বিলুপ্তের পথে ঐতিহ্যবাহী খাবার বাতাসা
আমিঃahanaf057
দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী ভ্রমন স্থান সপ্নপুরী । এখানে বিভিন্ন জেলার মানুষ ভ্রমন করতে আসে। আমি সহ আমার কয়েকজন বন্ধু গেছিলাম সেখানে ঘুরতে । সেখানে ঘুরতে ঘুরতে দেখতে পেলাম এই ঐতিহ্যবাহী খাবার বাতাসা। তারপর দোকানদারের কাছ থেকে জানতে চাইলাম বাতাসা সম্পর্কে । তখন দোকানদার বলল বাতাসা সম্পর্কে। বাতাসা বাঙালির ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার। বাতাসা চিনি বা গুড় দিয়ে তৈরি এক ধরনের মিষ্টিজাতীয় খাবার। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে এর প্রচলন বেশি। এটি দেখতে দুই থেকে চার সেন্টিমিটার হয় এবং চ্যাপ্টা আকৃতির। বাচ্চাদের কাছে এটি বেশ জনপ্রিয়। একসময় মুড়ি ও বাতাসা দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন করা হতো। গ্রামাঞ্চলে এখনো এই রীতি চোখে পড়লেও শহরাঞ্চলে খুব একটা দেখা যায় না। তবে প্রাচীনকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের হিন্দুরা বাতাসাকে প্রসাদ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। অনেক মন্দিরে বাতাসা প্রসাদ হিসেবে ছড়িয়ে দেওয়ার রীতি আছে।
সুস্বাদু এই বাতাসা তৈরিতে চিনি বা গুড়ের পাশাপাশি দুধ, খাবার সোডা ও পানির প্রয়োজন হয়। সাধারণত পৌষসংক্রান্তিতে মুড়ি, খই, কদমা, তিলের খাজার পাশাপাশি বাতাসাও খাওয়া হয়। মেলা, রথ প্রভৃতিতে বাতাসা অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। লক্ষ্মীপূজায়ও এর ব্যবহার আছে।
দেশীয় ঐতিহ্যবাহী এসব খাবার মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া, ঢাকার ধামরাই, সাভার এবং বগুড়ার সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামে সবচেয়ে বেশি তৈরি হয়। এ ছাড়া দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা আরো ছোটখাটো কারখানায় বাতাসা তৈরি হচ্ছে। এসব খাবার আশপাশের এলাকার পাইকারদের মাধ্যমে সারা দেশে বিক্রি হয়। পশ্চিমবঙ্গে বাতাসা তৈরির প্রায় ২৫০০টি ছোট কারখানা আছে।
এসব খাবার কবে থেকে, কিভাবে বাংলা অঞ্চলে চালু হলো তার ইতিহাস খুব একটা জানা যায় না।
বাতাসায় চিনি বা গুড়ের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি খেলে তাত্ক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায়। আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি ও বিষণ্নতা দূর করতে সাহায্য করে এটি। এটি মিষ্টিজাতীয় খাবার বলে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।
পরিশেষে সকলের সুসাস্থ কামনা করে আমি আমার কথা এখানেই শেষ করতেছি। সকলেই ভাল থাকবেন। আবার আমার পরবর্তী পোস্টে দেখা হবে।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।
Camera: vivo y33s
Location: sopnopuri, nobabgonj
বাতাসা আগে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করে বেড়াত। কিন্তু বর্তমানে তা এখন আর ঐ রকম দেখা পাওয়া যায় না বাতাসা খেতে অনেক ভালো। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই
আপনার পোস্ট পড়ে ভাল লাগল ভাই।বাতাস আমার পছন্দের খাবার। মেলায় গেলে বাতাসা পাওয়া যায়। আগে গ্রামে কর বাইসাইকেল করে বা,ভ্যান করে বাতাসা বিক্রি করত।
ধন্যবাদ ভাই পোস্টি পড়ার জন্য।
এই হাতি, ঘোড়া সেপের বাতাসা ছোটবেলায় অনেক খেয়েছি। সত্য বলতে বাতাসা আমার এখনো খুব পছন্দের মিষ্টি জাতীয় খাদ্য তবে আগের মত বাতাসা বাজারে দেখ যায় না এখন।
ধন্যবাদ আপু
স্বপ্ন পুরী অনেক সুন্দর একটি জায়গা। আর এটি উওর বঙ্গের ভিতরে একটি ঐতিহ্য বাহী স্থান। এবং আপনি যে খাবার গুলো নিয়ে পোস্ট করেছেন অনেক পুরাতন খাবার এগুলো। কদমা, বাতসা এখন খুবই কম পাওয়া যায়। সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্টি পড়ার জন্য।
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
স্বপ্ন পুরী অনেক সুন্দর একটি জায়গা । আমি অনেক কয়বারে গেয়েছিলাম সপ্নপুরী দেখার মতো অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে ।আর বাতাসা একটি অন্যতম খাবার চিনি গলিয়ে এই খাবারটি তৈরি করা হয়। আর ছোট্ট বেলায় এই বাতাসা খাবার অনেক প্রিয় ছিল অনেক সুন্দর হয়েছে ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
অতি মিষ্টি খাবারের মধ্যে বাতাসা একটি অন্যতম খাবার।চিনি গলিয়ে চমৎকার এই খাবারটি তৈরি করা হয়। ধন্যবাদ আপনাকে বাতাসা নিয়ে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
বাতাসা আমার ওনেক পছন্দের, বাতাসা খেতে আমি খুব ভালো বাসি, আপনি সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ
বাতাসা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে এবং এই বাতাসা গুলো আমরা গ্রীষ্মকালেই খেয়ে থাকি গরমের সময়।আর কিছুদিন পর গ্রীষ্মকাল শুরু হবে তখন আমরা এগুলো খেতে পারব এবং এগুলো খেতে আমার অনেক ভালো লাগে
ধন্যবাদ
Welcome 🥰🥰
ভাই লিখা গুলো স্বাভাবিক রাখলে ভালো দেখায়।
তবে চেষ্টা করবেন লিখা গুলো জাস্টিফাই করতে। আপনার পোস্ট খুব সুন্দর লাগল। ধন্যবাদ ভাই 💞
ধন্যবাদ ভাই ভুল গুলো ধরে দেওয়ার জন্য।