়ে দেখা যেত কলার পাতায় খেত যেকোন অনুষ্ঠানে। বিয়ে,কিংবা কেউ মারা গেলে বা যেকোন অনুষ্ঠানে দেখা যেত এই কলার পাতায় পরিবেশ লন করতো।কিন্তু বর্তমান সময়ে এই কলার পাতায় খাওয়ার কোন নমুনা দেখা যায় না বিলুপ্ত প্রায়। হয়তো কিছু কিছু অঞ্চলে এখনো এই কলার পাতায় খাওয়ার প্রথা আছে।
ধন্যবাদ ভাই
ঠিক বলেছেন ভাই ৯০ শতকের দিকে যারা জন্মগ্রহণ করেছে তারা এই কলার পাতায় ভজন করে এসেছে। আমি দেখেছিলাম মানুষ মারা যাওয়ার পর যখন খাওয়ানো হয় তখন সেই খাবার কলা পাতায় দিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে এই কলা পাতা এখন আর তেমন ব্যবহার করা হয় না। এখনো ওয়ান টাইম প্লেট ব্যবহার করা হয়। অনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই
কলার পাতায় খাবার খাওয়া এটি একটি ঐতিহ্য। আগেরকার যুগে আমাদের দেশে গ্রাম অঞ্চলের লোকেরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এই কলার গাছের পাতায় খাওয়া দাওয়া করতো। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন রমজান মাসের মিলাদে বা অন্য কোন বড় অনুষ্ঠানে কলা গাছের পাতা ব্যবহার করা হতো। সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাই
ধন্যবাদ ভাই
ঠিকই বলেছেন আগের যুগে কলাপাতায় খাবার পরিবেশন করা হতো।যা আমাদের ঐতিহ্যের সাক্ষী।অনেক অনুষ্ঠানে কলা পাতায় খাবার পরিবেশন করতে দেখেছি।আমি ৯০ দশকে জন্ম গ্রহন করেছি তাই এসব আমিও দেখেছি কিন্তু আমার কখনো কলা পাতায় খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি।কলা গাছ এখানে আছে ভাইয়া কিন্তু কলা পাতায় খেতে দেখা যায় না কারণ এখন ওয়ান টাইম প্লেট বেশি চলছে।সাথে ওয়ান টাইম গ্লাসও চলছে।ঠিকই বলেছেন অনেক রেস্টুরেন্টে খাবার পরিবেশন করা হয়ে থাকে।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপু
কলাপাতায় খাওয়া বাঙালির একটি ঐতিহ্য। আপনি তো কলাপাতায় করে খেয়েছেন কিন্তু আমি কখনো খাইনি।আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই বর্তমানে এসব কলা পাতায় খাবার দেখা যায় না মানুষের, তবে হিন্দু সমাজে এখনো কিছু কিছু রয়েছে আমার জানামতে। শুধু টিভিতেই দেখি কলাপাতা খাওয়া আর তেমন দেখি না কোথাও। দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
জ্বি ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন যুগ যুগ ধরে এই কলার পাতে মানুষ ভাত খেয়ে আসতেছিল। কারণ আগেরকার মানুষরা বেশিরভাগ সময়ে কলার পাতে ভাত খেত এবং বিশেষ করে কোন অনুষ্ঠানে অথবা মসজিদের দোয়া খানিতে এগুলো বেশি ব্যবহার করা হতো। অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
কলা পাতায় খাবার পরিবেশন করা আমাদের ঐতিহ্যের একটি অন্যতম নিদর্শন। তবে এখন এগুলোর ব্যবহার নেই বললেই চলে। এখন শুধু বাঙ্গালী রেস্টুরেন্টগুলোতে কলাপাতায় খাবার পরিবেশন করানো হয়। আগে আমাদের এলাকায়ও যখন বড় মিলাদ হতো তখন কলাপাতায় কিংবা কলাগাছের পটুয়ায় ভাত খাওয়ানো হতো। কিন্তু এখন এগুলোর পরিবর্তে সবাই ওয়ান টাইম প্লেট ব্যবহার করে। যেগুলো মোটেও পরিবেশবান্ধব নয়। কারণ এগুলো সহজে পঁচে যায় না। তাছাড়া এইগুলোতে ভাত খাওয়ার সুবিধা জনক নয়। আমিও কলা পাতায় এভাবে ভাত খেয়েছি। তবে আপনি মাঝেমধ্যে কলা পাতায় এভাবে ভাত খান জেনে আমার খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু