শৈশবের স্মৃতি জড়ানো ব্যাঙের ছাতা
আজ শুক্রবার
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় স্টিমবাসি সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। স্টিম ফর ট্র্যাডিশনে আপনাদেরকে স্বাগতম। আপনাদের জন্য রইলো অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা এবং শুভকামনা। আজকে আমি শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত ব্যাঙের ছাতা নিয়ে বলবো এবং দেখাবো আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে, তো দেরি কেনো চলেন শুরু করা যাক।
ছোটবেলায় এই উদ্ভিদকে ব্যাঙের ছাতা মনে করতাম,ভাবতাম বৃষ্টির সময় ব্যাঙরা এই ছাতার নিচে সে আশ্রয় নেয়। এই ছাতা নিয়ে আমরা খেলাও করতাম। এবং যেখানেই দেখতাম নষ্ট করতে দিতাম না সবাই মিলে ভাবতাম, এই ছাতাগুলো যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে বৃষ্টির সময় ব্যাঙেরা অনেক কষ্ট পাবে। তাই তো দেখে চোখে চোখে রাখতাম। অনেকেই ব্যাঙের ছাতাকে মাশরুম মনে করে। এবং মাশরুম হিসেবে খেয়েও থাকে।
তবে শুনেছি ব্যাঙের ছাতার সাথে মাশরুমের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি আঁশযুক্ত উচ্চ নিরামিষ সবজি। তবে এই ব্যাঙের ছাতা, ছত্রাক হোক বা মাশরুম হোক, এই ছাতা দেখতে আমরা ভিড় জমিয়েছিলাম। কারন সব সময় এত বড় ছাতা দেখতে পাওয়া যায় না। প্রকৃতিকে যতটা ভালবাসবে প্রকৃতি তার চেয়ে বেশি আমাদেরকে দিবে, বৃষ্টি বর্ষার সময় এই ছাতা বেশি দেখা যায়।
বৃষ্টি হলেই নাকি ব্যাঙেরা এই ছাতার তলে আশ্রয় নিয়ে থাকে, সেরকম ধারণা থেকেই এই উদ্ভিদের নাম হয়েছে ব্যাঙের ছাতা, আগের যুগে এরকম উদ্ভিদ বেশি দেখা যেতো, তবে এখন খুব একটা দেখা যায় না। ছোটবেলায় যখন স্কুলে যেতাম , তখন চোখে পড়তে এরকম ব্যাঙের ছাতা। একেকজনের একেক রকম ধারণা হতো।
ভাবতাম এই সামান্য ছোট ছাতার ভিতরে কয়টা ব্যাঙ থাকে, প্রচন্ড বৃষ্টি হলে ব্যাঙের কষ্ট হয় না। সাইড দিয়ে ব্যাঙের গায়ে বৃষ্টি আসে না। আরো অনেক জনের অনেক রকমের ধারণা ছিলো, এটা যে একটা ছত্রাক, উদ্ভিদ সেটা কখনো আমাদের মাথায় কল্পনায় ও আসতো না। সব সময় ভাবতাম একটা ব্যাঙ নিজে তৈরি করে। বৃষ্টির সময় থাকার জন্য।
দেখতে একদম ছাতার মতো থাকার কারণে কল্পনা টা আরো বেড়ে গিয়েছিলো। তখন মাথায় নানারকম চিন্তা ভাবনা আসতো ব্যাঙ নিয়ে। এবং ব্যাঙের ছাতা নিয়ে।
সাধারণত বৃষ্টির সময় চারপাশে স্যাঁতসেঁতে থাকে, নরম মাটিতে যেখানে খরকুটার রয়েছে, সে স্থানে ছত্রাক বা মাশরুম জন্মে, এটা কি আমরা ব্যাঙের ছাতা বলি। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো ব্যাঙেরা এটাকে ছাতা হিসাবে ব্যবহার করে, একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে এটা নিচে ব্যাঙ বসে আছে, অথবা আশেপাশে ব্যাঙ রয়েছে। তবে এটার কোন স্পষ্ট সত্যতা আছে কিনা আমার সেটা জানা নেই। কে কে এই ছত্রাক কে ব্যাঙের ছাতা মনে করে শৈশবে খেলা করেছেন, সেটা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। কেমন লাগলো ব্যাঙের ছাতা নিয়ে আমার এই সামান্য লেখাটা সেটাও কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আজ এ পর্যন্তই। আবারো লিখবো অন্য কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে।
মোবাইলঃTECNO CAMON 16 PRO |
ধরণ | ব্যাঙের ছাতা |
ক্যামেরা | ৬৪ মেগাপিক্সেল |
ফটোগ্রাফার | @aslamarfin |
অবস্থান | সৈয়দপুর |
|
---|
টুইটার লিংক-
https://twitter.com/Aslamarfin64366/status/1702560865617420395?t=2UO4_7z8QP0oQqlFlnMp1Q&s=19
ব্যাঙের ছাতা সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি। আসলেই আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আমরা ছোট থাকতে এই ব্যাঙের ছাতা দিয়ে অনেকেই খেলা করতাম আমার মনে করতাম এর নিচে ব্যাঙ বৃষ্টির সময় আশ্রয় নেয়। এবং আসলেই শৈশবের স্মৃতিগুলো অনেক সুন্দর থাকে। আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই ব্যাঙের ছাতাকে মাশরুম বলে কেউ আবার খেয়ে থাকে। কিন্তু আমি শুনেছিলাম মাশরুম আলাদা এবং ওগুলো উৎপন্ন করা হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মধ্যে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। শৈশবে আমরাও ব্যাঙের ছাতা গুলো নিয়ে খুব খেলতাম। আমরা জানতাম না যে ব্যাঙের ছাতা আর মাশরুম দুটি ভিন্ন ধরনের ছত্রাক। বৃষ্টির সময়ে এই ব্যাঙের ছাতা গুলো বেশি দেখা যায়। ব্যাঙের ছাতাগুলো অনেক নরম হয়। যদিও ব্যাঙ কষ্ট পাবে ভেবে আপনারা ভাঙতেন না কিন্তু আমরা ভেঙ্গেও খেলতাম। আপনার পোস্টটি দেখে শৈশবের সেই ফেলে আসা দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। আপনি চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন ভাইয়া। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
🥰
আপনি বেশ চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন। এই ব্যাঙ্গের ছাতা গুলো আমরা বিভিন্ন ভেজা জায়গায় দেখতে পাই। এগুলো ওমন জায়গায় বেশ ভালো জান্মে। এগুলো দেখতে বেশ চমৎকার হয়ে থাকে এগুলো আসলে বিষাক্ত মাশরুম। এগুলো যদি কেউ ভুলবশত খেয়ে ফেলে তাহলে তার জীবন চলে যেতে পারে কারণ এগুলো প্রচুর পরিমাণে বিষাক্ত হয়ে থাকে। এদের অনেক রকম জাত রয়েছে এগুলোর মধ্যে আবার কোনগুলো খাওয়া যায় মাশরুমের বড়া খেতে বেশ মজা লাগে মাশরুমের বড়া দিনাজপুরে ভালো পাওয়া যায়। তবে এই মাসরুম গুলো খাওয়া যায় না। এগুলো আমরা ব্যাঙ্গের ছাতা হিসেবে চিনে থাকি। আসলে এগুলো ব্যাংকের ছাতা নয় আসলে এগুলো এক প্রকার বিষাক্ত মাশরুম। আপনি বেশ চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন। এগুলো আমার বাগানের প্রতিবছর অনেক পরিমানে জন্মায়। এগুলো আমি ভয়ে হাতে দিয়ে ধরি না কারণ যে আমি জানি এগুলো বিষাক্ত। সেজন্য আমি এগুলো থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করি। ছোট বাচ্চারা যেন এগুলো ধরে খেয়ে না ফেলে সেটি আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে কারণ এগুলো বাচ্চারা খেলে অনেক বিপদ হতে পারে।
ধন্যবাদ দাদা
এগুলোকে আমারা গ্রাম্য ভাষায় ব্যাঙের ছাতা বলে থাকি। কিন্তু আসলে এগুলো হলো ছত্রাক জাতীয় এক প্রকার মাশরুম।সাধারণত স্যাঁতস্যাঁতে ও বৃষ্টি ময় এলাকায় এগুলো সব থেকে বেশি দেখা যায়।ছোটবেলায় অনেকেই ব্যাঙের ছাতা দিয়ে খেলেছি। ছোটবেলায় মনে করতাম যে পানি আসলে ব্যাঙ এই ছাতার নিচে বসে থাকে। তবে বড় হয়ে জানতে পেরেছি সে ধারণাটি ভুল। ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে ভাই দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
আপনি ব্যাঙের ছাতা নিয়ে বিস্তারিত অনেক সুন্দর লিখেছেন।ব্যাঙের ছাতা নিয়ে আমারও অনেক স্মৃতি রয়েছে।ছোট বেলায় অনেক খেলেছি এ ছাতা নিয়ে।ব্যাঙের ছাতা কেটে খেলা রান্নাও অনেক করেছি।আমিও ভাবতাম যে বৃষ্টিতে ব্যাঙ এখানে এসে দাঁড়িয়ে থাকে।ঠিকই বলেছেন অনেকেই ব্যাঙের ছাতাকে মাশরুম মনে করে খেয়েও থাকে।এ ছাতা গুলো ভিজা জায়গায় হয়ে থাকে।টবে বা মাটিতে।মাশরুম আলাদা ভাবে চাষ করা হয়ে থাকে।তবে আমাদের দেশে মাশরুমের চাষ কম হয়ে থাকে।মাশরুম খেতে অনেক মজাদার।ছোট বেলায় অনেক কথা ভাবতাম এ ব্যাঙের ছাতা নিয়ে।তা আজ আপনার পোস্ট পড়ে মনে পরে গেলো।ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করে আমাদের ছোট বেলার স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।আপনার ফটোগেয়াফি অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে
ব্যাঙের ছাতা সাধারণত খরকুটো জায়গায় বেশি দেখা যায়। যখন ছোট্ট ছিলাম তখন এইগুলো দিয়ে আমরা অনেক মজা অনেক ধরনের কিছু করতাম। আর আপনি ব্যাঙের ছাতা সম্পর্কে অনেক সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। সুন্দর ভাবে বর্ণনা করার পাশাপাশি সুন্দর ভাবে ছবিগুলোও তুলেছেন। এত সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ছোটবেলায় আমরা অনেকেই এই ব্যাঙের ছাতার সাথে পরিচিত ছিলাম। আর ব্যাঙের ছাতা নিয়ে অনেকে খেলাও করেছি। তবে এটিকে অনেকেই মাশরুম মনে খেয়েও থাকে। ব্যাঙের ছাতার সাথে মাশরুমের কোন সম্পর্ক নেই এটি আশঁযুক্ত নিরামিষ বলা যায়। শৈশবের স্মৃতিতে গাঁথা ব্যাঙের ছাতা নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই।
বেশ ভালো লাগলো এত সুন্দর একটি পোস্ট দেখে। দারুন ছিল। আসলে শৈশবে আমরা কতই না ব্যাঙের ছাতা দেখেছি। আজ সেগুলো মাশরুম হিসাবে পরিচিত। এসব ব্যাঙের ছাতাই এখন মানুষের শারীরিক স্বাস্থ্য রক্ষায় দেহের জন্য বেশ উপকারী। আজ আপনার এত সুন্দর পোস্ট দেখে কিন্তু কিছুটা সময়ের জন্য চলে গিয়েছিলাম সেই শৈশবের স্মৃতিময় কিছু্টা সময়ে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।