ঐতিহ্যবাহী লোহার তৈরি হামানদিস্তা
প্রিয় স্টিমবাসি সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আপনাদের জন্য রইলো অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা এবং শুভকামনা। আজকে আমি আপনাদেরকে ঐতিহ্যবাহী লোহার তৈরী হামানদিস্তা সম্পর্কে বলবো এবং দেখাবো আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। তো দেরি কেনো চলেন শুরু করা যাক।
গ্রাম বাংলার মানুষ যুগ যুগ ধরে হামানদিস্তা ব্যবহার করে আরছে। হামানদিস্তায় অতি সহজেই মসলা গুঁড়ো করা যায়, এবং কি চাল থেকে চালের গুঁড়া তৈরি করা যায়। গ্রাম গঞ্জের মানুষ তাই অতি সহজ এই প্রক্রিয়াকে অনেক আগে থেকেই ব্যবহার করে। বিয়ে বাড়ি কিংবা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনেক মসলা একত্রে গুঁড়া করার জন্য এই হামান দিস্তা ব্যবহার করা হয়। এ হামানদিস্তা লোহার তৈরি।
আমাদের বাড়িতেও একটি হামান দিস্তা রয়েছে। ছোটবেলায় আমার দাদিকে দেখতাম গম থেকে হামানদিস্তা দিয়ে ছাতু তৈরি করতে। সেই ছাতু খেতে খুবই সুস্বাদু ছিলো। অতি সহজেই এই হামানদিস্তা দিয়ে যে কোন মসলা করা যায় অতি সহজেই। হামানদিস্তায় তৈরিকৃত মসলার তরকারি খেতে খুবই সুস্বাদু। গ্রাম বাংলার এটি একটি পুরাতন ঐতিহ্য।
এটি একটি কামার শিল্প, কামারেরা নিপুন হাতে এই হামানদিস্তা তৈরি করে। বাজারে বিভিন্ন রকম সাইজের হামানদিস্তা পাওয়া যায়। একেক সাইজের দাম একেক রকম। আগের যুগের মানুষ একটি হামানদিস্তা দিয়ে এলাকার সকল অনুষ্ঠানে ব্যবহার করতো। বাবুর্চিদের কাছে হামানদিস্তা ছিলো, বাবুর্চিরা কোথাও রান্না করতে গেলে সাথে করে হামানদিস্তা নিয়ে যেতো।
আঁধুনিকতা অনেক কিছু কেড়ে নিয়েছে, আঁধুনিক সভ্যতার যুগে এখন আর কেউ পরিশ্রম করে হামানদিস্তায় মসলা বাটতে চায় না। ইলেকট্রিক নানা রকম ব্লেন্ডার নামার কারণে, সহজেই ব্লেন্ড করে নেয়। এসব নানা রকম ব্লেন্ডার নামার কারণে আমাদের অনেক ঐতিহ্য হারাতে বসেছে, মানুষ অলস হয়ে গিয়েছে। মানুষ আর কষ্ট করতে চায় না। বাবুর্চিরা এখন কোথাও রান্না করতে গেলে সাথে ব্লেন্ডার নিয়ে যায়।
গ্রাম কিংবা শহরে প্রতিটি মানুষের ঘরেই এখন আঁধুনিকতার ছোঁয়া প্রতিটা বাড়িতেই বা বাসাতে মশলা বাটার জন্য এখন ব্লেন্ডার ব্যবহার করা হয়।
ঐতিহ্যবাহী এই হামানদিস্তা গুলো এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যাবে। নতুন প্রজন্ম এর ব্যবহার সম্পর্কে জানবে না। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাবে। কার কার বাড়িতে হামানদিস্তা রয়েছে তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। হামানদিস্তা নিয়ে আমার সামান্য লেখাটা কেমন হয়েছে সেটা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আজ এ পর্যন্তই, আবারো লিখবো অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে।
মোবাইল | TECNO CAMON 16 PRO |
---|---|
ধরণ | ঐতিহ্যবাহী হামানদিস্তা। |
ক্যামেরা | ৬৪ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @aslamarfin |
অবস্থান | সৈয়দপুর, নীলফামারী। |
ঐতিহ্যবাহী লোহার তৈরি হামানদিস্তা নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আমাদের বাসায় ছোট বড় দুটি হামান দিস্তা রয়েছে। মাঝেমাঝে ব্যবহার করা হয়। এগুলোর ব্যবহার এখন একেবারেই কমে গেছে।চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন, শুভকামনা রইল
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঐতিহ্যবাহী হামানদিস্তা নিয়ে দারুণ লেখছেন ভাই।হামানদিস্তা হলো আগের দিনের ঐতিহ্য।আগের মানুষ সবাই এই হামানদিস্তার মধ্যে মসলা গুড়ো করতো।আপনি সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
টুইটার লিংক -
https://twitter.com/Aslamarfin64366/status/1681575479890018304?t=vIQSx_JIWrpUAeskI9Le5A&s=19
গ্রামীণ সমাজে লোহার তৈরি হামান দিস্তা সব থেকে বেশি দেখা যায়।এটি দিয়ে আদা রসুন ইত্যাদি থেলানো হয় তরকারিতে দেওয়ার জন্য। এছাড়াও যারা দাঁত দিয়ে পান চিবিয়ে খেতে পারেন না তাদের জন্য পান পিষে দেওয়া হয় এটিতে। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমাদের এলাকায় প্রত্যেকটি বাড়িতে হামান দিস্তার ব্যবহার এখনো চালু রয়েছে। তবে এই হামান দিস্তার ব্যবহার আগের তুলনায় অনেকটাই কম। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঐতিহ্যবাহী লোহার তৈরি হামানদিস্তা নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই। হামানদিস্তা মুলত শুকানো ঝাল,আদা,রসুন,মসলা জাতীয় দ্রব্য গুড়ো করা হয়। হামানদিস্তা কমবেশি সকলের বাড়িতে রয়েছে । হামানদিস্তা ঐতিহ্য বহন করে।
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমাদের বাড়িতেও এরকম হামান দিস্তা আছে। আগে অনেকগুলো ছিলো যেগুলোতে আমার দাদা গাছ গাছরার রশ পিষে ঔষধ বানাতো। তবে এখন এগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। হামানদিস্তা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।
অনেক ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য করার জন্য।
লোহার তৈরি এসব হামান দিস্তা সবধরনের মসলা বাটার কাজে ব্যবহার করা হয়। আমাদের বাসায় ও এইরকম দুটি হামান দিস্তা রয়েছে। বড় হামানদিস্তা মসলা বাটার কাজে আর ছোট হামানদিস্তাটি দাদি পান বাটার কাজে ব্যবহার করা হয়। হামানদিস্তা নিয়ে আপনি সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া
এই হামানদিস্তা রান্নাঘরে খুব কাজে আসে। হুটহাট রান্নার কোন উপাদান থেঁতো করতে হলে এটির প্রয়োজন হয়। আবার যাদের দাঁত নেই কিন্তু পান খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই হামানদিস্তার গুরুত্ব আসলে বলে বোঝানোর কিছু নাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
এই হামানদিস্তাগুলো গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই দেখা যায়। আমাদের বাড়িতেও এমন হামাদিস্তা রয়েছে। বড় হামান দিস্তা টি মনে হয় মেশিনের লায়লার দিয়ে তৈরি। মূলত গ্রামে আমরা এভাবে অনেক জিনিস কে বিভিন্ন কাজে লাগাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।