গ্রামে যারা পণ্য বিক্রি করে বেড়ায় ফেরিওয়ালা
পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা। প্রিয় স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটির ব্লগারবৃন্দগন সকলে কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা সকলে ভালোই আছেন।আমিও আল্লাহর আলহামদুলিল্লাহ রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে গ্রামে ঘুরে পণ্য বিক্রি করে বেড়ায় ফেরিওয়ালা নিয়া একটা পোস্ট শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। ইনশাআল্লাহ।
ফেরিওয়ালা কথা আমরা প্রাচীন কাল থেকে জানি।অনেক রকমের ফেরিওয়ালা আছে। আমি যেটা নিয়ে আলোচনা করবো সেটা হচ্ছে হরেক মালের ফেরিওয়ালা। আমরা ফেরিওয়ালা বলতে বুঝি যারা গ্রামে গ্রামে পণ্য বিক্রি করে বেড়ায়। আগের ফেরিওয়ালারা ঘাড়ে করে এবং মাথায় করে পণ্য বিক্রি করত। এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় বের হয়েছে অটোরিকশা ফেরিওয়ালা। এই অটোরিকশার চারদিকে এবং উপরে লোহা দিয়ে মজবুত করে ঘরের মতো ঘিরে নিয়েছে। চারদিকে এবং ভিতরে হরেক রকমের জিনিসপত্র দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে।
এই ফেরিওয়ালার কাছে যাবতীয় জিনিসপত্র পাওয়া যায়। যেমন,প্লাস্টিকের যাপা,মগ,বদনা,টিফিন বাটি,বালতি,ময়লা উঠা বেলসা,গামলা,জুরি,চিরনি, ইত্যাদি জিনিসপত্র সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছেন। শুধু তাই নয়,ইস্টিলের বালতি,ঢেকসি,হাতা,ছোট বড় বিভিন্ন রকমের বাটি,কড়াই ইত্যাদি জিনিসপত্র পাওয়া যায়।
এই নানা জিনিসপত্র দিয়ে তার দোকানটাকে সাজিয়ে রেখেছে। এই রকম জিনিসপত্র দেখে গ্রামের মহিলারা খুব আর্কষিত হয়। ফেরিওয়ালাকে দার করিয়ে নানান জিনিস ক্রয় করে আবার দরদাম করে। দরদামে সঠিক হলে কেউ ক্রয় করে নিয়ে নেয়। এগুলা টাকা দিয়ে বেশি বিক্রি করা হয়। কেউ আবার চাল দিয়ে ক্রয় করে। আবার কেউ পুরনো জিনিস দিয়ে কিছু টাকা দিয়ে নতুন জিনিসপত্র ক্রয় করে। তারা আগে মুখ দিয়ে ডাক তো।বলত হরেক মাল লাগবে হরেক মাল। খুব জোরে ডাক তো,এই ডাক শুনে মহিলারা বাহিরে আসতো।
কিন্তু এখন প্রযুক্তির কারণে বের হয়েছে মাইক। এখন মাইকের আওয়াজ শুনে মহিলারা বের বুঝতে পারে ফেরিওয়ালা আসছে।আগে ফেরিওয়ালা কম ছিলো। বর্তমানে ফেরিওয়ালা বেশি হচ্ছে। এই পণ্য বিক্রি করে তারা অর্থ উপার্জন করত। সারাদিন গ্রামে ঘুরে ঘুরে যা বিক্রি করত,তা থেকে যত লাভ হতো তাই দিয়ে তারা তাদের সংসার ও জীবিকা নির্বাহ করত। আগে জীবিকা নির্বাহ করত একটু কষ্ট হত।বাট এখন এই ফেরিওয়ালা অনেকটাই স্বচ্ছলতা হয়েছে। এই ছিলো আজকের ফেরিওয়ালা নিয়ে আলোচনা। আবারো মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করতেছি।আল্লাহ হাফেজ।
আমাদের এলাকায়তেও এমন ফেরিওয়ালা দেখা যায়। এনাদের কাছে নানান ধরনের জিনিস পাওয়া যায়। এনাদের কাছে অল্প দামে অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু জিনিস কিনতে পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনাকে বেশ ভালো কিছু তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।
মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ আপ্পি
ফেরিওয়ালা নিয়ে অসাধারণ লেখছেন আপনি, গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াই যারা তাদেরকে আমরা ফেরিওয়ালা বলে থাকি,ফেরিওয়ালা প্রচীনকাল থেকে আজ অবদি আমাদের মাঝে রয়েছে, কিন্তু এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় কিছু কিছু জিনিস হারিয়ে গেছে, আগের ফেরিওয়ালা গুলো মুখে মুখে ডাকতো আর এখন সবাই মাইক দিয়ে ডাকে,আগে দেখতাম ফেরিওয়ালারা মাথায় বা ঘাড়ে করে পন্য সামগ্রি বিক্রি করতেছে, তারা তখন অনেক কষ্ট করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো।আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন ভাই, আপনার পোস্ট পরে খুব ভালো লাগলো, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ এতো বড় কমেন্ট করার জন্য।
ফেরিওয়ালারা সারাদিনে অনেক বেশী পরিশ্রম করে থাকে। তাদের কাছে থেকে অনেক সহজে আমাদের মা-বোনেরা হাড়ি পাতিল ও ব্যবহারকৃত আসবাবপত্র কিনতে পারে। আপনি ফেরিওয়ালা নিয়ে অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন এবং অনেক সুন্দর লিখেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ফেরিওয়ালা নিয়ে এতো সুন্দর তথ্য আমাদের দেওয়ার জন্য।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
এইসব ফেরিওয়ালাগুলো তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য ভ্যানে করে বা অটোতে করে গ্রামে গ্রামে বা শহরের গলিতে গলিতে পণ্যগুলো বিক্রি করে থাকে।সাধারণত বাড়ির নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো তাদের কাছে পাওয়া যাবে বিশেষ করে যেগুলো মহিলা মানুষেরা ব্যবহার করে সব থেকে বেশি সেই জিনিসগুলো তাদের কাছে পাওয়া যায়। খুব সুন্দর লিখেছেন আপনি খুব সুন্দর পোস্ট করেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রামের ফেরিওয়ালা সম্পর্কে আপনি অনেক সুন্দর লিখছেন। ফেরিওয়ালারা অনেক কষ্ট করে তাদের জীবন সংগ্রাম পরিচালনা করে। তারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে এসব জিনিস বিক্রি করে তাদের সংসার চালায়। গ্রামের প্রত্যেকটা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তারা এসব জিনিস বিক্রি করে, বাড়িতে থাকা মা বোনেদের প্রথম পছন্দ এসব ফেরিওয়ালার দোকান, মা বোনেরা এসব দোকান থেকেই বেশি জিনিস ক্রয় করে। অল্পকিছুর জন্য তাদের বাহিরে যেতে হয় না হাতের নাগালেই ফেরিওয়ালা কাছ থেকে সব পায়।আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই। এবং ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
আপনার সুন্দর মতামত জানানোর জন্য ধন্যবাদ ভাই
আমাদের এলাকায়ও এরকম ফেরিওয়ালা দেখা যায়। তারা সারাদিন সাইকেলে করে বিভিন্ন রকম মালামাল বিক্রি করে। ফেরিওয়ালার কারণে অনেকের সুবিধা হয়েছে। দুই একটা জিনিসের জন্য এখন আর দোকানে যেতে হয় না। ভালো লিখেছেন ভাই শুভকামনা রইল।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই
গ্রামের ফেরিওয়ালা সম্পর্কে আপনি অনেক সুন্দর একটি উপস্থাপন করেছেন। গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াই যারা তাদেরকে ফেরিওয়ালা বলি।ফেরিওয়ালা প্রচীনকাল থেকে আজ অবদি রয়েছে। অনেক মা-বোনেরা হাড়ি পাতিল ও ব্যবহারকৃত আসবাবপত্র কিনে থাকে এই ফেরিওয়ালা কাছ থেকে। অল্প দামে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস কিনতে পাওয়া যায় বলে সকালে কিনে থাকে এই বাসন গুলো। ছোট ভ্যান বা সাইকেলে বিভিন্ন ধরনের পন্য নিয়ে গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিক্রি করে থাকে এই ফেরিওয়ালারা।আপনার ফটোগ্রাফি সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
ফেরিওয়ালারা ভ্যান ও সাইকেলে করে গ্রামে গ্রামে জিনিস বিক্রি করে। এদের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিস পাওয়া যায়। ফেরিওয়ালারা গ্রামে ঘুরে ঘুরে জিনিস বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।গ্রামের ফেরিওয়ালা সম্পর্কে আপনি অসাধারণ একটি পোস্ট লিখেছেন। আপনার তোলা ছবি গুলো ও খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদভাইয়া ফেরিওয়ালা নিয়ে এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু