কুষ্টিয়া বজলুর মোড় কাঠ খড়ির আড়ত।

in Steem For Traditionlast year (edited)

আসসালামু আলাইকুম আমি, @abdullah-44

আশা করি সবাই ভালো আছেন,আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। (আলহামদুলিল্লাহ)


কুষ্টিয়া বজলুর মোড় কাঠ খড়ির আড়ত।


IMG_20230724_172946.jpg

F1sR3uPuh6LG2Pa74He5bV2hyGpwsrRBoVbg5m9yUEVos1woZ8Voyf4x2rdrLLwe3d7fqLKt9UiqzwSGkbun5ySbiReLNRbW6xF94cKUizfJXfNsHRisHHo958yyvwqAaSZ7h458MHH9n1Efe1TCtV98BwJbwaQ6FbAKk8AE1KfrtBajA51b8JaiRjsuXkEEH1W5LBHCWc1LQUpXtb5AFF5ZmauU.jpeg

IMG_20230724_172851.jpg

কাঠ খড়ির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। কাঠ খড়ি ব্যবহার করে নাই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। কাঠ খড়ি সেই সৃষ্টির শুরু থেকেই বিভিন্ন ধরনের কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কাঠ খড়ি সারাদেশে অসংখ্য কাজে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে যেমন, তামাকে সময় আসলে তামাক জ্বালানোর জন্য অসংখ্য কাঠ খড়ি ব্যবহৃত হয়। অনেক ইটের ভাটা আছে সেগুলোতে কয়লা বাদে কাঠ খড়ি দিয়ে ইট পোড়ানো হয়। আমাদের বাড়ির পাশে এরকম একটি ইটের ভাটা আছে যেখানে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হয়। রান্নার কাজ সহ সারা দেশে আরো বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন ভাবে কাঠ খড়ি নানান ব্যবহার হয়ে আসছে।

DiHLrjiPetHt6ciV9azim9NPHuTMQ59H51nYE8xqo83cHxoWjkEXJT9iFny5FDK6V87zhnX5kJcSGE6ahn1RouZuijdX8aHZSZuNzNLrHL...5JkLh48hmSy2Vocb8Q1ZmVRFSQE6pKeyXuZTkTt2EgzjyyZw14xbJEQeSpMhQGMsjfy2JgnjmiZATtiTZUt9hdaNJ5oWr4DTthVH964jvSwCVZQRoyCX3KLi6i.png

IMG_20230724_172626.jpg

IMG_20230812_121931.jpg

IMG_20230812_121550.jpg

IMG_20230726_134830.jpg

এই কাঠ খড়ির আড়তটি কুষ্টিয়ার নামকরা একটি কাঠ খড়ির আড়ত। এই আড়ত থেকে প্রতিদিন অসংখ্য খড়ি বিক্রি হয়।আড়ত মালিকের নিজস্ব ভ্যান থাকায়, যারা বাসা বাড়ির জন্য কাঠ খড়ি কিনতে আসে তারা এই আড়ত মালিকের ভ্যানে করে কাঠ খড়ি সাজিয়ে নিয়ে যায়। শুধু বাসা বাড়ি নয়, এখানে ইটভাটার ইট পোড়ানোর জন্য এবং তামাক জ্বালানোর জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে অনেকে ট্রাক, করিমন ভরে প্রতিনিয়ত খড়ি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এই কাঠ খড়ির আড়তের ব্যাপক নাম ডাক রয়েছে কুষ্টিয়াতে। কুষ্টিয়ায় যে কারো কাছে এই কাঠের আড়তের কথা বললে, দেখিয়ে দিবে। এরা শুধু কাঠ বিক্রিই করে না, এরা প্রতি সপ্তাহে প্রচুর পরিমাণে কাঠ কিনো থাকেন।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddfwF5kKVgfqKcJVzUC9zYpVySrombAoJ3HAAeFQAp75RFb8MQ43pMYHPBT9qy...HWxLhWyc4W792ch6jCeMvo9kmPKWSQ1iuhrHF8xTv7psP2kRTN87Vk3bZKTqMK7opAJm74uk39zpSkWn47CVhohgarZXChtLKqQadYStZyy9eBJ4io27N3AWjg.png

IMG_20230724_172746.jpg

IMG_20230724_172741.jpg

IMG_20230724_172741.jpg

IMG_20230812_122323.jpg

বিভিন্ন ধরনের গাছের গোরা যেগুলো কাজে লাগে না এবং যেসব সব গাছ ফার্নিচার বা আসবাব পত্র তৈরির জন্য উপযোগী নয়, সেইসব গাছ ব্যাপারীরা কিনে নিয়ে এসে এখানকার আড়ত মালিকের কাছে স্বল্প লাভে বিক্রি করে থাকেন। বড়,বড় গাছের গুড়িগুলো বা বড়,বড় গাছের গোড়াগুলোকে এখানে কাজ করার শ্রমিকরা কুড়ালের সাহায্যে কেটে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার উপযোগী করে তোলে। এই কাঠের গুড়িগুলো ক্রয় বিক্রয়ের জন্য বেশ কয়েকটি বড় বড় দাঁড়িপাল্লা ব্যবহার করা হয়, যা আপনারা ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন।কাঠ খড়িগুলো পরিমাপ করার জন্য এখানে বেশ কয়েকটি পাথর রয়েছে।

DiHLrjiPetHt6ciV9azim9NPHuTMQ59H51nYE8xqo83cHxoWjkEXJT9iFny5FDK6V87zhnX5kJcSGE6ahn1RouZuijdX8aHZSZuNzNLrHL...5JkLh48hmSy2Vocb8Q1ZmVRFSQE6pKeyXuZTkTt2EgzjyyZw14xbJEQeSpMhQGMsjfy2JgnjmiZATtiTZUt9hdaNJ5oWr4DTthVH964jvSwCVZQRoyCX3KLi6i.png

IMG_20230812_122252.jpg

F1sR3uPuh6LG2Pa74He5bV2hyGpwsrRBoVbg5m9yUEVorzcJNpHqcJ3mJ4WYRkSKjrNUdkyrcPuizxsdBLKUn6Ew3pUo5dQtN6bWb9r7D5LnZTudSzVG8peRN17PMugRKDRMTAS3JaY15euLK1Zg9RKAe2FGDQChkfSCfMnvjLqkzqU4DKqgwr4AY9sZt9sbaB6fNWdtCBG7EY9SCvMZMH2Lb72v.jpeg

IMG_20230724_171222.jpg

প্রতিটি পাথরের ওজন ২০ কেজি করে আবার অনেক সময় দেখা যায় খড়ি দিয়েও পাথর বানানো হয়। এক দাড়িতে প্রতিবার এক মন করে খড়ি মাপা হয়। এই আড়তে যে শ্রমিকরা কাজ করে তাদের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয় তাদের কাজের উপরে। তাদের প্রতিদিনের কাজের টাকা প্রতিদিনই পরিশোধ করে দেওয়া হয়। তারা প্রতিদিন যে পরিমাণ কাঠ কাটে,তার উপর নির্ভর করে তাদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। এই কাঠের আড়তটি এখানে চালু আছে আনুমানিক ৩০-৪০ বছর আগে থেকে। আমি সঠিক জানিনা লোকের মুখে শুনেছি এই আড়ত নাকি ৯০ দশক থেকে এখন পর্যন্ত এখানে চালু আছে।

IMG_20230724_172842.jpg

F1sR3uPuh6LG2Pa74He5bV2hyGpwsrRBoVbg5m9yUEVos12wgWo96x6NbLU6h52hrgVn5kA8Ud19YMd2fDD6qBcYJbzGzDbHFLZs4jZZim7qarDueSBrRMfZ58KuCersKCKjJnCt8ghN6eZKeZ7dku5jettyfDJ3HuQjAk5pijDTNrZHeaCcKqeUH83DxLFNixr4eVvyAtz6ETb9QE2cUEJ6RKie.jpeg

IMG_20230724_173315.jpg

আবার অনেকে বলেছে ৯০ দশকের আগে থেকেই এখানে কাঠের আড়ত চালু হয়েছে। গ্রাম অঞ্চলে প্রতিটি বাড়িতেই প্রায় কাঠ খড়ির পাশাপাশি অন্যান্য খড়ি দিয়ে রান্না করা হয়।কিন্তু শহরাঞ্চলে রান্নার ক্ষেত্রে অনেক অংশেই এখন কাঠের ব্যবহার কম । শহরের মানুষ এখন বেশিরভাগই গ্যাস এবং বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহার করছে রান্নার জন্য।আর যারা এখনো কাঠ খড়ি ব্যবহার করে রান্না করছে এবং অন্যান্য কাজে কাঠ খড়ি ব্যবহার করছে তারা বেশ উপকৃত হচ্ছে কুষ্টিয়ার এই কাঠের আড়তের জন্য।

6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjnzw3nqBFcbV2rkkbgRUhb3PMHJNHgbsQ5qUWmScc684CKjSggSGYS26MN3rnCgoayDzBGuhfuG2g2pAFAn.png

আমার পোস্টটি পড়ার  জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ 

আমার পরিচয়


FB_IMG_1686764702485.jpg

slLXtTGa_2x.jpg

আমার নাম,মোঃ আব্দুল্লাহ। আমার বাসা কুষ্টিয়া জেলা, খোকসা থানায়,আমবাড়িয়া ইউনিয়নে,গোসাইডাঙ্গী গ্রামে। কিন্তু ,আমি লেখাপড়ার জন্য কুষ্টিয়া সদরে থাকি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে, কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে লেখাপড়া করছি। আমার ফটোগ্রাফি এবং ভ্রমন করতে খুব ভালো লাগে। আমার ফটোগ্রাফি করতে ভালো লাগলেও, খুব একটা ভালো ছবি আমি তুলতে পারিনা। আশা করি খুব তাড়াতাড়িই আমার ফটোগ্রাফি গুলো আরো ইমপ্রুভমেন্ট করতে পারব। (ধন্যবাদ সবাইকে )

Sort:  
 last year 

আমাদের জীবনে দৈনন্দিন এই কাঠ খড়ির প্রয়োজন হয় কারণ রান্নার কাছে এগুলো তো ব্যবহার করারেই লাগবে। এবং কুষ্টিয়া বজলুর মোড় কাঠ খড়ির আড়ত দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক বড় একটি আড়ত এবং এখান থেকে মনে হয় অনেক জায়গায় পাঠানো হয়ে থাকে। এবং আপনি অনেক সুন্দর একটি বিস্তারিত আলোচনা শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে ধন্যবাদ আপনাকে

ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া যা খড়ি লাগে সব গ্রামের জন্যই। শহরাঞ্চলে কেউ আর খড়ি দিয়ে রান্নাবান্না করে না। সবাই গ্যাস অথবা ইলেকট্রনিক জিনিস দিয়ে রান্নাবান্না করে। অনেক পুরনো একটি খড়ির আড়ত দেখে খুবই ভালো লাগলো। খড়ির আড়তটি সম্পর্কে অনেক বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

কাঠ খড়ি আমাদের দৈনন্দিন কাজে লাগে, রান্না করার জন্য। এবং ইটের ভাটাতো জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। আপনি অনেক সুন্দর লিখছেন ভাই। তবে রান্নার কাজে খড়ির চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে, মানুষ এখন রান্না করার জন্য গ্যাস এর উপর নির্ভরশীল। এবং ইলেকট্রনিক চুলার রান্না করে। দারুণ উপস্থাপন করছেন ভাই অনেক ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ ভাই।

Loading...
 last year 

জ্বালানি হিসেবে কাঠ খড়ির ব্যবহার অনেক আগে থেকেই। শহরে মূলত এইসব কাঠ খড়ির তেমন একটা প্রয়োজন পড়ে না। গ্রামের মানুষেরা এখনো মাটির চুলায় রান্না করে বলেই হয়তো এখনো কাঠ বা খড়ি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ আপু।

 last year 

খড়ি গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন কাজে লাগে, কারণ গ্রাম অঞ্চলে মানুষরা দিনে দুই বেলা খড়ি দিয়ে রান্নাবান্না করে। এবং শহর অঞ্চলে খুব কম খড়ি প্রয়োজন হয়। কারণ তারা সব সময় গ্যাস অথবা ইলেকট্রনিক জিনিস দিয়ে রান্না বান্না করে। খড়ি সম্পর্কে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

কাঠ খড়ি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে লাগে। জ্বালানি হিসেবে সবথেকে বেশি ব্যবহার হয় কাঠ খড়ি। বর্তমান সময়ে ভাটাতে এই কাঠ খড়ির ব্যবহার অনেক বেশি হওয়াতে চাহিদাও অনেক বেড়ে গেছে। গাছ থেকে কেটে কাঠ খড়ি বানানোর পদ্ধতি অনেক কষ্টকর। সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন ভাই আপনি।

ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

জ্বালানির অন্যতম উৎস হলো কাঠ।আর এই কাঠ বড় পরিসরে পাওয়া যায় এসব কাঠের আড়তে। যেখানে বিভিন্ন গাছ কেটে কাঠ তৈরি করা হয় এবং সেগুলোকে পাইকারি খুচরা দামে বিক্রি করা হয়।আপনার শেষের কথাগুলো অনেক ভালো লাগলো ভাই। শহর অঞ্চলে কাঠের ব্যবহার তেমন নেই বললেই চলে।দারুন পোস্ট শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ ভাই।

 last year 

কুষ্টিয়া বজলুর কাঠ খড়ির আড়ত নিয়ে আপনি সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন।এই কাঠ খড়ির ব্যবহার সাধারণত গ্রামেই বেশি দেখা যায়।তবে শহরে কলেজের হোস্টেল কিংবা ম্যাচে এসব কাঠ খড়ির ব্যবহার দেখা যায়।আমি ম্যাচে থাকাকালীন দিনাজপুরের পানির ট্যাংকির মোড়ের একটি খড়ির আড়তে গেছিলাম।কিছুদিন আগে গ্যাসের দাম বেশি হওয়ার জ্বালানি কাঠের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়ছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু।

 last year 

আপনি সুন্দর একটা বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন ভাই।কাঠ খড়ি দিয়ে আমাদের বিভিন্ন কাজে জ্বালানি হিসাবে আসে।আপনি ঠিক বলছেন ভাই। গ্রাম অঞ্চলে খড়ের ব্যবহার প্রচুর।শহর অঞ্চলে খড়ি সবাই তেমন ব্যবহার করে না।আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো।এটা জেনে আরো ভালো লাগলো যে কুষ্টিয়া জেলার নাম করা কাঠ খড়ির আড়ত।আপনি সুন্দর আলোচনা করছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

ধন্যবাদ ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65663.89
ETH 2670.06
USDT 1.00
SBD 2.91