রংপুরের বিখ্যাত পলক হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট
আসসালামুআলাইকুম,
আমি @afsanaety,
আশা করি সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।"স্টিম ফর ট্রেডিশন" কমিউনিটির সকল সদস্যদের এবং মডরেটরদের জানাই অন্তরের গভির থেকে ভালোবাসা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা।আজকে আলোচনা করবো "রংপুরের বিখ্যাত পলক হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট" নিয়ে।তবে চলুন কথা আর না বাড়িয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।
পলক হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট রংপুরের অনেক পুরোনো এবং বিখ্যাত হোটেল।এ হোটেলের সব খাবারই অনেক মজাদার এবং দামেও কম যা আমার কাছে মনে হয়েছে।অন্যান্য হোটেল বা রেস্টুরেন্টের খাবারের মান ভালো হতে পারে কিন্তু দাম কিছুটা হলেও বেশি।পলক হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের পরিবেশ অনেক সুন্দর।সাথে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিক দিয়েও এগিয়ে।খাবার টেবিলে দেয়ার আগে এবং খাওয়ার শেষে ওয়েটাররা টেবিল সাথে সাথেই পরিষ্কার করে ফেলে।টেবিল পরিষ্কার করে খাবার দেয়ার আগে পরিষ্কার গ্লাস দিয়ে খাবারের অর্ডার নেয়।তাই সব সময় এতো ভিড় লেগেই থাকে।খাবার খেতে যেয়ে অনেক জনকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় বসার জন্য,কারণ টেবিল ফাঁকা থাকেনা কোনো সময়।এতো ভিড় যে দাঁড়িয়ে থাকতেও অনেকেরই কষ্ট হয়।তারপরও বার বার সেই পলক হোটেলেই ছুটে আসে সবাই।আমি প্রায় পলক হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে খেতে যাই বা বাসায় পারসেল নিয়ে আসি।পলক হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের সব খাবারই আমি টেস্ট করেছি এতো স্বাদ তাদের প্রত্যেক খাবারে তা যতই প্রশংসা করি তা কম হয়ে যায়।পলক হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের সকালের নাস্তা বাসায় প্রায় পারসেল আনা হয় আমাদের বাসায়।আজ আমি সকালের নাস্তা খেতে গিয়েছিলাম ভেবেছিলাম এতো সকালে হয়তো ভিড় কম হবে কিন্তু সব সময়ের মতো সকালেও অনেক ভিড়।আমার মতো অনেকেই সকালের নাস্তা খেতে গিয়েছে।
সাথে আমার স্বামী ছিল।বসার পর খাবারের মেনু দেখছিলাম অর্ডার করার জন্য।তারপর আজ সকালের জন্য কি কি আছে তা হোটেলটির একটি ওয়েটারের কাছে থেকে জেনে নিলেন আমার স্বামী।
আমি সাধারণত পরোটা তেমন খাইনা,কিন্তু আজ খেতে ইচ্ছে করছিল তাই আমাদের জন্য অর্ডার করলাম পরোটা।তার সাথে বুটের ডাল,খাসির গোশতের ঝাল ফ্রাই অর্ডার করেছিলাম।খাবার আসার পর পরেই আজকের সকালের নাস্তার কিছু ছবি তুলে ফেললাম।ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আজ ডিম অমলেট খেতে ইচ্ছে করছিল তাই আমার জন্য একটি ডিম অমলেট অর্ডার করলাম সাথে সালাত দিয়েছিল,সালাত সব সময় সব খাবারের সাথেই দিয়ে থাকে সে হোটেলে।সব গুলো খাবারের ছবি তুলে,খেয়ে ফেললাম খাবার গুলো।
খাবার শেষে চায়ের জন্য অর্ডার করলাম চা যতক্ষনে আসতেছিল তখন আমি হোটেলটির ডেকোরেশনের ছবি তুললাম আপনাদের সাথে শেয়ার করবো তাই।পুরো হোটেলটিতে এমন সুন্দর সুন্দর ওয়াল হ্যাঙ্গার লাগানো।যে ওয়াল হ্যাঙ্গারটি দেখতে পাচ্ছেন তা কাঠ এবং মাটির তৈরি।দেয়ালে প্লাসটারের খোদাই করে সুন্দর আকৃতি দিয়েছে হোটেলের প্রতিটি দেয়ালে।
দেয়ালে রং দিয়ে অংকন করেছে যা দেখতে পাচ্ছেন আমার ফটোগ্রাফিতে।বাঁশ বাগানের সুন্দর করে অংকন করা হয়েছে দেয়ালটিতে।অনেক ভিড় থাকাতে বেশি জায়গার ছবি তুলতে পারিনি।তাই মাত্র দুই দেয়ালের ছবি তুলেছি কোনো ভাবে।
খাবার খেয়ে যে চা অর্ডার করেছিলাম তা ততোক্ষনে চলে এসেছিল।দুই কাপ চা অর্ডার করেছিলাম।চায়ের কাপ টেবিলে দেয়ার পরেই আমি সাথে সাথে চায়ের ছবিও তুলে নিলাম।পলক হোটের এন্ড রেস্টুরেন্টের চা এতো মজাদার যে এক সাথে দুই বা তিন কাপ খেলেও বিরক্ত লাগবেনা।যেহেতু আমি চা বেশি একটা খাই না।তাই এক কাপ খেয়ে বিল দিয়ে এবং ওয়েটারকে বকশিস দিলাম খুশি হয়ে,যা অনেকেই দিয়ে থাকে বলে আমি মনে করি।তারপর চলে আসলাম হোটেলটি থেকে আমরা।
লিখায় কোনো ভুল-ভ্রান্তি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।পোস্টটি পড়ে কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন এবং আপনার নিজের মতামত জানাবেন।সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো থাকবেন আশা করি।
সময় নিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ। |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
https://twitter.com/afsana_ety/status/1700187880684138996?t=DwKpLWhWCt1jO9ZkwUcAxw&s=19
পলক হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট বেশ ভালো হোটেল বলে মনে হচ্ছে। খাবার কম খেলেও এসির বাতাসে মন জুড়িয়ে যাবে সেখানে। তাদের দেয়ালে রং তুলিতে করা আর্ট অনেক ইউনিক ছিলো।হোটেলের নকশা অনেক রুচিসম্মত। আমি একবার ঘুরে আসবো এই হোটেল থেকে। খাবার গুলো অনেক মজার ছিলো তাই না।
ধন্যবাদ
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। রংপুরের বিখ্যাত হোটেলটি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি বিস্তারিত আলোচনা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। হোটেলটির ডেকোরেশন বেশ ভালই লাগলো। এখানকার মেনে লিস্ট দেখে বোঝাই যাচ্ছে এখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার আইটেম পাওয়া যায়। রংপুরের এই হোটেলটি সম্পর্কে আজকে আপনার পোস্টের মাধ্যমেই জানতে পারলাম আপু। সুন্দর লিখেছেন। ফটোগ্রাফি গুলোও চমৎকার হয়েছে। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু
রংপুরে যখন ম্যাচে ছিলাম তখন এমনি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এই হোটেলটি দেখেছিলাম।তবে কখনো যাওয়ার সুযোগ হয়নি সময়ের কারণে। রংপুরে বেশ কয়েকটি নাম করা হোটেল এবং রেস্তোরাঁ রয়েছে এর ভেতর অন্যতম হলো পলক হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট।বন্ধুরা কেউ কেউ যেত এখানে। আমাকে বলেছিল একবার কিন্তু যায়নি। এখানকার খাবার অনেক সুস্বাদু হবে আপনার পোস্টের খাবার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালই লাগতেছে। যাইহোক রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে দারুন লিখেছেন আপনি শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ
রংপুরের বিখ্যাত পলক হোটেল নিয়ে দারুন উপস্থাপন করেছেন আপু, হোটেলে পরিবেশ আমার কাছে ভালো লাগলো, দারুন সময় পার করেছেন আপু। যেহেতু ভাইয়ের সাথে ছিলো খাওয়া-দাওয়া তো অসাধারণ হয়েছে। দেওয়ালের কারুকাজ গুলো আমার কাছে অসাধারণ লাগলো। হোটেলটা মনে হচ্ছে অনেক ইউনিক। আপনার খাবার গুলো দেখে লোভ লেগে গেলো, গরম গরম পরাটা সাথে খাসির মাংস, ডিম ভাজি, ডাল আহ্ অসাধারণ সুস্বাদু। যদি কখনো রংপুর যাই তাহলে এই রেস্টুরেন্ট ঘুরে আসবো। সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপু। ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাইয়া
আমি রংপুরে বেশ যাওয়া আসা করি বিভিন্ন রকমের কাজে তবে এই হোটেলে কোনদিনও খাওয়া হয়নি। এই হোটেলের খাবার কেমন আমার জানা নেই তবে আপনার পোস্ট পড়ে মনে হচ্ছে এখানকার খাবার বেশ মজাদার হবে। আপনি বেশ মজা করে খাবারগুলো খেয়েছেন। পরবর্তীতে আমি রংপুরে গেলে অবশ্যই এই হোটেলে খেয়ে আসব। হোটেলটি দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুন্দর এবং গোছালো এখানকার পরিবেশ হয়তো বেশ সুন্দর হবে। এই হোটেলের খাবারের পাশাপাশি এখানকার চা বেশ মজার মনে হচ্ছে কারণ চায়ের রঙ দেখে মনে হচ্ছে বেশ চমৎকার হয়েছে বেশ লোভনীয় লাগছে খাবার গুলো এবং চা এর কাপগুলো বেশ পরিষ্কার। আপনি বেশ চমৎকার একটি ফুল রিভিউ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আমি আরেকটি জিনিস লক্ষ্য করলাম যে হোটেলে এসি লাগানো রয়েছে যা সব হোটেলে থাকে না। এতে বোঝা যাচ্ছে হোটেলের মান অনেক ভালো সবাই এ ধরনের হোটেলে গিয়ে খেতে পারে না। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আশা করি ভবিষ্যতেও এরকম সুন্দর সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করে আমাদের সাথে ভাগাভাগি করবেন ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
রংপুরের বিখ্যাত পলক হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে অনেক সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন। তবে আমার রংপুরের মকবুলেট খিচুড়ি সেই ভালো লাগে। তবে পলক হোটেলের পরিবেশটা আমার বেশ ভালো লেগেছে। এছাড়াও যত বড় মেনু দেখতেছি, দেখেই বুঝা যাইতেছে এখানে অনেক প্রকারের খাবার পাওয়া যায়। আপনি পলক হোটেলটি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আমি প্রায় রংপুর গিয়ে থাকি আপনার কাছে পলক হোটেলে রিভিউ শুনে খুবই ভালো লাগলো একবার যাওয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ