গ্রাম অঞ্চলের পুকুর খননের দৃশ্য।যা আধুনিকতার ছোঁয়ায় প্রায় বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে।
স্টিম ব্যবহারকারী সকল ভাই ব্রাদার বন্ধুগণকে জানাই ভালবাসা এবং আন্তরিক মোবারকবাদ । আমার পক্ষ থেকে সকলকে সালাম যানাই, আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আমি জানি এই হালকা গরমে আল্লাহ-তাআলার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে প্রাচীন কালে গ্রাম অঞ্চলের পুকুর খনন নিয়ে কিছু কথা বলবো এবং কিছু ফটোগ্রাফি দেখাবো। ইনশাআল্লাহ। আশা করি সকলের ভালো লাগবে। নিচে তাহলে শুরু করা যাক।
আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ। এই কৃষি প্রধান দেশে কিছু মানুষ মাছ চাষ করতে ভালো বাসে।আর এই মাছ চাষের প্রচলন প্রাচীন কাল থেকে হয়ে আসতেছে। আর এই মাছ চাষের জন্য পুকুরের দরকার হয়।আর পুকুর খনন করে গ্রামের দরিদ্র শ্রমিক মানুষরা।
আপনারা যে ছবি গুলা দেখতেছেন সেগুলা হচ্ছে গ্রাম অঞ্চলের পুকুর খননের দৃশ্য। আর এই পুকুর খনন প্রাচীন কাল থেকে ছিল। এই রকম পুকুর খনন আদিন কাল থেকে শুরু হয়েছে। আগে এই রকম করে পুকুর করা হত। আর এই পুকুর খনন করেন শ্রমিকরা। যে ব্যক্তি পুকুর খনন করে সে কয়েকটা লোক ঠিক করে।দিনমজুর বা ঠিকা হিসাবে।
তারা কয়েক জন লোক মিলে পুকুরটি খনন করে।পুকুর খননের জন্য প্রয়োজন কোদাল, ডালি,এবং মাথায় দেয়ার জন্য খড়ের বেষ্টা ইত্যাদি লাগে। তারা ৬ থেকে ৮ দিনের মধ্যে পুকুরটা খনন করে।তারা অনেকে কষ্ট করে পুকুরটি খনন করে। তারা কোদাল দিয়ে ডালিতে মাটি উঠে দিতেছে। এক ডালি মাটি তারা মাথায় নিয়ে পাড়ার তৈরি করতেছে।
দুইজন দুই পাশে কোদাল দিয়ে ডালিতে মাটি দিচ্ছে। এবং আর দুইজন মাথা করে মাটি ভর্তি ডালি নিয়ে যায়া পাহাড়ে মাটি দিচ্ছে।এই ভাবে তারা চারজনপাল্টা পাল্টি করে কাজ করতেছে। আর তারা মজবুত করে পাহাড় গুলা তৈরি করেছেন।এই রকম শ্রমিক দিয়ে পুকুর তৈরি এবং পাহাড় তৈরি করলে পুকুরের পাহাড় গুলা অনেক দিন ধরে টেকসই হয়।তারা মাটি গুলা খুব ভালো করে পাহাড়ে বসিয়ে দেয়। শ্রমিকরা কাজ করে তারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের ইনকাম হচ্ছে কাজে। তারা যেকোনো কাজ করে সংসার চালায়। তারা তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য সব রকমের কাজ করতে প্রস্তুত থাকে।
এখন আর তেমন আগের মতো শ্রমিক দিয়ে পুকুরের কাজ দেখা যায় না।বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় মাটি খননের জন্য মেশিন বের হয়েছে। তাই এখন আর মানুষ শ্রমিক দিয়ে মাটি বা পুকুর খনন করে না।এই ছিল আজকের পুকুর খনন নিয়ে কিছু আলোচনা। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। সবাই ভালো থাকবেন। এই বলে আমি আমার কথা শেষ করতেছি। আল্লাহ হাফেজ।
ডিভাইস | itel |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @as-arfat435 |
লোকেশন | পার্বতীপুর |
You can also vote for @bangla.witness witnesses |
গ্রামঞ্চলে মানুষ দিয়ে পুকুর খনন এখন আর তেমন দেখা যায় না। মানুষ দিয়ে পুকুর খনন এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।র্বতমানে মানুষ আধুনিক যন্ত্রপাতি ভেপু দিয়ে খুব অল্প সময়েই পুকুর খনন করে থাকে। পুকুর খনন নিয়ে আপনার লেখা পোস্টটি অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ আপু
গ্রাম অঞ্চলের পুকুর খননের দৃশ্য নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।মানুষ দিয়ে পুকুর খনন করা এখন আর তেমন একটা দেখা যায় না। এই সবাই ভেকু দিয়ে পুকুর খনন করে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের কাছে সেয়ার করেছেন।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই
আগে গ্রামের পুকুর খনন করা হলে তা গ্রামের কাজের লোক দিয়ে করানো হতো কিন্তু সময়ের পরিবর্তন সাথে সাথে এখন আধুনিক মেশিনের সাহায্যে তা খনণ করা হয়। সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই
গ্রামগঞ্জে পুকুর খননের দৃশ্য খুবই সুন্দর একটি দৃশ্য। কোঁদাল আর বাঁশের টুপি দিয়ে আগে পুকুর খনন করা হতো, তবে এভাবে এখন খুব একটা দেখা যায় না। এখন সাধারণত খরচ বাচানোর জন্য বেকু মেশিন দিয়ে বেশি পুকুর খনন করা হয়। আপনি পুরাতন দৃশ্য তুলে ধরেছেন। অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
মতামত জানানো জন্য ধন্যবাদ ভাই
সাত থেকে আট বছর আগেও এরকম করে পুকুর খনন করা হতো মানুষ দিয়ে। তবে বর্তমানে এইরকম ভাবে মানুষ দিয়ে পুকুর খনোন করা আর দেখা যায় না।যা এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।খুব সুন্দর একটি পোস্ট আপনি করেছেন ভাই আসলেই ভালো লাগলো পোস্টটি দেখে ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ
পুকুর খনন করা দৃশ্য নিয়ে দারুণ লেখছেন ভাই, গ্রাম অঞ্চলে এইরকম দৃশ্য অনেক দেখা যায়। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে পোস্ট উপস্থাপন করছেন ভাই, আপনার পোস্ট পরে খুব ভালো লাগলো, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
গ্রামাঞ্চলে এমনভাবে খাল খনন করার দৃশ্য আর তেমন দেখতে পাওয়া যায় না। প্রযুক্তি ভিড়ে আজ প্রায় হারিয়ে গিয়েছে এই হাতে খাল খননের দৃশ্য। এখন সবাই ভ্যাকু দিয়ে খুড়তেই অভস্ত। আপনি অনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
মানুষ এখন আর এই ভাবে পুকুর খনন করে না। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মেশিন বের হয়েছে সেগুলো দিয়ে স্বল্প সময়ে খনন কাজ করা হয়। পুকুর খনন নিয়ে দারুণ উপস্থাপন করেছেন আপনি। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই
আমাদের এলাকায় এরকম মানুষ দিয়ে পুকুর খনন করা অনেক আগেই বন্ধ গেছে। বর্তমানে কেউ পুকুর খনন করতে গেলে অবশ্যই মেশিনের দ্বারা করে। অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাই