কুষ্টিয়া লাহিনি বটতলার বিখ্যাত মালাই চা।
আসসালামু আলাইকুম আমি, @abdullah-44
আশা করি সবাই ভালো আছেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। (আলহামদুলিল্লাহ)
চা আমাদের প্রায় সবারই পছন্দের একটি খাবার। চা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। বিকেলে বাইরে গেলে প্রায়ই চা খাওয়া হয়, আর সেই চা যদি হয় অন্যরকম বিশ্বের সাদ বিশিষ্ট চা,তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। ফেসবুক চালাইতে চালাইতে এক সময় দেখি কুষ্টিয়ার বিখ্যাত লাহিনি বটতলার মালাই চা নিয়ে ডিবিসি চ্যানেল নিউজ করছে। ভিডিওটা দেখে আর বসে থাকতে পারলাম না, আমার এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে বের হলাম চা খাওয়ার উদ্দেশ্যে। চা খেতে গিয়ে দেখি অনেক বড় লাইন। ভাবলাম এত মানুষ আজকে কি আদও চা খাওয়া হবে। পরে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমাদের অর্ডারটা কনফার্ম করলো।
ওইখানে যে চা বানাচ্ছিল তাকে গিয়ে আমি জিজ্ঞেস করলাম আপনার চা এত ঘন এবং এত আকর্ষণীয় কালার কিভাবে হয় আমাকে একটু বলেন তো। আমাকে উনি বললেন, প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ কেজি দুধ, টানা চার থেকে পাঁচ ঘন্টা জ্বালানোর পর, সাত থেকে আট কেজি দুধে পরিণত হয।দীর্ঘ চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা দুধ জ্বালানোর পর,অনেক ঘন দুধে পরিণত হয় এবং দুধের কালার লালচে বাদামী হয়ে যায়।দীর্ঘ সময় জ্বালানোর পর দুধ যখন চা বানানোর জন্য উপযোগী হয়ে যায়, তখন দেখতে অনেকটা আকর্ষণীয় এবং লোভনীয় মনে হয়
এই চায়ের দোকানটা চালু হয় মূলত তিনটার দিকে। তিনটার পর থেকে যত সময় যেতে থাকে তত মানুষের ভিড়ও এই দোকানে বাড়তে থাকে। বিশেষ করে বিকেলে এবং সন্ধ্যার পরে বেশি মানুষের ভিড় হয়। তো আমরা এখানে চা খেতে গিয়েছিলাম সন্ধ্যার পরে। চায়ের অর্ডার দিয়ে অনেকক্ষণ বসে থাকার পর অবশেষে আমাদের চা দিয়ে গেল। সবচেয়ে সুন্দর বিষয় হলো এখানে কোন চায়ের কাপ ব্যবহার করা হয় না। নারকেলের মালই কেটে সুন্দরভাবে চায়ের কাপ বানিয়ে এখানে চা পরিবেশন করেন,যা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
এই চায়ের দোকানটিতে, চায়ের সাথে চিনি মাখা পোড়া রুটি ও পাওয়া যায়। এই চায়ের দোকানে চা বানানোর ওই ভাই পাউরুটির সাথে হালকা চিনি মাখিয়ে আগুনে হালকা পুড়িয়ে তারপর পরিবেশন করেন। সত্যি বলতে চা অনেক মজা ছিল। আর এই চায়ের সাথে চিনি মাখা পোড়া পাউরুটিটি খেতে আরো বেশি মজা লাগছিল। এখানে প্রতিদিন দূর দুরান্ত থেকে অনেক মানুষই চা খেতে আসে। এখানে প্রতিদিন অনেক মানুষ হওয়ার কারণে দোকানের সামনের ফাঁকা জায়গায় বেঞ্চ,চেয়ার,টুল এবং সিম কোম্পানির ছাতার মাধ্যমে সুন্দর করে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা আপনারা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন।
আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আমার নাম,মোঃ আব্দুল্লাহ। আমার বাসা কুষ্টিয়া জেলা, খোকসা থানায়,আমবাড়িয়া ইউনিয়নে,গোসাইডাঙ্গী গ্রামে। কিন্তু ,আমি লেখাপড়ার জন্য কুষ্টিয়া সদরে থাকি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে, কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে লেখাপড়া করছি। আমার ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমন করতে খুব ভালো লাগে। আমার ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগলেও, খুব একটা ভালো ছবি আমি তুলতে পারিনা। আশা করি খুব তাড়াতাড়িই আমার ফটোগ্রাফি গুলো আরো ইমপ্রুভমেন্ট করতে পারব। (ধন্যবাদ সবাইকে )
আমাদের গ্রামে তেমন একটা মালাই চা পাওয়া যায় না কিন্তু গ্রাম থেকে একটু শহরের দিকে অগ্রসর হলেই প্রচুর পাওয়া যায়। যখন খেতে ইচ্ছে করে বন্ধুরা সবাই মিলে ভ্যান ঠিক করে মালাই চা খেতে যাই। সুন্দর পোস্ট করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাই
চা আমার খুবই পছন্দের, মাঝে মাঝে মালাই চা খাওয়া হয়। আমাদের সৈয়দপুর এ অবদা মোড়ে মালাই চা খেতে যাই সবাই মিলে। কুষ্টিয়া লাহিনী বিখ্যাত চা নিয়ে খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই। দেখেই বুঝা যাচ্ছে চা টা অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই মালাই চা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই।
কুষ্টিয়া লাহিনি বটতলার মালাই চা নিয়ে আপনি সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন।মালই চা আমার ভিষণ পছন্দের। দিনাজপুরের বটতলিতেও এইরকম একটি মালাই চায়ের দোকান রয়েছে।বেশ কয়েকবার আমি ঐ দোকানের মালাই চা খেয়েছি। কুষ্টিয়ার লাহিনি বটতলার মালাই চা ও তার সাথে পোড়া পাউরুটির এই দোকানটি সম্পর্কে আমি কয়েকদিন আগে আমি ফেসবুকে একটি ভিডিও দেখেছি। আপনার পোস্টের মাধ্যমে বিস্তারিত অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
মালাই চা আমার অনেক পছন্দের। মালাই চা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। কলেজের সামনে একটা দোকানে মাঝে মাঝেই বন্ধুরা সবাই মিলে মালাই চা খেতে খেতে আড্ডা দেয়া হয়। কিন্তু দোকানটি কিছু দিন হল বন্ধ হয়ে গেছে। আপনার পোস্টটি দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু।
মালাই চা প্রায় সবারই পছন্দের একটি খাবার। মালাই চায়ের স্বাদই আলাদা। দিনাজপুর বটতলায় এমন একটি মালাই চায়ের দোকান আছে যেটি সারা শহরে খুবই বিখ্যাত। সেখানে প্রতি কাপ চায়ের দাম ৭০ টাকা। লাহিনী বটতলার চা সম্পর্কে আপনি অনেক সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। তবে আফসোস কোনদিনও খাওয়া হবে না। সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু।
চা আমারও ভীষণ পছন্দের। আমাদের এলাকায় হাবড়া হাটে মালাই চা পাওয়া যায়। প্রতিকাপ চা ৩০ টাকা করে বিক্রি হয়ে থাকে। আপনি যে চায়ের ছবি দিয়েছেন তা দেখে অনেক ভারি মনে হছে। পোড়া রুটি আসলে আমার কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি অনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন।
ধন্যবাদ ভাই।
ভাইয়া আমাদের এইদিকে ও রয়েছে মালাই চা। আসলে মালাই চা খাওয়ার মজাই আলাদা। আমার এক মামু কুষ্টিয়ায় থাকতো সে বলতো ওখানকার মালাই চা নাকি অনেক সুস্বাদু। আজকে আপনার এই সুন্দর বর্ণনাটি পড়ে আমার সেই মামুর কথা মনে পড়ল। অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ ভাই।
মালাই চা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে, আমি এমনিতে সাধারণত চা খাই না, তবে মালাই চা পাইলে ছাড়ি না, কুষ্টিয়ার মালাই চা নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন, মালাই চা গুলো দেখে লোভ লেগে গেলো, ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিলো, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই
https://twitter.com/abdullah_steem/status/1688178209958113280?t=viapJOkEm1yzIO5ExBhvdw&s=19
মালাই চা বর্তমানে সব জায়গায় কম বেশি পাওয়া যায়। তবে মালাই চা অনেক সুস্বাদু। আর যারা ভ্রমণ করতে পছন্দ করে তারা সবচেয়ে বেশি বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে মালাই চা এর স্বাধ গ্রহণ করে থাকেন। অবশ্য মালাই চা আমার ও অনেক পছন্দের। সুন্দর লিখেছেন আপনি। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই।