টাংগাইলের ঐতিহ্যবাহী চমচম
আসসালামু আলাইকুম?
প্রিয় ষ্টীমবাসী সবাই কেমন আছেন? আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আমার নিজ জেলা টাংগাইলের ঐতিহ্যবাহী পোড়াবাড়ির চমচম দেখাবো এবং বলবো।
আমার বাসা টাংগাইলে আর টাংগাইল আমাদের মিষ্টির জন্য খুবই বিখ্যাত। টাংগাইলের পোড়াবাড়ির চম চম এর কথা শুনে নাই এমন মানুষ পাওয়া যাবে না।
প্রায় শত বছরের ঐতিহ্য আমাদের এই টাংগাইলের চমচম। যার সুনাম ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে। লোভনীর খাঁটি গরুর দুধ থেকে এই চমচম বানানো হয়ে থাকে। যার স্বাদ নিতে দূর দূরান্তের লোক চলে আসে আমাদের টাংগাইলে।
এই চমচমের স্বাদ যে একবার পেয়েছে সাড়াজীবনে সে ভূলবে না। প্রথমে খাঁটি গরুর দুধ সংগ্রহ করে। সেই দুধ ভালোবাবে আগুন এ জ্বাল করে সেটা ছানায় রুপান্তরিত করা হয় আর সেই ছানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চমচম বানানো হয়। কারিগর রা বলে থাকে টাংগাইল জেলার পাশে নদী থাকার কারণে আবহাওয়া গত কারণেও এ মিষ্টি বা চমচম বানানোর জন্য বেশ উপযোগী জায়গা।
প্রাচীন কাল থেকেই এ চমচম টাংগাইলে তৈরি হয়ে আরছে। যা টাংগাইলের জন্য খুবই গর্বের কারণ। এই চমচম তৈরির কৌশল বা রহস্য এখনো কেউ জানে না। এবং প্রধান কারিগর সম্পর্কেও কারো কোনো ধারনা নেই। তবে এই চমচম বহু ঐতিহ্যের সাক্ষী। টাংগাইল শহরের অদুরে পোড়াবাড়ি গ্রামের ঘোষ পরিবার এ মিষ্টি বা চমচম তৈরির সাথে সম্পৃক্ত। এ মিষ্টি এখন বাহিরের দেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। এবং প্রতিটা জেলা থেকে পেয়ে যাবেন। তবে সেটা আপনাকে যাচাই করে নিতে হবে। এই চমচম ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা প্রতি কেজি। তবে টাংগাইল হতে কিনতে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা করে পাওয়া যায়।
এই অর্জিনাল মিষ্টির স্বাদ নিতে হলে আপনাকে টাংগাইল শহর নেমে, তারপর পাঁচআনী বাজার এ যেতে হবে। পাচঁআনী বাজার টাংগাইল হতে ২৫ কিলোমিটার এর মতো। যেখানে তৈরি হয় ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি বা চমচম, আপনাকে সেই চমচম তৈরির পুরো প্রক্রিয়া দেখতে হলে আপনাকে অবশ্যই পাঁচআনী বাজার এ যেতে হবে। এখন আপনি যদি নীলফামারি থেকে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ট্রেন বা বাসে করে যেতে হবে। তারপর টাংগাইল শহরে নেমে সেখানে অনেক থাকার জন্য রেষ্টুরেন্ট আছে সেখানে থেকে শরীলের কান্তি দূর করে মানে বিশ্রাম নিয়ে টাংগাইল নিরালামোড় থেকে সি এন জি নিয়ে চলে যেতে হবে পাঁচআনী বাজারে। সেখানে ৮ থেকে ১০ টা দোকান পাবেন যারা এই চমচম বানায়, সেখান থেকে সরাসরি চোখে দেখে সংগ্রহ করতে পারবেন। আমি নীলফামারীর থেকে যাওয়ার কথা বললাম, চাইলে সাড়া বাংলাদশ দেখে একই ভাবে যেতে পারবেন। সবাইকে টাংগাইলের ঐতিহ্যবাহী চমচম খাওয়ার আমন্ত্রণ রইলো। আমার লেখায় ভূলক্রটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
লোকেশন : টাংগাইল |
---|
ঐতিহ্যবাহী চমচম একটি মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার। এই চমচম খেতে অনেক সুন্দর। চমচম নিয়ে সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই
চমচম একটি মিষ্টি জাতীয় খাবার এবং চমচম খেতে আমার খুব ভালো লাগে। যদিও কখনো টাঙ্গাইলের এই বিখ্যাত জমজম খাওয়া হয়নি তবে আপনার পোস্টে ছবিগুলো দেখে জিভে জল এসে গেল। অনেক সুন্দর একটি উপস্থাপনা করেছেন ভাইয়া ।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ আপু
চমচম অনেক সুসাদু একটি খাবার। এটি দেখতেও যেমন সুন্দর খেতেও অনেক সুসাদু। চমচম নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।বলতে গেলে অসাধারণ হয়েছে পোস্টি। ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
মিষ্টি আমার একটি পছন্দের খাবার। ক্ষির চমচম আমার পছন্দের একটি মিষ্টি। আপনি মিষ্টি নিয়ে দারুন কিছু তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ দাদা
চমচম খেতে অনেক ভালো লাগে ভাই। চমচম ছবিগুলো বেশ দারুন তুলেছেন। দেখেই জিভে পানি এসে গেল।আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম চমচম নিয়ে।চমচম খাবারটি মিষ্টির মদ্ধ্যে পড়ে।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
টাংগাইলে চমচম অনেক বিখ্যাত। আপনার তোলা মিষ্টির ছবি দেখে আমার তো লোভ লেগে গেলো। মিষ্টি নিয়ে দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। মিষ্টি আমার অনেক পছন্দের। ধন্যবাদ লোভনীয় জিনিস নিয়ে পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
ঠিক আছে ভাই। অনেক ধন্যবাদ ভাই
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
চমচম নিয়ে অসাধারণ লেখছেন ভাই, আমিও চমচম খেতে খুব ভালো বাসি, চমচম একটি মিস্টি জাতিও খাবার,আমি চমচম অনেক দিন আগে খাইছি এখন আর খাওয়া হয় না,আপনি যে লকেশন দিছেন আমি যাওয়ার জন্য চেস্টা করবো ভাই, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর ভাবে পোস্ট করার জন্য
ধন্যবাদ ভাই
এই চমচম সম্পর্কে আজকে আমি প্রথম জানলাম।আসলে হয়তো খেতে খুব মজা।আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম অনেক কিছুই।ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই