ঐতিহ্যবাহী হামানদিস্তা, সুপারি কাটা জাতি ও পুরানো দিনের পান সুপারি রাখার থালা।
আসসালামু আলাইকুম আমি,@abdullah-44
আশা করি সবাই ভালো আছেন, আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। (আলহামদুলিল্লাহ )
ঐতিহ্যবাহী হামানদিস্তা, সুপারি কাটা জাতি ও পুরানো দিনের
আদিম যুগ থেকেই হয়ে আসছে হামানদিস্তার ব্যবহার। হামানদিস্তা অতি পুরনো প্রাচীনকালে বহুল ব্যবহৃত ঐতিহ্যবাহী একটি সরল যন্ত্র। হামানদিস্তা প্রাচীনকালে বহুল ব্যবহৃত হয়েছে রান্নার কাজে। শুধু আগেকার দিনেই নয় এখনো বিশেষ কিছু রান্নার কাজে হামানদিস্তা রান্নার সরঞ্জাম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। শুধু রান্নার কাজে নয়, আরো বিভিন্ন ধরনের কাজে বিভিন্ন ধরনের কঠিন পদার্থকে হামানদিস্তার মধ্যে দিয়ে,হামানদিস্তার লম্বা লোহার দন্ড দ্বারা বারবার আঘাত করার মাধ্যমে একদম পিষে থেতলে দেওয়া হয় এবং সেটি নির্দিষ্ট কোন কাজে ব্যবহার করা হয়।
গ্রামাঞ্চলে এখন হামানদিস্তার সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছে কবিরাজরা।কবিরাজরা গ্রামে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গাছের পাতা এবং শিকড়ের মাধ্যমে ঔষধ বানিয়ে গ্রামের মানুষদের নানাবিধি রোগের চিকিৎসা করে আসছে। তারা ঔষধি গাছের পাতা এবং শিকড় হামানদিস্তার মধ্যে পিষে বাটার মাধ্যমে ওষুধ তৈরি করছে।কবিরাজরা যুগ যুগ ধরে এইভাবে ওষুধ বানিয়ে গ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে তারা চিকিৎসা করে আসছে।
আর আমার ছবিতে যেই হামানদিস্তা দেখতে পাচ্ছেন, এই হামানদিস্তা টি আমার দাদির।আমার দাদির বয়স প্রায় ১০০ বছরের কাছাকাছি। অনেক বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে তার দাঁত একটাও ঠিকঠাক মতো নেই। আমার দাদি যখন পান খায় তখন এই হামানদিস্তার মধ্যে পান সুপারি বেটে, তারপর পান খায়।তাই বলা যায় এই ঐতিহ্যবাহী হামানদিস্তা মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহার করা হয়।
উপরের ছবিতে যেই পানের থালাটি দেখতে পাচ্ছেন এই পানের থালা অনেক পুরাতন । এই থালাটি ১৯৯৪ সালে কেনা হয়েছিল। এখন থালাটির বয়স প্রায় ৩০ বছর। আমার বয়স থেকেও এই থালাটির বয়স প্রায় ১০-১১ বছর বেশি। ভাবতেও অবাক লাগে এত বছরের একটি থালা এখনো রয়ে গেছে। শুধু থালাই নয়, হামানদিস্তা ও সুপারি কাটার জাতি সবগুলাই অনেক পুরাতন,যা আমার বয়সের থেকেও অনেক বেশি। আগের দিনে কাসার তৈরি এমন থালা অনেক ব্যবহার করা হতো। আমার দাদি পান সুপারি এবং পান খাওয়ার জন্য যাবতীয় সরঞ্জাম এই থালার উপর সাজিয়ে গুছিয়ে রেখে দেয়।
সুপারি কাটা ঐতিহ্যবাহী জাতি, প্রাচীন কাল থেকে এখন পর্যন্ত বহুল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিভিন্ন ধরনের পানের দোকানে গেলেও এরকম সুপারি কাটার জাতি দেখা যায়। শুধু দোকানই নয়, যারা পান খায় তারাও তাদের বাড়িতেও এরকম সুপারি কাটা জাতি ব্যবহার করে। এই জাতির মাধ্যমে সুপারির খোসা ছাড়ানো হয় এবং সুপারির ভিতর অংশকে কুচি কুচি করে কাটতে ব্যবহার করা হয়। সম্পূর্ণ সুপারি পানের সাথে খাওয়া যায় না বলে, জাতির সাহায্যে সুপারিকে কুচি কুচি করে কাটা হয়।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আমার নাম,মোঃ আব্দুল্লাহ। আমার বাসা কুষ্টিয়া জেলা, খোকসা থানায়,আমবাড়িয়া ইউনিয়নে,গোসাইডাঙ্গী গ্রামে। কিন্তু ,আমি লেখাপড়ার জন্য কুষ্টিয়া সদরে থাকি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে, কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে লেখাপড়া করছি। আমার ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমন করতে খুব ভালো লাগে। আমার ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগলেও, খুব একটা ভালো ছবি আমি তুলতে পারিনা। আশা করি খুব তাড়াতাড়িই আমার ফটোগ্রাফি গুলো আরো ইমপ্রুভমেন্ট করতে পারব। (ধন্যবাদ সবাইকে )
বাহ অনেক প্রাচীনকালের অনেক সুন্দর একটি পোস্ট নিয়ে আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি। এই যুগে এগুলো ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এবং এটি সম্পর্কে আপনি অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য দিয়েছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
ধন্যবাদ ভাই।
https://twitter.com/abdullah_steem/status/1688946607516217344?t=BerwXBGp2ZqSk9QhETLbTQ&s=19
হামানদিস্তা এবং পান সুপারির বাটা নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন, আগের যুগে এই জিনিস পত্র গুলো সব বাড়িতেই পাওয়া যেতো, এখন যুগ পরিবর্তনের কারণে সব কিছুই বিলুপ্তির পথে, আপনার পোস্টি পরে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
বাহ্ খুব সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাই। আমাদের সবার বাড়িতে পান সুপারির জাতি রয়েছে।যারা মুরব্বি তারা হামানদিস্তায় সুপারি গুড়ো করে পান খাই। আপনি দারুণ লেখছেন এবং সুন্দর বর্ননা করছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই।
আমাদের এলাকায় পান সুপারি বাটার এই হামানদিস্তাকে ডুগডুগি বলা হয়। আর সুপারি কাটার জাতি কে বলা হয় সত্তা। আমাদের বাড়িতে কেউ পান সুপারি খায় না তাই এসব জিনিস আমাদের বাড়িতে নাই। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু।
প্রাচীনকালে জিনিসপত্র দিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট ক্রিয়েট করেছেন, হামানদিস্তা হলো আমাদের ঐতিহ্যের এক পরিচয়, আগে বয়স্ক মুরুব্বিরা হামানদিস্তায় পান সুপারী পিষে খেতো, এখন তো এমন দৃশ্য কোথাও দেখা যায় না, প্রাচীন কালের এই ঐতিহ্য আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে, আজকে আপনার পোস্টে পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো, আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ভাইয়।
ধন্যবাদ ভাই।
সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই, পান সুপারী খাওয়ার জন্য মুরুব্বীরা এই দিস্তা ব্যবহার করে থাকে। সুপারি কাটার জন্য জাতি ব্যবহার করা হয়। যেটাকে আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় হর্তা বলা হয়। সুন্দর লিখছেন ভাই। অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই।
সুপারি কাটা জাতি কে আমাদের এলাকায় সত্তা বলা হয়। হামানদিস্তা এবং সুপারি কাটা সত্তা অনেক পুরাতন একটি ঐতিহ্য। আমাদের বাড়িতে এই দুইটা আছে যেগুলোর বয়স প্রায় ৭০ বছর। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই।
ধন্যবাদ ভাই।
পান সুপারি রাখার থালাটাকে আমাদের এলাকায় পানের বাটা বলা হয়। এগুলো মূলত কাসার হয়ে থাকে। আবার স্টিলের পানের বাটাও পাওয়া যায়। আপনাদের এলাকার যাতি ও আমাদের এলাকার যাতির মধ্যে একটু তফাৎ রয়েছে। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি গুলা অসাধারণ হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু।