প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনারা সকলে কেমন আছেন?আশা করি মহান আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আলহামদুল্লিলাহ্ আমিও আল্লাহ তায়ালার নিয়ামতে ভালোই আছি। স্টিম ফর ট্রাডিশন আজ আমি সবার মাঝে মৃৎশিল্পী চাঁড়ি নিয়ে একাটি পোস্ট শেয়ার করবো। আশা করি সকলের ভালো লাগবে ইনশাআল্লাহ। তাহলে বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক,
কভার ফটো
আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলে সব জায়গাতেই এই চাঁড়ির দেখা পাওয়া যায়। চাঁড়ি দিয়ে আমাদের গ্রামের লোকেরা মহিষ,গরু,ছাগলদের পানি খাওয়ায়।পানির সাথে গুড়া,ছানি চোপড়,ইত্যাদি খাওয়ানোর জন্য ব্যবহার করতো। বিভিন্ন এলাকার মানুষ বিভিন্ন ধরনের নাম ধরে ডাকে। আমাদের গ্রাম অঞ্চলের মানুষ মাটির তৈরি চাঁড়ি নামে ডাকে। আবার অন্য অন্য গ্রাম অঞ্চল পৌনা নামে ডাকে। আর কিছু কিছু মানুষ হাঁড়ি নামে ও ডেকে থাকে।
এই মাটির তৈরি চাঁড়ি কুমারেরা তাদের হাত সৌন্দর্য ও মাধুর্যতা দিয়ে তৈরি করে। এই মাটির তৈরি চাঁড়ি হচ্ছে মৃৎশিল্পের একটি অংশ। মৃৎশিল্প বলতে আমরা বুঝি মাটির তৈরি জিনিসপত্র। তারা নিপুণ কারুকার্য দিয়ে চাঁড়ি গুলা তৈরি করে থাকেন।তারা তাদের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে নিত্য নতুন মাটির পন্য তৈরি করে থাকেন। তারা অনেক কষ্ট ও পরিশ্রম করে এই মৃৎশিল্প আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।
মূলত এই চাঁড়ি গুলা গরু ছাগল এর খাবার খাওয়ানের কাজে ব্যবহার হয়। আরেকটি কাজে ব্যবহার হয়, সেটি হচ্ছে আখের গুড় রাখার কাজে। কেউ আবার আখের গুড় রাখা চাঁড়ি গুড় শেষ হলে বিক্রি করে দেয়। আর এই চাঁড়ি গুলা অন্য মানুষ কম টাকাতে ক্রায় করে নেয়। চাঁড়িতে গরু,ছাগলকে খাওয়ানোর অনেক সুবিধা হয়। চাঁড়ি গুলা গ্রাম অঞ্চলের হাট বাজারে পাওয়া যায়। মাটির তৈরি চাঁড়ি গুলা অনেক ভারি ও মজবুত হয়।
বর্তমানে এই চাঁড়ি খুব কম ব্যবহার হয়। আগে এই চাঁড়ি গুলার ব্যবহার অনেক বেশি ছিল। আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন প্লাস্টিকের কিছু কম দামি বাল্টি বের হয়েছে। মানুষরা এগুলা ক্রয় করে। তাই কুমারেরা এই চাঁড়ি তৈরি হার কমিয়ে দিয়েছে। ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। এর মূল কারণ হচ্ছে প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসপত্র। তাই আমাদের সবার উচিৎ এই ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পের তৈরি জিনিসপত্র টিকিয়ে রাখা।এই ছিল আজকের ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি চাঁড়ি নিয়ে কিছু আলোচনা। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আল্লাহ হাফেজ।
আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। আমি আমাদের এলাকায় এই চাঁড়িদেখেছি সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা। মাটি দিয়েও যে এটি প্রস্তুত করা যায় সেটি আমি জানতাম না। এগুলোকেই বলা হয় বাংলাদেশের ঐতিহ্য। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এই মাটির চাড়াগুলোতে আগে গরুদের খাওয়ানো হত।এখন একটু কম দেখা যায় কারণ প্রায় বাড়িতেই এখন গোয়ালঘর পাকা।সিমেন্ট দিয়ে চাড়া বানানো হচ্ছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু
এই চাঁড়ি গুলা আগে প্রায় গ্রাম অঞ্চলের প্রত্যেকটি বাড়িতে ব্যবহার করা হতো। এখন কালের বিবর্তনে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম অঞ্চল থেকে এইসব চাঁড়িগুলা। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি চাঁড়ি নিয়ে দারুণ লেখছেন, মাটির তৈরি চাঁড়ি এখন খুব কম দেখা যায়, আগে মাটির তৈরি চাঁড়ির ব্যবহার অনেক ছিল, এখনো কেউ কেউ ব্যবহার করে,আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই
এই মাটির চাড়ি গুলো আগে প্রত্যেকটি বাড়িতেই ছিল।এগুলোতে করে গরুকে পানি খাওয়ানো হতো। এখন প্রায় সব বাড়িতেই গোয়ালঘর পাকা। যার কারনে মাটির চাড়ি বিলুপ্তপ্রায়। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এখনো চাড়ি দেখা যায় তবে আগের তুলনায় অনেক কম। কুমারা এখন আগের মতন তেমন তৈরি করে না।এক সময় হয়তো এগুলা পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।ভালো লিখেছেন ভাই।ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ ভাই
মাটির তৈরি চাঁড়ি নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন। এই মাটির তৈরি চাঁড়িতে করে গাভীকে খাবার দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। এই চাঁড়ির প্রচলন গ্রামে বেশি।
@md-sajalislam.
একসময় এই চাড়াগুলো গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই ছিল।এগুলোতে করে গরুকে খাওয়ানো হতো।আমাদের বাসায় ও এইরকম একটি চাড়া ছিল কিন্তু এখন নেই।ধন্যবাদ ভাইয়া চাড়া নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরির চাঁড়ি নিয়ে খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই। গবাদি পশুর খাবারের জন্য এসব চাঁড়ি ব্যবহার করা হতো। এখন খুব একটা দেখা যায় না। সুন্দর লিখছেন ভাই ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ ভাই।