অচল অবস্থায় পড়ে থাকা একটি স'মিল

স'মিল মূলত ব্যবহার করা হয় কাঠ কাটার জন্য। দেশের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলেই স'মিল এর ব্যবহার সর্বাধিক। আমরা বিভিন্ন ধরনের কাজে কাঠ ব্যবহার করি যেমন দরজা, জানালা, ঘরের আসবাবপত্র তৈরি সহ আরো বিভিন্ন ধরনের কাজে আমরা কাঠের ব্যবহার করে থাকি। গাছ কাটার পর গাছের গুড়ি গুলোকে, সমিলে নিয়ে গিয়ে নির্দিষ্ট কোন মাপে কাটা হয় ঘরের আসবাবপত্র তৈরি সহ আর বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহার করার জন্য। এই স'মিল মানুষ যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে আসছে। এই স'মিলের মাধ্যমে কাঠের গুড়ি গুলোকে বিভিন্ন মাপে খুব সহজেই কম সময়ের মধ্যে কাটা যায়।

আমাদের বাংলাদেশে দুই ধরনের স'মিল ব্যবহার করতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। একটি হলো ডিজেল চালিত, অপরটি বিদ্যুৎ চালিত। ডিজেল চালিত স'মিল গুলোর খরচ তুলনামূলক একটু বেশি হয়। ডিজেল চালিত স'মিল এর সারা মাসের জ্বালানি খরচ হিসাব করলে দেখা যাবে, বিদ্যুৎ চালিত স'মিল থেকে অনেক বেশি খরচ হয়। আমার শেয়ার করা ছবিতে যে স'মিল টি দেখতে পাচ্ছেন এটি হলো ডিজেল চালিত। স'মিলের নিচে একটি বড় ফাঁকা জায়গা থাকে, কাঠ কাটার সময় কাঠের গুড়া গুলো ওই জায়গায় গিয়ে জমা হয়।

অনেকেই আছে স'মিল থেকে কাঠের গুড়া গুলো কিনে নিয়ে এসে তাদের প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করে। আর আমার শেয়ার করা যে স'মিলটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হলো একটি ইটের ভাটার কাঠ কাটার জন্য ব্যবহৃত স'মিল। পাশে ইটের ভাটাটি পরিত্যক্ত হওয়ার সাথে সাথে এই স'মিল ও অচল অবস্থায় পড়ে আছে। দীর্ঘদিন অচল অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে উপরে টানানো চাদোয়া ছিরে একদম নষ্ট হয়ে গেছে।যা আপনারা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন। এই স'মিলটি যদি এখান থেকে নিয়ে গিয়ে মেরামত না করা হয় বা এই স'মিলটি পুনরায় চালু না করা হয়, তাহলে এই স'মিলটি ধীরে ধীরে ব্যবহারের অনুপ্রযুগী হয়ে যাবে।

যখন এই স'মিল চালু ছিল তখন একবার এখানে আসছিলাম এবং স'মিলের কাঠ কাটা দেখতে ছিলাম। তখন আমি লক্ষ্য করে দেখলাম, এই স'মিলে কাঠ কাটা অনেক বিপদজনক। এই স'মিলে যারা কাঠ কাটার কাজ করতে ছিল তাদের আমি দেখলাম তারা কাঠ কাটতে কাটতে কাঠের সাথে প্রায় ব্লেড পর্যন্ত হাত চলে যাচ্ছিল। আমার নিজেরই দেখে ভয় লাগছিল যদি একবার ব্লেডের সাথে হাত লাগে তাহলে হাত একদম শেষ। এখন বাজারে যে আধুনিক স'মিল পাওয়া যায় ওইগুলো ব্যবহার করা উচিত। আধুনিক স'মিল গুলোতে সেফটির সাথে কাজ করা যায়, হাত কাটার কোন ভয় থাকে না।

আমার নাম,মোঃ আব্দুল্লাহ। আমার বাসা কুষ্টিয়া জেলা, খোকসা থানায়,আমবাড়িয়া ইউনিয়নে,গোসাইডাঙ্গী গ্রামে। কিন্তু ,আমি লেখাপড়ার জন্য কুষ্টিয়া সদরে থাকি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে, কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে লেখাপড়া করছি। আমার ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমন করতে খুব ভালো লাগে। আমার ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগলেও, খুব একটা ভালো ছবি আমি তুলতে পারিনা। আশা করি খুব তাড়াতাড়িই আমার ফটোগ্রাফি গুলো আরো ইমপ্রুভমেন্ট করতে পারব। (ধন্যবাদ সবাইকে )