প্রতিযোগিতার ৯ম সপ্তাহ - ঐতিহ্যবাহী খাবার মিষ্টান্ন
প্রিয় স্টীম বাসী সবাই কেমন আছেন? আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার সৈয়দপুর এর নাটোর দই ঘর সম্পর্কে বলবো আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। চলেন তাহলে শুরু করি।
নীলফামারী জেলায় সৈয়দপুর উপজেলায় নাটোর দই ঘর অবস্থিত। নাটোর এর প্রধান শাখা এটি। নাটোর যেমন কাঁচা গোল্লার জন্য বিখ্যাত তেমনই এই নাটোর দই ঘর সৈয়দপুর মিষ্টান্নের জন্য বিখ্যাত। প্রথমে অনেকে নাটোর দই ঘর দেখে চমকে উঠে। মনে করে সৈয়দপুর এ নাটোর আসলো কেমন করে।অনেকের মনে এমন প্রশ্ন বিরাজ করে।
সৈয়দপুর ব্যবসায়ীক নগরী বলা চলে। সৈয়দপুর এর বেশিভাগ মানুষ ব্যবসা কে আঁকড়ে ধরেছে। নাটোর এর কোনো এক মিষ্টির কারিগর এসেছিলে সৈয়দপুর এ। এখানকার পরিবেশ দেখে এবং ব্যবসা করার জন্য খুবই উপযুক্ত জায়গা দেখার পরে ওনি এখানে একটা দোকান করার উদ্যোগ নেয়। তবে সেটা পাকিস্তান আমলে। যেই চিন্তা ভাবনা সেই কাজ। তিনি ছোট পরিসরে মিষ্টি এবং নাটোর এর কাঁচা গোল্লার দোকান দেয় সাথে যুক্ত করে দই এবং নাম দেয় নাটোর দই ঘর।
এখন এই নাটোর দই ঘর সামলাচ্ছে তার ছেলে, পারিবারিক সুত্রে সেই এখন মালিক। তার বাবা মারা গেছে অনেক বছর হলো, তবে এখানকার আরো একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার রয়েছে সেটা হলো দই চিড়া।এখানকার দই চিড়া অনেক সুস্বাদু, এখবার খেলে আপনি সাড়াজীবন মনে রাখবেন।
এখানকার দই চিঁড়া খুবই জনপ্রিয়। দই চিঁড়া দাম রাখা হয় ৬০ টাকা মাত্র। সৈয়দপুর এর মধ্যে সব থেকে মান সম্মত, তাই এখানে দূর দূরান্তের লোক আসে মিষ্টি এবং দই কিনতে। খাঁটি গরুর দুধ সংগ্রহ করার পর সেই দুধ দিয়েই মিষ্টি তৈরি করা হয় এখানে এখানে কাঁচা গোল্লাও পাবেন। তবে আরেকটি মিষ্টির কথা না বললেই নয় মালাই চপ, যেটা খেতে অসাধারণ লাগে।
এখানকার মালাই চপ এর অনেক সুনাম রয়েছে কেজি রাখা হয় ৬৫০ করে তবে অতুলনীয় স্বাদ চাইলে একদিন এসে ট্রাই করে যেতে পারেন। এখানে আসতে হলে আপনাকে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার পাঁচমাথা মোড় এ আসতে হবে। সেখান থেকে দিনাজপুর রোডে একটু আগালেই দেখতে পারবেন নাটোর দই ঘর এর দোকান।
এই সেই ঐতিহ্য বাহী মিষ্টান্ন ভাণ্ডার নাটোর দই ঘর। যেখানে সব সময় ভীড় লেগেই থাকে, বিভিন্ন রকমের মিষ্টি পাওয়া যায় এখানে,রাজ ভোগ, কালো জাম, রস কদম, রসমালাই, মালাই চপ, চমচম, কাঁচা গোল্লা ইত্যাদি ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০০ টাকা কেজি পযন্ত এখানে মিষ্টান্ন পাওয়া যায়, চাইলে একদিন এসে নিয়ে যেতে পারেন আমিও নিয়ে নিলাম ১কেজি। দাম নিলো ৩৫০ টাকা।
এখানকার মিষ্টির জন্য আমাকে বাসা থেকে বের হয়ে রিক্সা নিতে হয়েছিলো রিক্সা করে গিয়ে আমি আমার পছন্দের মিষ্টি কিনে আনলাম। তবে এই মিষ্টি আমাদের টাংগাইলের চম চম এর মতোই প্রায়। আমার বাসা টাংগাইলে সব সময় টাংগাইলের মিষ্টি খাওয়া হয়। তবে সৈয়দপুর এই নাটোর দই ঘর এ ভালো মিষ্টি পাওয়া যায়। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আজ এ পযন্তই আবারো লিখবো অন্য কোনো বিষয় নিয়ে।
অসাধারণ পোস্ট ভাইয়া। আপনার পোস্ট দেখে আমি মুগ্ধ হই। ছবিগুলো অনেক সুন্দর ভাবে তুলেছেন।লিখেছেন ও অনেক সুন্দর ভাবে।আপনার মালাই চপ দেখে জিবায় জ্বল চলে আসলো। অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করে আমাদের মিষ্টি নিয়ে সুন্দর তত্ব উপহার দিলেন ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাই
মিষ্টি গুলো দেখে জিবে জল চোলে আসল। আমার অনেক পছন্দের খাবার। আমি বাজার গেলেই মিষ্টি খেয়ে থাকি। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন। সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
মিষ্টি আমার খুব প্রিয়। আর দই হইলে তো আর কোনো কথায় নাই। সব থেকে সানার মিষ্টি আরো খুব প্রিয়। মিষ্টি জাতীয় জিনিস আমার ছোট্ট থেকেই প্রিয়।মিষ্টি আমি খুব খাই। আপনি সুন্দর করে উপাস্থপনা করেছেন মিষ্টির বিষয়। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই
ঐতিহ্যবাহী খাবার মিষ্টান্ন নিয়ে সুন্দর একটি উপস্থাপনা। মিষ্টি কম বেশি সব মানুষের প্রিয় খাবার। মিষ্টি পছন্দ করে না এমন মানুষ কম দেখা পাওয়া যায়। পোস্টটি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
ভাই দই চিড়া খেয়েছিলাম অনেক বছর আগে জামালপুরে। সেই কথা মনে পড়ে গেল আপনার পোস্ট দেখে। নাটোর দই ঘর নিয়ে অসাধারণভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন। ছবির কোয়ালিটি এবং পোস্ট কোয়ালিটি সত্যিই অনেক ভালো। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
মিষ্টি কার না ভাল লাগে আমার পছন্দের খাবারের মধ্যে মিষ্টি অন্যতম। আমি মিষ্টি খেতে ভালবাসী। এই মিষ্টি ছাড়া বিয়ে কিংবা আকীকা অনুষ্ঠানে এই মিষ্টি না অতিথি আপ্যায়ন হয় না। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই।
ধন্যবাদ আপু
প্রতিযোগিতার ৯ম সপ্তাহ - ঐতিহ্যবাহী খাবার মিষ্টান্ন
অংশগ্রহণ করায়,আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার পোস্ট কোয়ালিটি যথেষ্ট ভাল। পোস্টে মার্কডাউন সঠিকভাবে ব্যবহার করছেন তবে ৩০০ শব্দের বেশি লেখার চেষ্টা করবেন। শুভকামনা রইলো ধন্যবাদ ভাই।
ঠিক আছে ভাই অনেক ধন্যবাদ
বাঙালিদের সব খাবারের মধ্যে থেকে অন্যতম খাবার গুলো হলো মিস্টি,আর মিস্টি কম বেশি সবাই পছন্দ করে আমি কিন্তু বেশি মিস্টি খেতে পারি না, মিস্টি খেতে খুব ভালো বাসি কিন্তু বেশি একটা খেতে পারি না।আপনার মিস্টির ছবি গুলো দেখে আমার জল চলে আসতেছে ভাই। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আর ছবি গুলো অসাধারণ হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
নানান ধরনের মিষ্টান্ন নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। মিষ্টি আমার অনেক পছন্দের খাবার। মিষ্টি খেতে অনেক ভালো লাগে। ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু