প্রতিযোগিতার ১০ম সপ্তাহ - ঐতিহ্যবাহী খাবার ডিম আলুর কাবাব এর রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম?
প্রিয় স্টীম বাসী সবাই কেমন আছেন?
আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। রমজানের মাস রহমত-বরকত এর মাস, রমজান মাস সারাবিশ্বের মসুলমানদের জন্য এক গৌরবের মাস গুনাহ মাফ করার মাস, এ মাসে যতো খাবার খাওয়া হবে, আল্লাহতালা সেই খাবারের হিসাব নিবে না, আলহামদুলিল্লাহ। আর এই রমজান মাসকে ওপেক্ষা করে আমি ইফতারের জন্য ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার তৈরী করতে যাচ্ছি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে তো চলেন শুরু করি।
উপাদান | পরিমাণ |
---|---|
সিদ্ধ ডিম | ২ পিস |
ভাঙ্গা ডিম | ১ পিস |
আলু | পরিমাণ মতো |
কাঁচা মরিচ | ২,৩পিস |
পিঁয়াজ কুঁচি | ১ কাপ |
শুকনা মরিচ | ২, ৩ পিস |
গোলমরিচ গুঁড়া | হাফ চামচ |
লবন | পরিমাণ মতো |
বিস্কুট গুড়া | পরিমাণ মতো |
তৈল | পরিমাণ মতো |
গুল মরিচ গুড়া | হাফ চামচ |
পাঁচফোড়ন গুড়া | হাফ চামচ |
- এই সামান্য উপকরণ দিয়ে ইফতার এ ঐতিহ্যবাহী এই ডিম এর কাবাব তৈরি করা যায়।
- প্রথমে ডিম এবং আলু সিদ্ধ করে নিতে হবে। তাই আমি সিদ্ধ করার জন্য রাইস কুকারে বসিয়ে দিয়েছি।
- অন্য দিকে আমি পিঁয়াজ ভেরেস্তা করে নিচ্ছি, আলু ভর্তাতে এই ভেরেস্তা দিতে হবে।
- এদিকে আমার আলু সিদ্ধ হয়ে গেছে আলু থেকে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। তাই নিয়ে নিছি।
- ডিম থেকে খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে, তাই আমি ছাড়িয়ে নিয়েছি।
- এবার আমাকে পিঁয়াজ কুঁচি করে নিতে হবে।
- এবার আমাকে মরিচ ফালি করে নিতে হবে।
- শুকনা মরিচ তৈল এ টেলে সেগুলো গুঁড়ো করে নিতে হবে।
- এবার গুল মরিচ এর গুঁড়া এবং পাঁচফোড়ন গুড়া নিতে হবে।
- পরিমাণ মতো লবন নিয়ে নিতে হবে।
- এবার ডিমগুলো পিস পিস করে ফাঁলি করে নিতে হবে।
- এবার পিঁয়াজ কুঁচি মরিচ ফালি, সমস্ত মসলা একত্রে করে হাত দিয়ে টেলে নিতে হবে।
- এবার আমাকে আলুগুলো ভর্তা করে নিতে হবে।
- আমার আলু ভর্তা করা শেষ।
- এবার ভর্তাটা গোলাকার বল বল করে নিতে হবে।
- এবার প্রতিটি বল এর মাঝখানে ফালি করে রাখা ডিম দিয়ে নিতে হবে।
- এবার ডিম মাঝখানে রেখে ভর্তা রোল করে নিতে হবে।
- এবার ডিম ভেঙ্গে নিতে হবে এবং সেই ডিম গুলে নিতে হবে।
- এবার বিস্কুট গুঁড়ো নিতে হবে।
- এবার রোল গুলো গুলা ডিম এ চুবিয়ে নিতে হবে।
- এবার বিস্কুট গুঁড়ো সাথে মিশিয়ে নিতে হবে।
- এবার রোলগুলো ডোবা তৈল এ ভেজে নিতে হবে।
- এবার ভাঁজা হয়ে গেলে তৈল থেকে উঠিয়ে নিতে হবে।
- এবার ভেঁজে রাখা কাবাব হয়ে গেছে এগুলো একটা প্লেট এ নিতে হবে।
আলহামদুলিল্লাহ আমার ডিম আলুর কাবাব হয়ে গেছে এবার আমি ডেকোরেশন করে নিয়েছি। রমজান মাসে ইফতারে এই কাবাব মানুষ খেয়ে থাকে অনেক কাল আগে থেকেই। আমরা বাঙ্গালী, আমরা ভোজনবিলাসী। তাই নানা রকম এর খাবার আমাদের পছন্দের। এই ডিম এর কাবাব নামীদামী রেষ্টুরেন্টে পাওয়া যায়। এবং ঢাকায় যে ইফতার বিক্রি হয় সেই ইফতারের মেনু তে এই কাবাব জায়গা করে নিয়েছে অনেক আগে থেকেই। আমি চেষ্টা করলাম একটু বাবুর্চি সাহেবদের মতো বানানোর জন্য। কেমন হলো আমার কাবাব এর রেসিপিটা তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। আর সামান্য উপকরণ দিয়ে বাসায় চেষ্টা করবেন, দেখবেন অনেক সুস্বাদু হয়েছে। তাই চাইলে এই কাবাব বাসায় তৈরি করে আপনার ইফতারে আপনি রাখতে পারেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আজ এ পযন্তই আবারো লিখবো অন্য কোনো বিষয় নিয়ে।
প্রতিযোগিতার ১০ম সপ্তাহ - ঐতিহ্যবাহী খাবার ডিম আলুর কাবাব এর রেসিপি অংশগ্রহণ করেছেন দেখে ভাল লাগল । অনেক লোভনীয় একটি খাবার উপস্থাপন করেছেন ভাই। পোস্ট কোয়ালিটি যথেষ্ট ভাল। শুভকামনা রইলো ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ডিম আলুর কাবাব খেতে কার না ভালো লাগে। হাটে বাজারে গ্রামে গঞ্জে শহর অঞ্চলে প্রায় অলিগলিতে বড় বড় রেস্টুরেন্টে এই ডিম আলুর কাবাব পাওয়া যায়। আমাদের জমিরহাট বাজারে এই ডিম আলুর কাবাব পাওয়া যায়। আমি বাজারে গেলে প্রায় এই ডিম আলুর কাবাব খেয়ে থাকি। আপনার রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে ধাপে ধাপে আপনি সুন্দর বিবরণ দিয়েছেন। যেকোনো কেউ আপনার এই রেসিপিটি অনুসরণ করলে আপনার মত সুন্দর ডিম আলুর কাবাব বানাতে পারবে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
নিঃসন্দেহে ডিম-আলুর-কাবাব একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। প্রাচীনকাল থেকে আমাদের দেশে ডিম আলুর কাবাব ব্যবহার হয়ে আসছে। আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে নামিদামি জায়গায় ডিম আলুর কাবাব সবথেকে বেশি খাওয়া হয়ে থাকে। সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে এই খাবার রেসিপিটি তৈরি করেছেন ভাইয়া আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ডিম আলুর কাবাব একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার।আর আপনার রেসিপিটিও ঘরোয়াভাবে তৈরি করা হয়েছে।রেসিপিটি অনেক সহজ ও সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেছেন। আর রেসিপিটি দখতেও অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ডিম আলুর কাবাব এর রেসিপি নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন।ডিম আলুর কাবাব এর রেসিপি দেখে জিবে জল চোলে আসল। তবে এই ডিম আলুর কাবাব খেতে অনেক সুসাদু। সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ডিম আলুর কাবাব সবাই খেতে পছন্দ করে। এই কাবাব নামি দামি রেষ্টুরেন্টে পাওয়া যায়। আপনি ইফতার করার জন্য খুব সুন্দর কাবাব তৈরি করেছেন।আপনি ২৪ টি ধাপ উপস্থাপনা করছেন। প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখছেন ভাই। এই রকম পোস্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অনেক মজাদার একটি খাবার। রেসিপি তৈরির পুরো প্রক্রিয়াটি অসাধারণভাবে তুলে ধরেছেন ভাই। আপনার এই পোস্টটি দেখে যে কেউ ঘরে সহজে তৈরি করতে পারবে। উপস্থাপনা ছিল যথেষ্ট ভালো। অনেক ধন্যবাদ ভাই, অসাধারণ একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ডিম আলুর কাবাবের রেসিপি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। রেসিপিটি সহজভাবে বানানোর উপায় বলে দিয়েছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে যে কেউ ডিম আলু কাবাব তৈরি করতে পারবে বলে আমার ধারণা
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ❤️
বাহ ডিম আলুর কাবাব খুব সুন্দর লাগছে আপনার পোস্টে।পোস্টটি দেখে জিভে জল চলে এলো।রেসিপিটি খুব সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন। ডিম আলুর চপ খেতে প্রায় সবাইকেই ভালো লাগে। খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।