একজন ভ্রাম্যমান ডিম সিদ্ধ বিক্রেতা
আজ বৃহস্পতিবার
তারিখঃ ০৭-সেপ্টেম্বর-২০২৩
আসসালামুআলাইকুম,
আমি @afsanaety,আশা করি সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।"স্টিম ফর ট্রেডিশন" কমিউনিটির সকল সদস্যদের জানাই মন থেকে ভালোবাসা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা।
পৃথিবীতে কতো ধরনের ব্যবসায়ী আছে তার হিসাব গুণে শেষ করা যাবেনা।মানুষ টাকা রোজগার করতে বুদ্ধি খাটিয়ে নানান রকমের ব্যবসার চিন্তা বের করেন।সৎ পথে পরিশ্রম করলে আর ধৈর্য্য ধারণ করে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে গেলে যে কোনো ব্যবসা লাভবান হয়ে থাকে।আমি আজকে একজন অন্য রকম বিক্রেতার কথা তুলে ধরবো।আজকে "একজন ভ্রাম্যমান ডিম সিদ্ধ বিক্রেতার" আলোচনা তুলে ধরবো "স্টিম ফর ট্রেডিশন" সদস্যদের আশা করি ভালো লাগবে।
একজন ভ্রাম্যমান ডিম সিদ্ধ বিক্রেতা বিভিন্ন স্থানে তার ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন।তাদের কোনো নির্দিষ্ট স্থান নেই আর তাদের কোনো দোকান নেই।এ জন্য যেখানে লোকজনের যাতায়াত থাকে সেখানে ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে যায়।তারা ক্রেতাদের জন্য বসে থাকে।যেখানে ক্রেতা কম দেখে সেখান থেকে ভ্যান নিয়ে অন্য স্থানে যায়।ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন এ অল্প কয়টা জিনিস নিয়ে তিনি এ ব্যবসা করেন।ভ্যানে দুইটা পাতিল ও দুইটি চুলা দেখা যাচ্ছে যার একটির মধ্যে ডিম সিদ্ধ করতে দেয়া আর একটি পাতিলের মধ্যে দুধ রাখা।
ভ্রাম্যমান ডিম সিদ্ধ বিক্রেতার কাছে বেশির ভাগ ডিম সিদ্ধ বিক্রি হয়।ভ্যানে জায়গা না থাকার কার পাশের একটি ছোট দোকানে বড় পাতিল রেখেছে যার মধ্যে সিদ্ধ ডিম পরিষ্কার পানিতে আগে থেকেই রেখেছে।গ্রাহক অনেক হয় তা আগে থেকেই জানেন তিনি তাই আগেই সেগুলো অন্য পাতিলে নিরাপদে রেখেছেন।সন্ধ্যার পরে বেশি গ্রাহক হয়,সে সময় অনেকে নাস্তা হিসেবে সিদ্ধ ডিম ও গরম দুধ খেয়ে থাকেন।
আমিও মাঝে মধ্যে সেখান থেকে ডিম সিদ্ধ এনে বাসায় এনে খাই।বিক্রেতাটি সব কিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখেন।এমন ডিম সিদ্ধ বিক্রেতা শহরে যে কোনো জায়গায় পাওয়া যায়।তাদের নির্দিষ্ট কোনো জায়গা না থাকার কারণে তারা বিভিন্ন জায়গায় তাদের ভ্যান আর বাকি জিনিস নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন।এখনকার বেশির ভাগ ভ্যানে মোটর লাগানোর কারণে কষ্ট করে পা দিয়ে ভ্যান চালাতে হয়না।তবে তাদের অনেক জায়গায় ঘুরতে হয়।সারাদিন কাজ শেষে তারা বাড়িতে যায়।
তারা হালাল উপায়ে টাকা রোজগার করে থাকে তাই তাদের সাথে কেউ দামাদামি করেনা।প্রতিটি সিদ্ধ ডিমের দাম ১৫ টাকা।আগে একটু কম ছিল ডিমের দাম বেড়ে যাওয়াতে সিদ্ধ ডিমের দাম বেড়ে গিয়েছে।কিন্তু এ পুষ্টি জনিত খাবার না খেলে শরীরের অনেক ক্ষতি হবে।আমরা সকলেই ডিম ও দুধের সকল গুনাগুন জানি।চলেন তাহলে কিছু গুনের কথা তুলে ধরা যাক।
ডিমের উপকারীতা :-
ডিম আমাদের শরীরের প্রোটিনের উৎস।ক্যানসার প্রতিরোধ করে,মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে,শরীরের এর্নাজি বাড়াতে সাহায্য করে,হার্ট ভালো রাখে,ডিম ত্বকের জন্য অনেক ভালো,চুলের জন্য ভালো।ডিমের উপকারীতা বলে শেষ করা যাবেনা।
দুধের উপকারীতা:-
ডিমের উপকারীতা যেমন বলে শেষ করা যাবেনা ঠিক তেমনি দুধের উপকারীতা বলে শেষ করা যাবেনা।তার মধ্যে কিছু গুনের কথা তুলে ধরা যাক।অনেক ধরনের পশুর দুধ আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।আমরা বাঙালীরা গরুর দুধ পছন্দ করে থাকি।এর মধ্যেও অনেক উপকারিতা রয়েছে।যেমন:- ঘুম ভালো হয়,ত্বক সুন্দর রাখে,শক্তি অর্জিত হয়,কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে এছাড়াও অনেক অনেক গুন রয়েছে।যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
ডিম ও দুধ বিক্রি করে অনেক ব্যবসায়ী লাভবান হচ্ছে।ডিম ও দুধ বাচ্চাদের সহ বড়দেরও শরীরের জন্য অনেক দরকার।
লিখায় কোনো ভুল-ভ্রান্তি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।পোস্টটি পড়ে কেমন লাগলো কমেন্টে জানাবেন এবং আপনার মতামত জানাবেন। সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো থাকবেন আশা করি।
সময় নিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
ডিম বিক্রেতা নিয়ে বেশ চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ডিম শীতকালে বেশ পরিমানে বিক্রি হয় এসব দোকানে।আমিও শীতের সময় বাহিরে গেলে ডিম সিদ্ধ খাই।ডিম আমাদের মানব শরীরের জন্য বেশ উপকারি একটি খাদ্য। তবে যাদের উচ্চরক্তচাপ এবং হার্ট এর সমস্যা আছে তাদের পরিমানে কম খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তারেরা। গ্রীষ্মকালে বাজারে এরকম ভ্রাম্যমান ডিমের দোকান কম দেখা যায়। কেননা গরমে ডিম মানুষ কম খেতে পছন্দ করে। ডিম শীতকালে বেশি বিক্রয় হয় বলে শীতের সময় এ ধরনের দোকানগুলো বেশ দেখা যায়। ডিমের দোকানগুলোতে বিভিন্ন রকমের ডিম দেখতে পাওয়া যায় দেশি মুরগির ডিম লেয়ার মুরগির ডিম কোয়েল পাখির ডিম হাঁসের ডিম ইত্যাদি জাতের ডিম পাওয়া যায়। আমার সব থেকে কোয়েল পাখির ডিম খেতে বেশ ভালো লাগে এছাড়াও আমি মাঝে মাঝে হাঁসের ডিম খাই। হাঁসের ডিম বেশ শক্তিশালী বাহক হিসেবে কাজ করে আমাদের শরীরে। ডিম আমাদের হাতের নাগালে ছিল তবে বর্তমান সময়ে ডিমের দাম অনেক বেড়ে গেছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে ডিমের দাম রাতারাতি অনেক বেড়ে গিয়েছে। এই কারসাজি রোধ করার জন্য সরকার চেষ্টা করছে। তবে এটি ঠেকানো যাচ্ছে না তবে কিছুদিনের মধ্যে ডিম আমদানি করা হলে ডিমের দাম কমে যাবে। আশা করছি তখন গরিব মানুষেরা এবং আমরা সবাই ডিম খেতে পারবো কারণ এখন বাজারে কম এই ডিম এর যদি আরো বেড়ে যায় তাহলে আমাদের মানুষের চাহিদা পূরণ করতে বেশ বেগ পেতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি বিষয় আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য।
ধন্যবাদ
এখন প্রায় আমি এরকম সিদ্ধ ডিম খেয়ে থাকি বাজারের ভাজা পড়ে একটু কম খেয়ে থাকি। তাছাড়া সিদ্ধ ডিম প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে যার শরীরের জন্য অনেক উপকার। তাছাড়া বর্তমান ডিমের যে বাজার তাতে ডিম খাওয়া অনেকটা কমে গেছে গরিব মানুষের। আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন। তাছাড়া ডিমের যে উপকারী দিকগুলো তুলে ধরেছেন তা সত্যি অসাধারণ হয়েছে।। অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ
https://twitter.com/afsana_ety/status/1699633638776906225?t=1GTVRjF5TXVKQEAh-OzpUA&s=19
একজন ভ্রাম্যমান ডিম সিদ্ধ বিক্রেতা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। এই রকম ডিম সিদ্ধ বিক্রেতা গ্রামের হাট-বাজার থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়। তারা সিদ্ধ ডিম বিক্রি করে যে লাভ করেন তা দিয়ে সংসার চলে তাদের।
ধন্যবাদ
একজন ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রেতা নিয়ে দারুণ উপস্থাপন করেছেন আপু, ডিম শরীরের জন্য বেশ উপকারী খাবার। শীতকালে সিদ্ধ ডিম বেশি খাওয়া হয়। বাজারে কিংবা রাস্তার মোড়ে ভ্রাম্যমান সিদ্ধ ডিম বিক্রি করতে দেখা যায়। এবং কি বাস টার্মিনালে, রেল স্টেশনে এবং কি বাসের ভিতর গরম গরম ডিম বিক্রি করতে দেখা যায়। দিন বিক্রেতাদের কাছে কয়েক রকমের ডিম থাকে, যেমন হাঁসের ডিম, মুরগির ডিম, কোয়েল পাখির ডিম। হাঁসের ডিম শরীরের জন্য বেশ উপকারী, তাইতো মানুষের হাঁসের ডিমের প্রতি চাহিদা বেশি। বাজারে তুলনামূলক হাঁসের ডিমের দাম অনেক বেশি। দ্রব্যমূলের উর্ধ্ব গতিতে বর্তমানের ডিমের হাটি ৬০ টাকা, আর দেশি ডিমের হালি ৯০ টাকা। তাই এখন ডিম খাওয়াও দুষ্কর হয়ে গিয়েছে। এক সময় ডিম ছিল গরিবদের প্রিয় খাবার, এবং ব্যাচেলরের প্রধান পছন্দ। কিন্তু এখন ডিম কেনাও ব্যয় বহুল হয়ে গিয়েছে। সামনে শীতকাল আসছে, শীতকালকে সামনে রেখে বাজারে এখন ডিমের দোকান দেখা যাবে। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপু। ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে, অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
ভ্রাম্যমান ডিম সিদ্ধ বিক্রেতা সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু। আসলে আপনি ঠিক বলেছেন দিন দিন এখন অনেক ধরনের ব্যবসায়ী দেখা যাচ্ছে। এরা সৎ পথে অনেক সুন্দর একটি ব্যবসার মাধ্যমে তাদের রুজি রোজগার করতেছে এবং তাদের নিজ নিজ পরিবার পরিজনকে নিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে বসবাস করতেছি। আসলে বাজারে এখন প্রায় এই ডিম সিদ্ধ বিক্রেতা দেখা যায় এবং ডিমে অনেক ভিটামিন থাকায় মানুষের চাহিদাও অনেক পরিমাণ বেড়ে গেছে। কারণ হলো হাসির দিনে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন রয়েছে। এবং আমি কিছুদিন আগে একটি নিউজে শুনেছি যে পাকিস্তানের একজন ফাস্ট বলার দিনের ৪০ থেকে ৪৫ টা ডিম খেয়ে থাকে তার বলের গতি বাড়ানোর জন্য। ধন্যবাদ আপু এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
এরকম ভ্রাম্যমান ডিম সিদ্ধ বিক্রেতা গুলো প্রায় সব বাজারেই দেখা যায়। যদি অসহর অঞ্চলের থেকে একটু কম তবে এখন গ্রাম অঞ্চলের বাজার গুলোতেও ডিম সিদ্ধ বিক্রেতা দেখা যায়। আমার মতে দোকান থেকে আজেবাজে খাবার না খেয়ে এই ডিম সিদ্ধ খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারিতা। আজকে আপনি অনেক সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ধন্যবাদ
মানুষ জীবীকার তাগিদে অনেক পেশার সাথে নিজেকে জড়িত করে। ডিম বিক্রেতা অনেক পরিশ্রম করে তার সংসার পরিচালনা করার জন্য ভ্যানে করে ডিম বিক্রি করছে। দেখে আমার অনেক ভালই লাগলো কারন তিনি একটি পেশার সাথে নিয়জিত। ডিমের এতো বেশি উপকারীতা আছে তা জানতে পারলাম আপনার পোস্ট থেকে। সুন্দর লিখেছেন আপনি।
ধন্যবাদ
একজন ভ্রাম্যমান ডিম সিদ্ধ বিক্রেতা নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু। এরকম ডিম সেদ্ধ বিক্রেতা গুলো শহরে এবং গ্রাম অঞ্চলের বাজার গুলোতে দেখা যায়। বিশেষ করে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এই এই ডিম সিদ্ধ গুলো বিক্রি করা হয়। আমি বাজারে গেলে প্রায় এরকম ডিম সিদ্ধ খেয়ে থাকি। এরকম দেশি সিদ্ধ ডিম গুলো আমাদের মানবদের জন্য খুবই পুষ্টিকর। মানুষপরা বাজারে আজেবাজে খাবার না খেয়ে সিদ্ধ ডিম খাওয়াটাই উত্তম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ